Thursday, July 6, 2017

নামাযের ওয়াজিব সমূহ ১৪ টি নিম্নে তুলে ধরা হলো

(১) সূরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারীঃ ৭৫৬)

(২) সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরাহ বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মিলানো। (বুখারীঃ ৭৭৬ / মুসলিমঃ ৪৫১)

(৩) ফরযের প্রথম দুই রাক'অাত কে ক্বির'আতের জন্য নির্দিষ্ট করা। (বুখারীঃ ৭৭৬ / মুসলিমঃ ৪৫১)

(৪) সূরা ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিযীঃ ২৪৬ / ত্বাহাবীঃ ১১৭২)

(৫) নামাযের সকল রোকন ধীর স্হিরভাবে আদায় করা। (অর্থাৎ রুকূ, সিজদাহ এবং রুকূ হইতে সোজা হয়ে দাড়িয়ে ও দুই সিজদাহর মাঝখানে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা।)
(আবু দাউদ, হাঃ নং -  ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮)

(৬) প্রথম বৈঠক করা। (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাক'আত নামাযের দুই রাক'আতের পরে বসা।) (বুখারীঃ ৮২৮)

(৭) উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
(বুখারীঃ ৮৩০, ৮৩১ / মুসলিমঃ ৪০২, ৪০৩)

(৮) প্রত্যেক রাক'আতের ফরয এবং ওয়াজিব গুলোর তারতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা। (তিরমিযীঃ ৩০২)

(৯) ফরয এবং ওয়াজিবগুলো স্ব স্ব স্হানে আদায় করা। (যেমনঃ দ্বিতীয় সিজদাহ প্রথম সিজদাহর সাথে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে তৎক্ষণাত তৃতীয় রাক'আতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।) (বাদীউস সানায়েঃ ১/ ৬৮৯)

(১০) বিতরের নামাযে তৃতীয় রাক'আতে ক্বির'আতের পর কোন দুয়া পড়া।  অবশ্য দূয়ায়ে কুনুত পড়লে ওয়াজিব এর সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।
(নাসায়ীঃ ১৬৯৯ / ইবনে মাজাহঃ ১১৮২ / ত্বহাবীঃ ১৪৫৫)

(১১) দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবূ দাউদঃ ১১৫৩)

(১২) দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাক'আতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুজূর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহঃ ৫৭০৪ / মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ৫৬৮৫)
#বিঃদ্রঃ "এ তাকবীরটি অন্যান্য নামাযে বলা সুন্নাত।"

(১৩) ইমামের জন্য যোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে  ক্বির'আত আস্তে পড়া এবং ফজর, মাগরীব, ইশা, জুমু'আ, দুই ঈদ, তারাবীহ এবং রমজান মাসের বিতর নামাযে ক্বির'আত শব্দ করে পড়া। (মারাসীলে আবু দাউদঃ ৪১ / মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকঃ ৫৭০০ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহঃ ৫৪৫২)

বিঃদ্রঃ "আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে নয়, কারণ তাতে নামায শুদ্ধ হয় না। বরং আওয়াজ না করে মুখে পড়া জরুরী।

(১৪) সালাম- এর মাধ্যমে নামাজ শেষ করা। (আবু দাউদঃ ৯৯৬)

বিঃদ্রঃ "উল্লেখিত ওয়াজিবসমূহের মধ্য হতে কোন একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। সিজদায়ে সাহু না করলে বা ইচ্ছাকৃত কোন ওয়াজিব তরক করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া ওয়াজিব হবে। (প্রমাণঃ শামী-১৪ : ৪৫৬ / আলমগিরীঃ ১:৭১, আল বাহরুর রায়িকঃ ১/৫১০)

আল্লাহ্ সকলকে আমল করার তওফিক দান করুন। ওয়ামা তওফিক ইল্লাবিল্লাহ। আমীন


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!