Friday, April 28, 2017

এই উম্মতকে দাওয়াত দেয়ার সবচেয়ে বড় পদ্ধতি হল হিকমত ও নম্রতা অবলম্বনকরা।"

"হজরত মাওলানা ইলিয়াস সাব (রহঃ) যখন সর্বপ্রথম একা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ শুরু করেন, তখন তিনি একাই এক কৃষকের কাছে দাওয়াতের নিয়তে যান। তখনকার যুগে মেওয়াতের লোক ছিল দরিদ্র ও মূর্খ।
:
হজরতজী যখন মাঠে গেলেন কৃষকের কাছে তখন কৃষক ক্ষেতে হাল চাষ করছিল, লাঙল দিয়ে। হজরতজী ঐ কৃষককে সালাম দিলেন। তিনি কৃষককে বললেন যে, "জনাব আপনার কাছে একটু সময় চাই। যদি দয়া করে দেখতেন যে, আমার কলেমা পড়াটা শুদ্ধ হয় কিনা?"
:
ঐ কৃষক কোন জবাব না দিয়ে হাল চাষ করতে থাকল। হজরতজী ও লোকটির সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকলেন। এবং বারবার একই কথা বলে অণুরোধ করতে থাকলেন। একসময় বিরক্ত হয়ে হজরতজীকে আঘাত করল এবং আঘাত পেয়ে হজরতজী মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন।
:
লোকটি হজরতজীর হালত দেখে অণুতপ্ত হলেন ও লজ্জিত হলেন। পরে এসে হজরতজীর কাছে ভুল স্বীকার করলেন ও হজরতজী যে তাকে কলেমা শুনতে বলেছিলেন ঐ কলেমা পড়তে বললেন।
:
হজরতজী যখন কলেমা পাঠ করলেন তখন লোকটি শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।লোকটি আফসোস করল নিজের ভুল ভেবে, "হায় জীবনের এতগুলো বছর পার হয়ে গেছে আজও কলেমা শুদ্ধ করে শিখতে ও পড়তে জানলাম না? কি জবাব দিব আল্লাহর কাছে?" লোকটি সঙ্গে সঙ্গে চললেন হজরতজীর সঙ্গে তাবলীগে।
:
সুবহানআল্লাহ। আজ অধিকাংশ উম্মত কলেমা সহীহ ভাবে পড়তে জানেনা, নামাজ পড়তে জানেনা অথচ নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করে। ইমানের হিফাজত করতে জানেনা, শিরিকি কুফরী থেকে বাঁচতে জানেনা অথচ ইমানদার হবার দাবী করে। এলেম নেই অথচ আলেমদের সমালোচনা করে।
*
তাহলে দাওয়াতটি আগে কার প্রয়োজন? আমাদের মুসলমানের না বিধর্মীদের? শুধু গরু খেলেই মুসলমান হয় না। "মুসলমান" মানে "মুসাল্লাব ইমান" অর্থাৎ ইমানের অধীনে থাকা।

আল্লাহ্ মরার আগে সহীহ বুঝ দান করুন। আমিন।।


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!