যেই মোল্লাদের জানাযায় লক ডাউনেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ হয় সেই মোল্লারা ঈমানী আন্দোলনের ডাক দিলে কি পরিমাণ লোক হবে এবং অবস্থা কি দাড়াবে তা নিয়েই মূলত ওদের চুলকানি আর টেনশন ।
জানাযায় লোকসমাগম,করোনার থেকে মুক্তির জন্য খোলা আকাশের নীচে সমবেত হয়ে দুআ এগুলো মূল বিষয় নয়। এগুলো জাস্ট সাময়িক ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানো হয় আরকি....
এ চুলকানি নতুন নয় বহু পুরাতন রোগ ওদের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আওয়ামীলীগ নেতার জানাযায় লোক সমাগমের চিত্র তাদের চোখে ধরা পড়েনি,পড়বেও না। কারণ মোল্লা দেখলেই চুলকায় ওদের।
কোন প্রচারণা ছাড়াই এতো লোকসমাগম। কোন মোল্লা তো কাউকে ডেকে আনেননি,আসার দাওয়াতও দেয়নি। তো লোকসমাগম বেশি হওয়ার দায়ভার লোল্লার কাঁধে কেন যাবে ?
ক'দিন পর পর গার্মেন্টস কর্মীরা বকেয়া বেতনের জন্য রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে,তাদের সবার জন্য তো ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় না। কিন্তু মোল্লাদের ব্যাপারে এ নির্দেশ!
সচেতনতা আর সতর্কতার অজুহাত দিয়ে আমাদের ঘরানার অতি জ্ঞানী কিছু তরুণ আলেম ফেসবুকাররাও ৭১ টিভির ওদের সাথে সুর মিলাতে দেখলাম!বড় আফসোস হয় আমাদের ঘরে,আমাদের দুধ কলায় পোষা এদেরকে যখন বামপাড়ার ওদের সাথে সুর মিলাতে দেখি।
ওরা অতি জ্ঞানী, অতি সচেতন।ওরা দু'চার কলম লিখতে জানে। ওরা ফেসবুক সেলিব্রিটি।
তাই যাঁদের থেকে আলিফ,বা পড়তে শিখেছে তাঁদেরকেও সময়ে সময়ে বিভিন্ন সবক শেখায়।
যাক.....
মোল্লাদের দেখে যাদের চুলকানি তাদেরকে কুরআনের ভাষায় বলি-
موتوا بغيظكم
[অর্থ: তোমরা আক্রোশে মরতে থাকো।
সূরা আল-ইমরান,আয়াত নং-১১৯ ]
{-এইচ.এম. জুনাইদ
দারুল উলুম হাটহাজারী।
১৯/৪/২০২০ ইং}
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!