Saturday, May 27, 2017

ফেসবুক ব্যবহারকারী সকল মুসলিম সদস্যদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!!!

বাংলাদেশের প্রায় লহ্ম লক্ষ  মানুষ একটি ভুল পথে যাচ্ছে যারা শুধুমাত্র অনলাইনে সক্রিয় থাকে এবং এরা
ইসলামকে ব্যবহার করে এই কাজটি করছে। এটি একটি ভয়াবহ চিত্র। এদের স্ট্যাটাসগুলো যেরকম হয়ে থাকে তার কিছু নমুনা হলোঃ
.
১। একটি বিকলাঙ্গ শিশুর ছবি দিয়ে বলবে যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে কেউ আমিন না লিখে যাবেন না। তার মানে আপনি যদি আমিন না লিখেন তাহলে অমুসলিম হয়ে যাবেন??
.
২। আল্লাহ পাকের নাম অমুক জায়গায় এখানে সেখানে পাওয়া গিয়েছে এসব ফটোশপ করে ছবি দিয়ে বলবে ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না। এড়িয়ে গেলে কি হবে সেটা ওনারাই জানেন।
৩। হিজাব পরা কোনো আরব রমনীর ছবি দিয়ে বলবে এই মুসলিম বোনটির জন্য কতগুলা লাইক পাব দেখি।
৪। কখনো শুদ্ধ কখনো জাল হাদিস ব্যাখ্যা ছাড়া তুলে
ধরে বলবে সবাই লাইক দিন যদি জান্নাতে যেতে চান। তার মানে লাইক না দিলে আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন না??
৫। আদম আঃ এর পায়ের ছাপ, মা ফাতিমার শাড়িও আপলোড করে বলবে যদি ঈমানদার হয়ে থাকেন তাহলে সবাই লাইক কমেন্ট শেয়ার করুন। তাহলে আমরা যদি লাইক কমেন্ট না করি তাহলে কি ঈমান হারা হয়ে যাবো? (আল্লাহ মাফ করুন)।।
৬। এমনকি রাসুল (সাঃ) এর নাম ব্যবহার করেও এরা এ ধরনের কাজ করে থাকে। (নাউজুবিল্লাহ)।
[সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন রইল যে, এগুলি করেই কি সওয়াব কামানো সম্ভব? সকলের নিজস্ব মতামত আর বিবেক দিয়ে বিচার করবেন বিষয়টি। আমি যদি ভুল বলে থাকি দয়া করে আমাকে সংশোধন করে দিবেন।]
.
অথচ সরলমনা মুসলিমেরা না বুঝেই এসবে লাইক দিয়ে থাকেন। শেয়ার করে থাকেন। অথচ তাঁরা ভাবছেন
এটি করে বুঝি পূণ্য হলো। তাদেরকে বুঝিয়ে দেবার মত কেউ নেই যে, যদি এসবেই আপনি সওয়াব পেতেন তাহলে ইসলামের মত একটি স্মার্ট এবং আধুনিক ধর্মে অবশ্যই এসবের কথা উল্লেখ থাকতো যে, কলিযুগে এরকম কিছু পেইজ আসবে এবং তোমরা তাতে লাইক কমেন্ট শেয়ার দিয়েই পূণ্য কামিয়ে নিতে পারবে।
.
এরা মানুষকে ইসলামের আসল শিক্ষা থেকে দূরে রেখে
ধর্মপ্রাণ মানুষকে যারা স্বল্প শিক্ষিত কিংবা প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেই অথচ ফেইসবুক চালাতে জানেন এমন মানুষদেরকে টার্গেট করেছে। এদের উদ্দেশ্য ব্যাপক।
.
অনেক অনেকদিন আগে "বাংলাদেশে হঠাৎ করে এত নাস্তিকের এবং ইসলাম বিরোধীদের আধিক্য কেন?" এরকম শিরোনামে একটি লেখা দেখেছিলাম।এবং সেখানে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে দেখানো হয়েছিলো বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে এরা পয়সা পেয়ে থাকে। মূলধারায় যারা লেখা লেখি করেন এবং শিক্ষিত তাদের ব্যাপারতো আছেই। এরপর যখন শিক্ষিত মুসলিমেরা এই নাস্তিকতাবাদের বিরুদ্ধে লিখতে শুরু করলেন এবং যখন তারা বুঝে ফেললো এভাবে ইসলাম থেকে দূরে সরানো যাচ্ছেনা এদেরকে। শিক্ষিত মুসলিমেরা কলম ধরেছেন এদের বিরুদ্ধে তখন তারা এই রেডিও পথ এবং হিজাবী রমনী পথ গ্রহণ করলেন।
ইসলামকে ব্যবহার করেই মুসলিমদেরকে অন্ধ করে
রাখা একটি সম্প্রদায়কে, ইসলামিক প্রজন্মকে ধ্বংস করতে এর চাইতে ভালো উপায় আর নেই।
.
এটি অ্যালার্মিং। এদের বিরুদ্ধে সচেতনতা জরুরী। নাহলে আমরা একটি অশিক্ষিত এবং ভুল ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি। যারা ইসলামের দাওয়াত দিতে গেলে এইসব ফেইক ছবির ব্যবহার
ছাড়া আর কিছুই জানবে না।এবং তখন মানুষ এদেরকে প্রত্যাখ্যান করে আদতে ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করবে। তখন দ্বিতীয়বার দাওয়াতের সুযোগ থাকবে না। তারা ধরেই নেবে এটাই বুঝি ইসলাম এবং এটি অন্তঃসারশূন্য একটি ধর্ম, গোঁড়ামিতে আর অশিক্ষায় ভরপুর। সুতরাং সাবধান হওয়া জরুরী।
.
আসুন আমরা ইসলামের সঠিক শিক্ষায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করি। কোন লাইক কমেন্টস বিজনেস না করে চলুন সঠিক ইসলামকে তুলে ধরে মানুষকে জানতে ও শিখতে সহায়তা করি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান চর্চায় আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করুক।

★শেয়ার করে সবাই কে জানিয়ে দিন


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!