Saturday, April 29, 2017

লা মাজহাবিদের বাহাসে পরাজয়-----!!

স্থান --
বরগুনা জেলার আমতলী থানা সদরের হোসাইনিয়া ফাজেল মাদরাসার হলরুম।

গতকাল রাতেই উলামায়ে দেওবন্দের পক্ষ থেকে ২৫ জন মুহাদ্দিস ও মুফতি আমতলী এসে পৌঁছেছেন। সাথে ছিল প্রায় পাঁচশত তাফসীর ও হাদীসের কিতাব।
সকাল দশটার মধ্যে আমরা বহসের স্থানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছি। বিপক্ষের লা-মাজহাবীরাও এসে হাজির হয়েছে।
বহসের বিচারক জনাব মুফতি গোলাম মাওলা কাসেমী সাহেবও যথাসময়ে এসে পৌঁছেছেন। সময়মত সভাপতি হিসেবে সম্মানিত মেয়র মহোদয় এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় সভাস্থলে আসলেন।

চুক্তিনায় শর্ত ছিল আমরা থাকব ২৫ জন, আর লা-মাজহাবীরাও থাকবে ২৫ জন। কিন্তু সভাপতি ও প্রধান অতিথি ঘোষণা করলেন উভয় পক্ষ থেকে থাকবে দশ দশ বিশজন। আমরা উভয় পক্ষ মেনে নিলাম।
আমাদের পক্ষের দশজন হলেনঃ
১। মুফতি আবদুল মান্নান সাহেব,
২। মুহাদ্দিস মোস্তফা মাহমুদ সাহেব,
৩। মুফতি সালাহুদ্দীন সাহেব,
৪। মুফতি ফয়জুল্লাহ সাহেব,
৫। মুফতি মুযযাম্মিল হুসাইন সাহেব,
৬। মুফতি মীযানুর রহমান সাহেব,
৭। মুফতি মুহিব্বুল্লাহ সাহেব,
৮। মাওলানা উমর ফারুক্ব সাহেব,
৯। মাওলানা শফিউল আলম সাহেব,
১০। মুফতি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

বেলা এগারটার পর বহস শুরু হয়। বহসের পাঁচটি আলোচ্য বিষয়ের প্রথমটি ছিল "শরীরের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পরলে অজু যাবে কিনা"। সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে প্রথমেই আমরা হানাফীদের দাবী অনুযায়ী অজু নষ্ট হওয়ার পক্ষে দলীল পেশ করি। পরে ওরাও দলীল দেয়। এক সময় সভাপতি মহোদয় এ বিষয়ে মুলতবি ঘোষণা করেন। পরবর্তী "তাকলীদে শখছী (মাজহাব মানা)" বিষয়ে প্রথমে উনারা কথা বলেন। এ বিষয়টা সমাপ্ত হবে হবে সময়ে জুহুর সালাতের আজান হয়ে যায়।
আমাদের পেশকৃত দলীলের সম্মুখে টিকতে না পেরে বিপক্ষের প্রধান ব্যক্তি তাকলীদে শখছী মেনে নেন। মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান কিছু কথা বলেন। শেষে সভাপতি পৌর মেয়র সাহেব বিচারক মহোদয়ের রায় অনুযায়ী এক ও দুই নং বিষয়ে আমাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বাকী (১) নামাযে ইমামের পিছনে মুসুল্লীর সূরা ফাতিহা/ ক্বিরাত পড়া যাবে কি যাবেনা, (৩) ইল্লাল্লাহ জিকির জায়েয কিনা, (৫) মসজিদের সশব্দে জিকির করা জায়েয কিনা এই তিন বিষয়ের লিখিত দলীল সভাপতি সাহেব উভয়পক্ষকে জমা দিতে বলেন। আমরা হানাফীগণ প্রত্যেক বিষয়ে প্রায় ষাট-সত্তরটি করে দলীল-আদেল্লা তখনই বিচারকের নিকট জমা দিয়ে দিই। উনাদের কাছে লিখিত দলীল-পত্র না থাকায় সাতদিন সময় চেয়ে নেয়। সাতদিন পরে বা আরো পরে পাব চুরান্ত বিজয়।
আমরা সংঘটিত দুই বিষয়ে বিজয়ী হওয়ায় ছোট একটি মিছিল বের করি।
অনুষ্ঠানটি অডিও-ভিডিও করা হয়েছে। সময় সুযোগ করে ইন্টারনেটে আপলোড করব ইনশা আল্লাহ।
যারা দুয়া করেছেন, সহযোগীতা করেছেন, সহমর্ম প্রদর্শন করেছে তাদের সবাইকে জানাই বে-হিসাব মুবারকবাদ।

Mufti Habibullah Siraji ওয়াল থেকে Hafiz Khasru👌


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!