জাকারিয়া (আঃ) এর সন্তান লাভ
এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর দাস জাকারিয়ার (আঃ) প্রতি। যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করেছিল নিভৃতে।
সে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধ্যক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে; হে আমার প্রতিপালক! আপনাকে আহ্বান করে আমি কখনো ব্যর্থকাম হই নাই। আমি আশংকা করি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের (দ্বীনকে ধ্বংস করে দিবে) আমার স্ত্রী বন্ধ্যা, সুতরাং আপনি আপনার নিকট হতে আমাকে দান করুন উত্তরাধিকারী। যে আমার উত্তরাধিকারিত্ব করবে এবং উত্তরাধিকারিত্ব পাবে ইয়াকুবের (আঃ) বংশের, এবং হে আমার প্রতিপালক! তাকে করুন সন্তোষভাজন।
তিনি (আল্লাহ্) বললেন, হে যাকারিয়া (আঃ)! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহইয়া (আঃ); এই নামে আমি পূর্বে কারো নামকরণ করি নাই। সে বললো, হে আমার প্রতিপালক! কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি! তিনি বললেন, এই রূপই হবে; এটা আমার জন্য সহজ সাধ্য; আমি তো পূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না। যাকারিয়া (আঃ) বললো, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি নিদর্শন দিন! তিনি বললেন, তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি (সুস্থাবস্থায় থাকা সত্বেও) কারো সাথে ক্রমাগত তিন দিন বাক্যালাপ করবে না। অতঃপর সে কক্ষ হতে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট আসলো ও ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে বললো।
আমি বললাম, হে ইয়াহইয়া (আঃ)! এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করো; আমি তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম জ্ঞান। এবং আমার নিকট হতে হৃদয়ের কোমলতা ও পবিত্রতা; সে ছিল মুত্তাকী। পিতা-মাতার অনুগত এবং সে উদ্ধত (স্বেচ্ছাচারী) ও অবাধ্য ছিল না। তার প্রতি ছিল শান্তি যে দিন সে জন্ম লাভ করে, ও শান্তি থাকবে যেদিন তার মৃত্যু হবে ও যেদিন সে জীবিত অবস্থায় পুনরুজ্জীবিত হবে।
(সূরাঃ মারইয়াম: আয়াতঃ ২-১৫)
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!