Monday, July 3, 2017

সহীহ দ হাদীসের অনুসরণ করলে কোন মতভেদ থাকবেনা

এবার আসুন আমরা দেখে নেই সহীহ হদীসের অনুসরণের দাবিদারদের মধ্য কোন মতভেদ আছে কি না?
.
আমাদের দেশে যারা সহীহ হাদীসের ধোঁয়া তুলে উম্মতকে বিভক্ত করে চলেছেন। যারা সহীহ হাদীসের আলোকে তাদের মনগড়া নামায উপস্থাপন করে যাচ্ছেন, তাদের কয়েকটি নামাযের বইয়ে উদ্ধৃত নামাযের মাসআলায় মতভেদ লক্ষ্য করুন-

১–কিরাত পড়া প্রসঙ্গে

ক) আলবানীর মতে জোরে জেহরী নামাযে কিরাত পড়া রহিত।{শায়েখ আলবানীর “নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছলাত সম্পদনের পদ্ধতি-৮৩}

খ) আসাদুল্লাহ গালিব বলে ফরজ। {আসাদুল্লাহ গালিব সাহেব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ-৮৮}

২–বিসমিল্লাহ প্রসঙ্গে

ক) বিসমিল্লাহ সূরা ফাতিহার অংশ হবার পক্ষে কোন ছহীহ দলীল নেই। {আসাদুল্লাহ গালিব সাহেব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ -৮৬}

খ) সূরা ফাতিহা কুরআনের অংশ। {অধ্যাপক হাফিজ আইনুল বারী রচিত “আইনী তুহফা সলাতে মুস্তাফা”-১০৫}

৩–বিসমিল্লাহ জোরে পড়া

ক) গালিব সাহেবের মতে এর কোন ভিত্তি নেই। [আসাদুল্লাহ গালিব সাহেব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ -৮৬}

খ) জোরে আস্তে উভয়ভাবে পড়া ছহীহ সনদে বর্ণিত। {আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সম্পাদিত “ছালাত আদায় পদ্ধতি”-২৮}

৪-রুকু

ক) রুকু পেলে রাকাআত পাওয়া যায়। {আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সম্পাদিত “ছালাত আদায় পদ্ধতি”-৩৩}

খ) রুকু পেলে উক্ত রাকাত পায়নি। { আসাদুল্লাহ গালিব সাহেব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ -৯৬}

৫-সালাম

ক) ডান দিকে ফিরে ওয়াবারাকাতুহু বলতে হবে {আকরামুজ্জামান সম্পাদিত ছালাত আদায় পদ্ধতি-৬২}

খ) উভয় দিকেই ওয়াবারাকাতুহু বলতে হবে। {ইবনে ফজলের সহীহ নামায ও দুআ শিক্ষা-১০৩}

৬-জনাযায় ফাতিহা

ক) আসাদুল্লাহ গালিব বলেন পড়া ওয়াজিব। {ছালাতুর রাসূল-২১৩}

খ) আলবানী বলে সুন্নত। {সিফাতু সালাতিন্নবী-১১১}

এরকম অসখ্য মতবিরোধ শুধু নামাযের মাসআলার ক্ষেত্রে দেখানো যাবে। যা কথিত আহলে হাদীস বা লামাযহাবী/শব্দধারী মুসলিম জামাতের ভাইদের রচিত সহীহ হাদীসের আলোকে রচিত নামাযের বইয়ে রয়েছে। প্রশ্ন হল, যদি সহীহ হাদীস মানলে মতভেদ না থাকে, তাহলে এসব মতভেদ কেন তাদের প্রকাশিত এসব বাংলা নামাযের বইয়ে? কেন তারা সহীহ হাদীসের অনুসারীরাই শুধু নামাযের মাসআলায়ই এক হতে পারছেন না?

তাহলে কি বুঝা যাচ্ছে?

পরিস্কার ভাষায় বুঝা যাচ্ছে, আসলে সহীহ হাদীসের নামে একতাবদ্ধ হবার স্লোগান কেবলি একটি মুখরোচক ও ধোঁকাবাজীমূলক স্লোগান। যা কেবলি অন্তসারশূণ্য। মানুষকে প্রতারণায় ফেলার জন্য এ ধোঁকাবাজীমূলক বক্তব্যটি প্রদান করা হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের এ ভ্রান্ত ফিরকার ধোঁকা থেকে উম্মতে মুসলিমাকে হিফাযত করুন। আমীন।


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!