Sunday, July 9, 2017

জঙ্গীবাদের গোড়া কোথায়? শতভাগ প্রমানসহ!

জেএমবি >> আনসারুল্লাহ বাংলা টিম >> কথিত আহলে হাদীস সালাফি >> জাকির নায়েক >> হিযবুত তওহীদ
আমরা কম বেশি সবাই জানি ৬৩টি জেলায় বোমা ফোটানোর পিছনে জেএমবি এবং তাদের দাওয়াতি সংগঠন আহলে হাদীস জড়িত ছিল। বাংলা ভাই ,শায়েখ আব্দুর রহমান এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব যিনি আহলে হাদীসের বর্তমান আমীর, একইসাথে জসীমুদ্দিন রহমানী এরা সবাই আজীবন আহলে হাদীসের অবিচ্ছদ্য অংশ। এদের মতাদর্শ নিয়ে ২০০৬ এ ১৭ আগষ্ট একটি গবেষনামূলক প্রতিবেদন বের হয়েছিল যেখানে প্রমান করা হয়েছে এই চারজন জঙ্গির আদর্শ বিশ্বাস এক ও অভিন্ন। বলে রাখা ভাল যে, জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এই দুটি মূলত মাঠ পর্যায়ে কাজ অর্থাৎ একেকটি অপারেশন সম্পাদনা করার কাজ করে যার ছকটি আসে আহলে হাদীস থেকে। মূলত আহলে হাদীস মতাদর্শটিকে টিকিয়ে রাখার জন্যে অর্থাৎ সরকার এবং গোয়েন্দাদের চোখ থেকে নিজেদের আড়াল রাখার জন্যে আহলে হাদীস সংগঠন নিজে মাঠ পর্যায়ে কোন অপারেশন অর্থাৎ জঙ্গিবাদি কার্যক্রম করেনা। ফলে অপারেশন করার জন্যে আগে জেএমবি আর বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে আহলে হাদীসের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করছে ফলে যখন কোন ইস্যুতে জঙ্গিবাদি কাজে সম্পৃক্ততার জন্য আনসারুল্লা বাংলা টিম ধরা খায় তখন মনে করা হয় যে এটা আলাদা একটি সংগঠন। অথচ এটার আসল গোড়া আহলে হাদীস যেখান থেকে আনসারুল্লাহ এবং জেএমবি অর্ডার পেয়ে থাকে। এক কথায় আহলে হাদীস নীরবে দাওয়াতি কাজ করে নিজেদের দল ভারি করছে আর কিছু অঙ্গ সংগঠন খুলে জঙ্গিবাদি কার্যক্রমও চালু রেখেছে। ফলে সরকার জঙ্গিবাদিতা বন্ধ করার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারছে না । এর সবচেয়ে বড় কারন হল জঙ্গিবাদের গোড়াটি এখনো অক্ষত ও দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। সারা দেশে তারা বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের মতাদর্শ প্রচারের জন্যে আহলে হাদিস নামে মসজিদ খুলেছে, লাগাতে চাইছে এখন টিভি। হঠাৎ করে কেউ আহলে হাদীসের সাথে মিশলে দেখতে পাবে যে সর্ব প্রথম তারা কোরআন আর সহীহ হাদীসের দাওয়াত দেয়। অথচ ভিতরের জগতটি অনেক বেশি অন্ধকার। ফলে জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করলেও আহলে হাদীস টিকে থাকা এবং সক্রিয় থাকার দরুন জঙ্গিবাদি কার্যক্রম চলছেই।
জামায়াতে ইসলামীর সাথে জঙ্গি আহলে হাদীস সালাফিদের সম্পর্ক
12 March 2017 the bd24news এ প্রকাশ হয় আহলে হাদীস সালাফি ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে হিযবুত তওহীদ জামায়াত । বলা বাহুল্য জঙ্গী আহলে হাদীস সালাফিদের আকীদা আর জামায়াত শিবিরের আকীদা এক । দেখুন জঙ্গি আহলে হাদীস সালাফিদের শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের মুখে জঙ্গী সালাফি নেতা জসীমুদ্দিন রহমানির প্রশংসা https://www.youtube.com/watch?v=jAUdMhY8MSQ&t=82s
এবার আসি ডা. জাকির নায়েকের সাথে জঙ্গিবাদিতার সম্পর্ক নিয়ে ।
ডা জাকির নায়েক হল এই আহলে হাদীস সালাফিদের গুরু। ডা.জাকির নায়েক তার এক লেকচারে আহলে হাদীসের খুব সমালোচনা করেছে অথচ এই সমালোচনা মূলত একটি পর্দা এবং ধোকা। কারন আহলে হাদীসের আকীদা এবং ডা.জাকির নায়েক এর আকীদা A to z পর্যন্ত মিল।এবং তার প্রতিষ্ঠান আহলে হাদীস অনুসারি ছাড়া কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়না। শুনুন জঙ্গী আহলে হাদীসের সেক্রেটারি মুজাফফর বিন মুহসিন এর মুখে https://www.youtube.com/watch?v=X9uRnficy_8
মূলত ডাক্তার জাকির নায়েক সরাসরি কোন জঙ্গি অপারেশনের তৎপরতার সাথে যুক্ত নয়। একইসাথে তিনি মুখে জঙ্গিবাদিতার সমালোচনাও করে থাকেন। বড় সমস্যাটি হল জাকির নায়েকের আকীদা এবং সেই অনুযায়ি লেকচার এর ধরন ও প্রকৃতি। জাকির নায়েক তার ঠিক একই মতাদর্শে বিশ্বাসী যেমনটা আহলে হাদীস পোষন করে। হাদীস এর সরাসরি অর্থ নেয়ার আকীদায় তারা অভিন্ন। ফলে এক দিকে যেমন জাকির নায়েক মুখে জঙ্গিবাদিতার বিপক্ষে বলছে অন্যদিকে মাযহাব এবং পীর সম্পর্কিত লেকচারগুলোতে হাদীসের অর্থকে সরাসরি গ্রহন করার আকীদাকে উস্কে দিচ্ছে। আর তাই আজ মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন হত্যা আহলে হাদীসের প্রধান টার্গেট হয়ে দাড়িয়েছে। এমনকি জঙ্গী দল আহলে হাদীসের শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বলে গোটা দেশটাই নাকি শির্কে ডুবে আছে এক কথায় কৌশলে জঙ্গী বাদিতা উস্কানি দিচ্ছে। দেখুন ভিডিও https://www.youtube.com/watch?v=dtYfdJQXT6w&feature=youtu.be
মূলত হাদীসের অর্থকে সরাসরি উদ্দেশ্য বানানোর কারনে আজ জাকির নায়েক নীরবে সারা পৃথিবীতে জঙ্গিবাদিতা ছড়িয়ে দিয়েছে। কারন কোরআন হাদীসে থাকা জিহাদের আহকামগুলো যখন পড়ে তখন তারা জাহেরি অর্থকে অর্থাৎ সরাসরি অর্থকে গ্রহন করে। ফলে জঙ্গিবাদিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ডা. জাকির নায়েক এর লেকচার শোনাকে সারা পৃথিবীর ইসলামি গবেষনা কেন্দ্র থেকে নাজায়েয ফতোয়া দেয়া হয়েছে । কিন্তু চটকদার সুন্দর উপস্থাপনার ছলনাময়ী প্রেমে পড়ে সাধারন মানুষ আজ অজান্তেই জঙ্গিবাদিতায় লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
অনলাইন Facebook/whatsapp/
অনলাইন Facebook /whatsapp এ জঙ্গী আহলে হাদীসের পক্ষে জাকির নায়েকের পক্ষে ব্যাপক প্রচারনা করছে জঙ্গীরা। দেড় কোটির উপড়ে থাকা সদস্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফেসবুক গ্রুপ Evergreen Bangladesh এই জঙ্গী আহলে হাদীসের দখলে। এছাড়া ''পীর ধর বস্তায় ভর' পীর মুরীদি বর্জন করি কুরআন সুন্নাহ জীবন গড়ি'' ইত্যাদি নামে গ্রুপ খুলে প্রতিনিয়ত জঙ্গী দল আহলে হাদীসের মতাদর্শ প্রচার করে যাচ্ছে। আর সাধারন মানুষ অজান্তেই জঙ্গী মতাদর্শ গ্রহন করে জীঙ্গীবাদিতায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
সরকারের সকল জঙ্গী বিরোধি পদক্ষেপ বিফলেঃ
সরকার যতই জঙ্গী বিরোধি পদক্ষেপ নিয়ে থাকুক সবই বিফলে। কারন জঙ্গী যারা তৈরি করে তারা সব সময়ই সুরক্ষিত ও ধরা ছোয়ার বাইরে। কারন আহলে হাদীস কখনোই সরাসরি জঙ্গী অপারেশন পরিচালনা করে না। তারা শুধু জঙ্গী তৈরি করে থাকে। আর সরকারের পদক্ষেপও সব জঙ্গী অপরেশনের সাথে যুক্তদের বিপক্ষে। ফলে জঙ্গী তৈরিকারি সুরক্ষিত সবসময়। যেমন হাইকোর্ট মাজার জামে মসজিদের খতিব ও চ্যানেল আইয়ের কাফেলা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলায় জঙ্গী আহলে হাদীস দলের সেক্রেটারি মোজাফফর বিন মুহসিনকে আটক করা হয় কিন্তুু প্রমানের অভাবে তাকে আদালত ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কারন মোজাফফর বিন মুহসিন অপারেশনের সথে যুক্ত নয়। মোজাফফর বিন মুহসিনসহ প্রত্যেক জঙ্গী আহলে হাদীসের নেতারা বলে পীর কাফির মুশরিকদের তরীকা। পীর মানেই শয়তান। তখন এই লেকচার শুনে সাধারন পাবলিকরা জঙ্গী হয়ে উঠে। সওয়াবের আশায় শয়তান মারতে চায়। এমনকি জঙ্গী দল আহলে হাদীসের শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বলে গোটা দেশটাই নাকি শির্কে ডুবে আছে এক কথায় কৌশলে জঙ্গীবাদিতা উস্কে দিচ্ছে। দেখুন ভিডিও https://www.youtube.com/watch?v=dtYfdJQXT6w&feature=youtu.be
সরকারের সাথে মিশে যাবার কূট কৌশলে ব্যস্ত জঙ্গী আহলে হাদীস সালাফিরাঃ নিজেদের গোড়া টেকাতে এবং জামায়াত শিবিরের মত ধুলিৎসাত যেন না হয় তাই নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে এখন সরকারের সাথে মিশে যাবার কূট কৌশলে ব্যস্ত জঙ্গী আহলে হাদীস সালাফিরা। এ লক্ষ্যে গতবছর ঢাকার মেয়র সাঈদ খোকনকে আহলে হাদীসেরা দাওয়াত করে এবং মেয়র লালবাগে তাদের ইজতেমায় যোগদান করে। এমনকি আহলে হাদীসের আরেক শায়েখ শহীদুল্লাহ খান মাদানির সাথে তার একাধিক বৈঠকও হয়েছে। একইসাথে জঙ্গী বিরোধি বই আর লোক দেখানো সমাবেশ করে সমাজের চোখে ভাল সাজার চেষ্টা প্রতিনিয়তই করছে। অন্যদিকে জঙ্গীবাদিতার বিষ সমাজে ঢেলে দিচ্ছে কৌশলে।
তাই সরকারকে শুধু জঙ্গীদের পেছনে পদক্ষেপ নিলে হবে না। জঙ্গীবাদিতার গোড়া আহলে হাদীস সালাফিদের বিপক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
(প্রকাশক ফেসবুক : আব্দুল্লাহ্ ফরিদপুরী)

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!