Friday, July 7, 2017

গালি দিতে মনে চায় আমাকে দিন।কিন্তু খাইরুল কুরুনের কোন ইসলামি ব্যক্তিকে গালি দিবেন না।

রাসুল সা: বলেন সর্বোত্তম যুগ হলো আমার যুগ।
এরপর তার পরবর্তী (সাহাবা) যুগ।
এরপর তার পরবর্তী(তাবেয়ী) যুগ।
:
ইমাম আবু হানিফা রহ: এর জন্ম সাল সম্পর্কে ৩ টা  মত পাওয়া যায় ইতিহাসের কিতাবে।
:
১। ইমাম আবু হানিফা রহ: ৬১ হিজরিতে জন্ম গ্রহন করেছেন।
২। তিনি ৬৯ হিজরিতে জন্ম গ্রহন করেছেন।
৩। তিনি ৮০ হিজরিতে জন্ম গ্রহন করেছেন।
:
এখন কথা হলো।
আমরা ইমাম আবু হানিফা রহ: এর জন্ম সাল সম্পর্কে ৩ টি মতের সর্ব শেষটি ধরে নিলাম।
৮০ হিজরীতে তিনি জন্ম গ্রহন করেছেন।
:
আর একথা সবার যানা।
সর্বশেষ সাহাবি যিনি ইন্তেকাল করেছেন
তা ১২০ হিজরীতে।
:
তাহলে ইমাম আবু হানিফা রহ: ৪০ বসর জিবন কেটেছে
এর মধ্যে তিনি একাধিক সাহাবিদেরকে দেখেছেন।
এবং তাদের সাহচার্য লাভ করেছেন।।
:
রাসুল সা: এর আমল দেখেছেন সাহাবিগন এবং সাহাবাগনের আমল দেখেছেন তাবেয়ীগন।
আর ইমাম আবু হানিফা রহ:একজন তাবেয়ী।
:
★আজ দু:খের সাথে বলতে হয়।
অনেকে ইমাম আবু হানিফা রহ: কে গালি দেন।
:
ভাই আপনি কার কথা শুনে প্রলুপদ্ধ হয়ে কাকে গালি দিচ্ছেন???
একটু খেয়াল করেছেন???
:
রাসুল সা: তাবেয়ীগন এর যুগকে উত্তম যুগ হিসেবে আখ্যা দিলেন
আর আপনি!!!
জাকির, মতি,আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ যারা এযুগের ধোকাবাজ
এদের কথায় আপনি একজন তাবেয়ীকে গালি দিচ্ছেন।।।??
সাবধান।।!!
:
ইমাম আবু হানিফা রহ: এর যুগে হাদিস কিতাব আকারে লিপিবদ্ধ হয়ে মানুষের হাতে আসেনী।।
এজন্য এবং এজন্য অনেকে অজ্ঞাত বশত বলে থাকেন।।
হাদিসের কিতাব না থাকার কারনে ইমাম আবু হানিফা সকল হাদিস হয়ত পাননি।।
:
ভাই হয়ত বা নতুবা
এসকল বোকামি ধারনা ছাড়ুন।।
:
সাহাবি ও তাবেয়ী যুগের লোকদেরকে আল্লাহ প্রখর মেধা দিয়েছেন।
তারা হাদিস সংরক্ষন(মুখাস্থ) রাখতেন এক সিনা থেকে আরেক সিনা হিফজের ন্যায়।
ইমাম আবু হানিফা রহ: এর যুগে হাদিস বিষয়ে মসজিদে আলোচনা হতো এক একজনে লক্ষাধিক হাদিস মুখাস্ত সনদ ও মতন সহ বলতেন।।
:
আজ সেই তাবেয়ীদের ব্যাপারে বলেন হাদিস যানতো না।।
ইতিহাস পড়ুন।।
তারপর কথা বলুন।।
:
ইমাম বুখারী রহ: স্বয়ং নিজে বলেন,আমি ৬ লক্ষ সহিহ হাদিস থেকে যাচাই বাছাই করে বুখারী শরীফ লিখেছি মাত্র কয়েক হাজার হাদিস দিয়ে।
বাকি লক্ষ লক্ষ হাদিস লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি কিতাব বড় হয়ে যাবে বলে।
:
আজ সেই বুখারী শরীফ আমাদের সামন
পবিত্র কুরআন পরেই বুখারী শরিফকে মুল্যায়ন করি তার বিশুদ্ধতার কারনে।।
:
সেই ইমামে বুখারী রহ: পর্যন্ত ইমাম আবু হানিফা রহ: কে সম্মান করেছেন।
:
ইমাম আবু হানিফা রহ: একটি আয়াত ও সহিহ হাদিসের আলোকে মাসালায়া লিপিবদ্ধ করে।
৪০সদস্য ফকিহ ও মুহাদিসসীন্দের দ্বারা গঠিত  বোর্ডের সামনে পেশ করতেন।
তার যদি বলত হ্যা হাদিস সহিহ আছে মাসালায়া ঠিক আছে।
তাহলে সেই মাসালায়া লিপিবদ্ধ হত।।
:
এতো নিখুতভাবে হাদিস কুরআন থেকে ফিকহি মাসালায়া লিখেছেন।
যে ঐ যামানার সকল মুহাদ্দিসীনগনই প্রশংসা করেছেন
ইমাম আবু হানিফা রহ: এর।
:
আজ বর্তমানে কিছু অজ্ঞ ব্যক্তিরা তার বিরোধিতা করতেছে আর বলতেছে তিনি হয়ত হাদিস পাননি।।ভাই আপনাদের সামনে কয় লক্ষ হাদিস আছে???
আপনারা ইন্টার নেটের মাধ্যমে রাসুল সা: থেকে নতুন কোন হাদিস নিয়ে আসলেন নাকি?????
;
নাকি বুখারী, মুসলিম শরীফ সাহাবাদের যুগে লিখা হয়নি বলে তারা হাদিস পায়নি????
:
এমন উল্টাপাল্টা ধারনা থাকলে তওবা করুন।
মুর্খতা ছাড়ুন।।
মানুষকে আজ গালি শিখিয়েছেন সহিহ টিভি বক্তারা
আর আমাদের মুসলিম বন্ধুরাও হুযুকে মুসলিম।
যারা টিভিতে নাটক সাজিয়ে কথা বলে এদেরকে বড় কিছু ভাবে।
আর তাদের কথা শুনে।
সাহাবি ও তাবেয়ীদেরকে গালি দিতে কার্পন্য করেনা।
:
ভাই একটু মুখ সামলান।
এযুগের জাকির নায়েক,আর মতি টতির কথায়।।।
:
ইমাম আবু হানিফা রহ:
ইমাম মালেক রহ:
ইমাম শায়েফী রহ:
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ:
এর মত সোনালী যুগের ব্যক্তিদেরকে গালি দিয়েন না।।
:
কুরআন হাদিস বুঝেছেন তাদের মাধ্যমে।।তাদেরকে মেধা দিয়েছেন আল্লাহ ফলে তারা মানুষের চলাচলের সকল বিষয়ের প্রয়োজনীয় মাসালায়া বের করেছেন হাদিস কুরআন রিসার্স করে।।
:
আমাদের এই যুগে কে আছে এমন।।!?
কেউ নেই যারাই দেখেন সহিহ দাবি করতেছে
এরা ৪ ইমামদের কিতাব থেকে মাসালায়া চুরি করে নিয়ে
হাদিসের সাথে মিলিয়ে বলে আমরা সহিহ হাদিসে এই মাসালায়া পেয়েছি।
:
ভাই ঐ সহিহ হাদিস থেকে যদি ইমামগন মাসালায়া বের না করে দিতেন
তাহলে আমাদের যামানার টিভি লেকচারালরা যানতোই না কোন হাদিসে রাসুল সা: কি বুঝাতে চেয়েছেন!!!
:
শুধু জোরে আমীন বলা আর রফই ইয়াদাইনের নাম ইসলাম নয়।
:
ইসলাম।
মানুষের যাবতীয় সনাধানের নাম।
আজ কথিত আহলে হাদিসরা শুধু নামাজি ব্যক্তিদেরকে ধোকা দিচ্ছে।
বিভিন্ন মাসালায় গড়মিল দেখিয়ে।।
:
ভাই কথিত আহলে হাদিসরা।।
:
যাকাতের বিষয়ে আপনাদের শায়েখরা চুপ কেনো???
:
বর্তমান সমাজে হাজারো খারাপ কাজ হচ্ছে।।আপিনাদের টিভি ছায়েখরা চুপ কেনো????
সহিহ হাদিসে কি জিনা ব্যভিচার হারাম বলা হয়নি???
তাহলে কেনো আপনাদের শায়েখরা এই বিষয়ে কথা বলেনা।।
:
বাংলাদেশে কোন ইসলাম বিরোধী কাজ হলে।
বা কোন দেশে মুসলিম নির্যাতিত হলে।
আপনাদের সহিহ শায়েখেরা প্রতিবেদন দেয়না কেনো???
রাস্তায় নেমে আসেনা কেনো???
:
আপনারা কিসের সহিহ সহিহ জিকির করেন
টিভিতে বসে।।আর ফেসবুকের পাতায়।।???
এটাই কি ইসলাম????
:
মিয়ানমারে হামলা করেছে বৌদ্ধরা।।
তখন বাংলাদেশ ভারতের কওমী ওলামাগন তার প্রতিবাদ করেছেন।।
তখন আপনাদের জাকির টাই জাল মতি মাদানি কই ছিলো???
কোন প্রতিবেদন নেই কেনো তাদের????
:
এরপরও কি বুঝেন না।।।
:
এসকল ট্যাটু টিভি হুজুররা বিধর্মীদের দালাল।।??
:
শুধু সহিহ ট্যাবলেট লেকচার দেয় বলেই কি গিলে ফেলেন????
নাকি আগা,মাথা কিছু বুঝেন???
:
যাই হোক।।
বিধর্মীদের কেনা দাসদের কথা শুনে।
সাহাবি ও তাবেয়ীদেরকে গালি দিবেন না।।।
:
গালি দেয়া ইসলামে সমর্থন করেনা।
রাসুল সা: বলেন।
মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকি কাজ আর হত্যা করা কুফুরী কাজ।
:
এজন্য না বুঝে।
ইসলামের বড় ব্যক্তিদের নামে কোনরূপ মন্তব্য করবেন না।
:
নিজে কতিটুকু ইসলাম বুঝতে পেরেছেন সেটা নিয়ে ভাবুন।।
:
আর মানুষের লিখে দেয়া বাংলাকে কিভাবে বিশ্বাস করবেন।।
আজ আহলে হাদিসরা নিজেরা নিজেদের মনগড়া তরজমা করে এপস বের করে দিয়েছে।
কিছু এপসে আহলে হাদিসরা মুসলিম শরীফের ভুমিকা কেটে দিয়েছে।
আনেনি জন সাধারনএর সামনে।
কারন মুসলিম শরীফের মুকাদ্দামা এটা।
বর্তমান যামানার আহলে হাদিসদের জন্য এক বড় বিপদ।।
তাই সেটা টের পেয়ে কেটে দিয়েছে
এই ফিত্নাবাজরা।।।।
:
আল্লাহ আমাদের সকলের ঈমানকে নামধারী কথিত আহলে হাদিসদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
আমীন।।

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!