Friday, March 17, 2017

দারুল উলুম দেওবন্দ সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকীউসমানী ( দা. বা.) এর ঐতিহাসিক অভিমত

শায়খুল ইসলাম
আল্লামা
তাকি উসমানি
হাফিযাহুল্লাহ
সর্বমহলে
সমাদৃত একজন
মুসলিম স্কলার।
ইসলামি অর্থনীতির
আধুনিক
রূপায়নের অন্যতম
রূপকার।
সুদমুক্ত ইসলামি
ব্যাংকিংয়ের
স্বপ্নদ্রষ্টা।
ফিকহ ও ফাতাওয়া
ছাড়াও
বহু ক্ষেত্রে তিনি যে
অবদান রেখে যাচ্ছেন
তা
কখনও ভোলার নয়।
সফরের
বিবেচনায় তিনি তো
বর্তমান সময়ের
একজন "ইবনে
বাত্তুতা"। বরং
কিছুদিক
বিবেচনায় তাঁর থেকেও
অগ্রগামী। দুনিয়ার
বিভিন্ন
শ্রেণী ও পেশার
মানুষের
সঙ্গে মিলিত হওয়ার
কারণে এখন তাঁর
অভিজ্ঞতার পরিধি
অনেক
বিশাল। সেই তিনি
দারুল
উলুম দেওবন্দের
শতবার্ষিকী
আন্তর্জাতিক
সম্মেলনের
স্মৃতিচারণ করতে
গিয়ে
দারুল উলুম সম্পর্কে
তাঁর
অভিব্যক্তি পেশ
করেছেন।
তিনি বলেন, "দারুল
উলুম
দেওবন্দ প্রান্তিক
কোনো
দলের নাম নয়, না এটি
কোনো রাজনৈতিক
পার্টি,
না এটি এমন কোনো
গোষ্ঠীর নাম যা সত্য
ও অসত্য
সবক্ষেত্রে অন্যের
সঙ্গে
আপোষ করার জন্যে
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
আর না
এটি তর্কবিতর্ক
করার এমন
কোনো টিম যা বিশেষ
কোনো দল ও মতের
খণ্ডনের
জন্যে অস্তিত্বে
এসেছে _
বরং প্রকৃত অর্থে
দারুল উলুম
দেওবন্দ হচ্ছে
কুরআন-সুন্নাহর
ওই বাস্তব ব্যাখ্যার
নাম; যা
সাহাবায়ে কেরাম,
তাবিয়িন ও পূর্বসূরি
মনীষীদের
মধ্যস্থতায়
আমাদের পর্যন্ত
পৌঁছেছে।
এটা ওই বিশুদ্ধ দ্বীনি
ইলমের
নাম; যা আকাবিরে
উম্মত
পেটে পাথর বেঁধে
আমাদের পর্যন্ত
পৌঁছিয়েছেন। এটা
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের
এমন
সুঘ্রাণের নাম; যা
সাহাবা-তাবিয়িনের
জীবনচরিত থেকে
প্রস্ফুটিত।
এটা ওই কীর্তি ও
অঙ্গীকারের নাম; যার
সূত্রধারা বদর ও
উহুদের ময়দান
পর্যন্ত নিয়ে পৌঁছায়।
এটা
ওই ইখলাস ও
লিল্লাহিয়াত,
তাকওয়া ও তাহারাত,
বিনয়
ও সরলতা, সত্যকথন

নির্ভয়তার নাম; যা
ইসলামি
ইতিহাসের সকল ধাপে
উলামায়ে হকের
বৈশিষ্ট্য
ছিল। বিগত
শতাব্দীতে
দারুল উলুম দেওবন্দের
সংস্কারমূলক কাজ
হচ্ছে এই
যে, এটি মুসলমানদের
অধঃপতনের যুগে এমন
ইলমি ও
আমলি গুণাগুণ
পুনর্জীবিত
করেছে এবং এমন লোক
গড়ে
তুলেছে যারা ছিলেন
ওইসব
গুণের জীবন্ত
প্রতিচ্ছবি।
সুতরাং যে ব্যক্তিই
এসব
বৈশিষ্ট্য অর্জন
করবে, যিনি
ওই পরিকল্পনা
অনুযায়ী
প্রথমে নিজের এবং
পরে
গোটা মুসলিম জাতির
সংশোধনের জন্যে
চিন্তাশীল হবেন
তিনিই
দারুল উলুম দেওবন্দের
সঙ্গে
সম্পৃক্ত; যদিও
বাহ্যিকভাবে
তিনি দারুল উলুম
দেওবন্দ না
দেখেই থাকেন।
পক্ষান্তরে
যিনি ওই গুণাবলীর
ব্যাপারে বেখবর এবং
এই
মিশন সম্পর্কে
বেপরোয়া_
দারুল উলুম দেওবন্দের
সঙ্গে
তার কোনো সম্পর্ক
নেই;
যদিও তার নিকট দারুল
উলুমের সনদ ও দস্তার
বিদ্যমান
থাকে।!" (জাহানে
দিদাহ;
তাকি উসমানি, পৃ. ৫১১,
মাকতাবায়ে
মাআরিফুল
কুরআন, করাচি, নতুন
সংস্করণ
১৪৩১ হি./২০১০ ঈ.)

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!