Friday, April 28, 2017

হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে গেলে অজু ভেঙে যাবে কি?

সমাজের মানুষরা বলে থাকে, অজু করার পর কোনোভাবে হাঁটু খুলে অর্থাৎ হাঁটুর উপর কাপড় উঠে গেলে অজু ভেঙে যায়। তেমনি পা ধোয়ার সময় যদি হাঁটু খুলে যায় তাহলেও যতটুকু অজু করা হয়েছে তা ভেঙে যাবে এবং আবার শুরু থেকে অজু করতে হবে। এ কারণে অনেককে নতুন করে অজু করতেও দেখা যায়। এ ব্যাপারে শরীয়তের জবাব হলো, হাঁটু খুলে গেলে বা হাঁটুর উপর কাপড় উঠলে অজু ভাঙবে না। সমাজে প্রচলিত এই ধারণাটি সঠিক নয়।
তবে হ্যাঁ হাঁটু সতরের অন্তর্ভুক্ত এবং তা ঢেকে রাখা জুরুরি। পা ধোয়ার সময় সতর্কতার সঙ্গে ধোয়া উচিত। কোনোভাবেই হাঁটুর উপর কাপড় উঠানো উচিত নয়। কিন্তু এ কথা সঠিক নয়, হাঁটুর উপর কাপড় উঠে গেলে অজু ভেঙে যায়। ফেকাহর কিতাবে নির্ধারিত অজু ভঙ্গের কারণ ছাড়া অন্য কোনো কারণেই অজু ভাঙে না। অজু ভঙ্গের যে সাতটি কারণ রয়েছে সতর খুলে যাওয়া বা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠার কারণটি নেই।
অজু ভঙ্গের কারণ সাতটি হলো, এক. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে অজু ভেঙে যাবে। দুই. শরীর থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে গেলে।
তিন. মুখভরে বমি করলে অজু ভেঙে যাবে। মুখ ভরে বমি করার অর্থ হল এত পরিমাণ বমি আসা যে মুখে সেটা আটকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়। চার. থুথুতে রক্তের পরিমাণ যদি থুথুর সমপরিমাণ বা থুথু থেকে বেশি হয় তাহলে অজু ভেঙে যাবে। পাচ. বেহুশ, পাগল, অজ্ঞান বা অচেতন হলে। ছয়. চিত বা কাত বা উপুড় হয়ে ঘুমালে অজু ভেঙে যাবে। এভাবে নিতম্বের একপার্শ্বে ভর করে ঘুমালেও অজু ভেঙে যাবে।
সাত. নামাজের মধ্য এরকম শব্দ করে হাসা যে পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে এরকম শব্দ করে হাসলেও অজু ভেঙে যাবে। এই হল অজু ভাঙার প্রধান ও মৌলিক কারণসমূহ। উপর্যুক্ত সাতটি কারনের মাঝে হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে যাওয়াটি নেই।

দলীল: উলঙ্গ হওয়া অজু ভঙ্গের কোন কারণের অন্তর্ভূক্ত নয়। তাই সতর খুলে যাওয়ার দ্বারা অজু ভঙ্গ হবে না। তেমনিভাবে লজ্জাস্থানে হাত দেবার দ্বারাও অজু নষ্ট হয় না। তবে হাতটি ধুয়ে নেয়া উত্তম।

عشرة أشياء لا تنقض الوضوء، منها (الى ان قال) ومنها مس ذكر ودبر وفرج مطلقا، (حاشية الطحطاوى على المراقى الفلاح، كتاب الطهارة، فصل عشرة أشياء لا تنقض الوضوء-93)

أيضا لا ينقض مس ذكر لكن يغسل يده ندبا وإمرأة وأمرد لكن يندب للخروج من الخلاف لا سيما للإمام)

وفى رد المحتار، قوله لكن يغسل يده ندبا لحديث من مس ذكر فليتوضأ أى ليغسل يده جمعا بينه وبين قوله صلى الله عليه وسلم هل هو إلا بضعة منك، حين سئل عن الرجل يمس ذكره بعد ما توضأ (الدر المختار، مع رد المحتار، مطلب نوم الأنبياؤ غير ناقض-1/147

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে বু্ঝে আমল করার তৌফিক দান করেন।  আমীন


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!