নারী পুরুষের শারীরিক গঠন, সক্ষমতা, নিরাপত্তা ইত্যাদী নানা বিষয়ে যেমন পার্থক্য রয়েছে, তেমনি পার্থক্য রয়েছে ইবাদতসহ শরীয়তের অনেক বিষয়ে। যেমন-
১-পুরুষ ও মহিলা উভয়ের উপরই হজ্ব ফরয। কিন্তু মহিলাদের জন্য পথ খরচ ছাড়াও হজ্বের সফরে স্বামী বা মাহরাম পুরুষের উপস্থিতি শর্ত।
২-ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য মাথা ঢাকা নিষেধ। অথচ মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢেকে রাখা ফরয।
৩-ইহরাম খোলার সময় পুরুষ মাথা মুন্ডায়। কিন্তু মহিলাদের মাথা মুন্ডানো নিষেধ।
৪-হজ্ব পালনকালে পুরুষ উচ্চ আওয়াজে তালবীয়া পাঠ করে, পক্ষান্তরে মহিলাদের জন্য নিম্ন আওয়াজে পড়া জরুরী।
৫-পুরুষের উপর জুমআ পড়া ফরয, মহিলাদের উপর নয়।
৬-নামাযে সতর্ক করার মত কোন ঘটনা ঘটলে সতর্ক করার জন্য পুরুষের তাসবীহ পড়ার হুকুম করা হয়েছে। কিন্তু মহিলাদের তাসফীক করা তথা হাতে শব্দ করার বিধান।
৭-ইমাম ও খতীব শুধু পুরুষই হতে পারে, কোন নারী হতে পারেনা।
৮-আজান শুধু পুরুষই দিবে, কোন নারীকে মুয়াজ্জিন বানানো জায়েজ নয়।
৯-পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামায পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আর মহিলাদের ঘরে নামায পড়াই উত্তম বলা হয়েছে।
১০-সতর। পুরুষের সতর হল নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত। আর পরপুরুষের সামনে নারীদের সতর হল প্রায় পুরো শারীরই ঢেকে রাখা ফরয।
নারী-পুরুষের মাঝে এরকম পার্থক্যসম্বলিত ইবাদত সমূহের অন্যতম হল নামায। তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানো, হাত বাঁধা, রুকু, সেজদা, প্রথম ও শেষ বৈঠক ইত্যাদী ক্ষেত্রগুলোতে পুরুষের সাথে নারীর পার্থক্য রয়েছে। তাদের সতরের পরিমাণ যেহেতো বেশি তাই যেভাবে তাদের সতর বেশী রক্ষা হয় সেদিকটিও বিবেচনা করা হয়েছে ক্ষেত্রগুলিতে। মুসলিম উম্মাহর প্রায় দেড় হাজার বছরের অবিচ্ছন্ন আমলের ধারা তাই প্রমাণ করে। বিষয়টি প্রমাণিত রাসূলে কারীম সাঃ এর হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের ফতোয়া ও আছারের মাধ্যমে।
১-পুরুষ ও মহিলা উভয়ের উপরই হজ্ব ফরয। কিন্তু মহিলাদের জন্য পথ খরচ ছাড়াও হজ্বের সফরে স্বামী বা মাহরাম পুরুষের উপস্থিতি শর্ত।
২-ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য মাথা ঢাকা নিষেধ। অথচ মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় মাথা ঢেকে রাখা ফরয।
৩-ইহরাম খোলার সময় পুরুষ মাথা মুন্ডায়। কিন্তু মহিলাদের মাথা মুন্ডানো নিষেধ।
৪-হজ্ব পালনকালে পুরুষ উচ্চ আওয়াজে তালবীয়া পাঠ করে, পক্ষান্তরে মহিলাদের জন্য নিম্ন আওয়াজে পড়া জরুরী।
৫-পুরুষের উপর জুমআ পড়া ফরয, মহিলাদের উপর নয়।
৬-নামাযে সতর্ক করার মত কোন ঘটনা ঘটলে সতর্ক করার জন্য পুরুষের তাসবীহ পড়ার হুকুম করা হয়েছে। কিন্তু মহিলাদের তাসফীক করা তথা হাতে শব্দ করার বিধান।
৭-ইমাম ও খতীব শুধু পুরুষই হতে পারে, কোন নারী হতে পারেনা।
৮-আজান শুধু পুরুষই দিবে, কোন নারীকে মুয়াজ্জিন বানানো জায়েজ নয়।
৯-পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামায পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আর মহিলাদের ঘরে নামায পড়াই উত্তম বলা হয়েছে।
১০-সতর। পুরুষের সতর হল নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত। আর পরপুরুষের সামনে নারীদের সতর হল প্রায় পুরো শারীরই ঢেকে রাখা ফরয।
নারী-পুরুষের মাঝে এরকম পার্থক্যসম্বলিত ইবাদত সমূহের অন্যতম হল নামায। তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানো, হাত বাঁধা, রুকু, সেজদা, প্রথম ও শেষ বৈঠক ইত্যাদী ক্ষেত্রগুলোতে পুরুষের সাথে নারীর পার্থক্য রয়েছে। তাদের সতরের পরিমাণ যেহেতো বেশি তাই যেভাবে তাদের সতর বেশী রক্ষা হয় সেদিকটিও বিবেচনা করা হয়েছে ক্ষেত্রগুলিতে। মুসলিম উম্মাহর প্রায় দেড় হাজার বছরের অবিচ্ছন্ন আমলের ধারা তাই প্রমাণ করে। বিষয়টি প্রমাণিত রাসূলে কারীম সাঃ এর হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের ফতোয়া ও আছারের মাধ্যমে।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস, সাহাবায়ে কেরামের আছার এবং মুজতাহিদ ইমামগণের সিদ্ধান্ত সকল বিষয়ে এ কথাটা আছে যে, নারীর নামাযের কিছু বিষয় পুরুষের নামাযের চেয়ে আলাদা। কিছু হাদীস উল্লেখ করছি।
ইমাম আবু দাউদ রাহ. তাঁর কিতাবুস সুনানের কিতাবুল মারাসীলে বিখ্যাত ইমাম ইয়াযিদ ইবনে আবী হাবীব রাহ.-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন যে,
أن النبى مر على امرأتين تصليان فقال : اذا سجدتما فضما بعض اللحم الى الأرض، فان المرأة ليست فى ذلك كالرجل.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইজন মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তারা নামায পড়ছিল। তিনি তাদের বললেন, “যখন তোমরা সিজদা করবে তোমাদের শরীরের কিছু অংশ, (মানে পিছনের অংশ) মাটির সাথে মিলিয়ে রাখবে। কারণ নারী এই বিষয়ে পুরুষের মত নয়। ”-মারাসীলে আবু দাউদ, হাদীস৮৭; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৩২০১; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, বায়হাকী, হাদীস ৪০৫৪
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকেও সিজদার নিয়ম শিখিয়েছেন, নারীকেও সিজদার নিয়ম শিখিয়েছেন। পুরুষকে সম্বোধন করে বলেছেন, সবগুলো অঙ্গ যেন ফাঁকা ফাঁকা থাকে। দুই বাহু যেন পাঁজরের সাথে মিলে না থাকে। কনুই যেন মাটিতে বিছানো না থাকে। পেট যেন উরুর সাথে মিশে না থাকে। এভাবে পুরুষকে সিজদা শিখিয়েছেন। আর নারীকে বলেছেন
فان المرأة ليست فى ذلك كالرجل ‘নারী এই বিষয়ে পুরুষের মত নয়’।
ইমাম আবু দাউদ রাহ. হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। হাদীস-বিচারের নীতি অনুসারে এটি দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। বিখ্যাত লা-মাযহাবী মুহাদ্দিস - নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান রাহ. সহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ‘আওনুল বারী’তে লিখেছেন, এই হাদীস সকল ইমামের উসুল মোতাবেক দলীল হওয়ার উপযুক্ত। অর্থাৎ এটা নির্ভরযোগ্য দলীল। আরেকজন গায়রে মুকাল্লিদ মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল আল আমীর আল ইয়ামানী بلوغ المرام -এর ভাষ্যগ্রন্থ سبل السلام-এ হযরত বারা ইবনে আযিব রা.-এর হাদীস, যে হাদীস সহীহ মুসলিমে আছে, ‘যখন তুমি সিজদা করবে তখন তোমার দুই হাতের পাতা মাটিতে রাখ আর দুই কনুই মাটি থেকে উপরে রাখ’। এই হাদীস আলোচনা করার সময় বলেছেন, ‘এই হাদীসে আছে পুরুষের নামাযের হুকুম। নারীর নামাযের পদ্ধতি আলাদা, যা আবু দাউদের এই হাদীসে বর্ণিত হয়েছে’। তো তার মতেও ইমাম আবু দাউদ রাহ.-এর বর্ণিত হাদীসটি গ্রহণযোগ্য এবং দলীল হিসাবে উপযুক্ত। এ জন্য তিনি এই হাদীসের ভিত্তিতে পুরুষ ও নারীর নামাযের পার্থক্য বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু দাউদ রাহ. তাঁর কিতাবুস সুনানের কিতাবুল মারাসীলে বিখ্যাত ইমাম ইয়াযিদ ইবনে আবী হাবীব রাহ.-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন যে,
أن النبى مر على امرأتين تصليان فقال : اذا سجدتما فضما بعض اللحم الى الأرض، فان المرأة ليست فى ذلك كالرجل.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইজন মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তারা নামায পড়ছিল। তিনি তাদের বললেন, “যখন তোমরা সিজদা করবে তোমাদের শরীরের কিছু অংশ, (মানে পিছনের অংশ) মাটির সাথে মিলিয়ে রাখবে। কারণ নারী এই বিষয়ে পুরুষের মত নয়। ”-মারাসীলে আবু দাউদ, হাদীস৮৭; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৩২০১; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, বায়হাকী, হাদীস ৪০৫৪
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকেও সিজদার নিয়ম শিখিয়েছেন, নারীকেও সিজদার নিয়ম শিখিয়েছেন। পুরুষকে সম্বোধন করে বলেছেন, সবগুলো অঙ্গ যেন ফাঁকা ফাঁকা থাকে। দুই বাহু যেন পাঁজরের সাথে মিলে না থাকে। কনুই যেন মাটিতে বিছানো না থাকে। পেট যেন উরুর সাথে মিশে না থাকে। এভাবে পুরুষকে সিজদা শিখিয়েছেন। আর নারীকে বলেছেন
فان المرأة ليست فى ذلك كالرجل ‘নারী এই বিষয়ে পুরুষের মত নয়’।
ইমাম আবু দাউদ রাহ. হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। হাদীস-বিচারের নীতি অনুসারে এটি দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। বিখ্যাত লা-মাযহাবী মুহাদ্দিস - নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান রাহ. সহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ‘আওনুল বারী’তে লিখেছেন, এই হাদীস সকল ইমামের উসুল মোতাবেক দলীল হওয়ার উপযুক্ত। অর্থাৎ এটা নির্ভরযোগ্য দলীল। আরেকজন গায়রে মুকাল্লিদ মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল আল আমীর আল ইয়ামানী بلوغ المرام -এর ভাষ্যগ্রন্থ سبل السلام-এ হযরত বারা ইবনে আযিব রা.-এর হাদীস, যে হাদীস সহীহ মুসলিমে আছে, ‘যখন তুমি সিজদা করবে তখন তোমার দুই হাতের পাতা মাটিতে রাখ আর দুই কনুই মাটি থেকে উপরে রাখ’। এই হাদীস আলোচনা করার সময় বলেছেন, ‘এই হাদীসে আছে পুরুষের নামাযের হুকুম। নারীর নামাযের পদ্ধতি আলাদা, যা আবু দাউদের এই হাদীসে বর্ণিত হয়েছে’। তো তার মতেও ইমাম আবু দাউদ রাহ.-এর বর্ণিত হাদীসটি গ্রহণযোগ্য এবং দলীল হিসাবে উপযুক্ত। এ জন্য তিনি এই হাদীসের ভিত্তিতে পুরুষ ও নারীর নামাযের পার্থক্য বর্ণনা করেছেন।
দ্বিতীয় হাদীস : ইমাম বায়হাকী রাহ. তাঁর ‘আসসুনানুল কুবরা’গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
إذا جلست المرأة في الصلاة وضعت فخذها على فخذها الأخرى وإذا سجدت ألصقت بطنها في فخذيها كأستر ما يكون لها وإن الله تعالى ينظر إليها ويقول يا ملائكتي أشهدكم أني قد غفرت لها.
“নারী যখন নামাযে বসবে তখন তার এক উরু অন্য উরুর উপর রাখবে। আর যখন সিজদা করবে তখন তার পেটকে উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে। আল্লাহ পাক ঐ নারীর দিকে তাকান এবং বলেন, হে ফিরিশতাগণ! আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি”। -সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৩১৯৯
এই হাদীসেরও সনদ হাসান পর্যায়ের, নির্ভরযোগ্য পর্যায়ের।
তৃতীয় হাদীস : ইমাম তবারানী রাহ. ‘আলমুজামুল কাবীর’গ্রন্থে হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা. থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন,
يا وائل بن حجر ! إذا صليت؛ فاجعل يديك حذاء أذنيك، والمرأة تجعل يديها حذاء ثدييها.
“হে ওয়ায়েল! যখন তুমি নামায পড়বে তখন তোমার দুই হাত কান বরাবর উঠাবে। আর নারী তার হাত উঠাবে বুক পর্যন্ত।”-মুজামে কাবীর, তবারানী, হাদীস২৮
তো এই হাদীসে নামাযে হাত তোলার ক্ষেত্রে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পার্থক্য নির্দেশ করেছেন। এটিও হাসান পর্যায়ের হাদীস।
এ সমস্ত হাদীস এবং এ বিষয়ের আরো কিছু রেওয়ায়েত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে থেকে বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীসগুলোর ভিত্তিতে পরিষ্কার প্রমাণিত হয় যে, স্বয়ং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর নামাযের কিছু পার্থক্য নিদের্শ করেছেন।
إذا جلست المرأة في الصلاة وضعت فخذها على فخذها الأخرى وإذا سجدت ألصقت بطنها في فخذيها كأستر ما يكون لها وإن الله تعالى ينظر إليها ويقول يا ملائكتي أشهدكم أني قد غفرت لها.
“নারী যখন নামাযে বসবে তখন তার এক উরু অন্য উরুর উপর রাখবে। আর যখন সিজদা করবে তখন তার পেটকে উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে। আল্লাহ পাক ঐ নারীর দিকে তাকান এবং বলেন, হে ফিরিশতাগণ! আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি”। -সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৩১৯৯
এই হাদীসেরও সনদ হাসান পর্যায়ের, নির্ভরযোগ্য পর্যায়ের।
তৃতীয় হাদীস : ইমাম তবারানী রাহ. ‘আলমুজামুল কাবীর’গ্রন্থে হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা. থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন,
يا وائل بن حجر ! إذا صليت؛ فاجعل يديك حذاء أذنيك، والمرأة تجعل يديها حذاء ثدييها.
“হে ওয়ায়েল! যখন তুমি নামায পড়বে তখন তোমার দুই হাত কান বরাবর উঠাবে। আর নারী তার হাত উঠাবে বুক পর্যন্ত।”-মুজামে কাবীর, তবারানী, হাদীস২৮
তো এই হাদীসে নামাযে হাত তোলার ক্ষেত্রে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পার্থক্য নির্দেশ করেছেন। এটিও হাসান পর্যায়ের হাদীস।
এ সমস্ত হাদীস এবং এ বিষয়ের আরো কিছু রেওয়ায়েত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামে থেকে বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীসগুলোর ভিত্তিতে পরিষ্কার প্রমাণিত হয় যে, স্বয়ং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর নামাযের কিছু পার্থক্য নিদের্শ করেছেন।
এরপর রয়েছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিধান
عليكم بسنتي و سنة الخلفاء الراشدين “তোমরা আমার সুন্নাহকে ধারণ কর এবং খোলফায়ে রাশিদীনের সুন্নাহকে ধারণ কর”। আলোচ্য বিষয়ে খলীফায়ে রাশেদ হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রা.-এর আছর সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। ‘মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক’, ‘মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ’হাদীসের দুই বিখ্যাত ও মূল্যবান কিতাব। ইমাম আব্দুর রাযযাক, ইমাম ইবনে আবী শায়বাহ হলেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের উস্তায। এই দুই কিতাবে আলী ইবনে আবী তালিব রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, سئل عن صلاة المرأة নারীর নামায সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন,
إذا سجدت المرأة فلتحتفز ولتلصق فخذيها ببطنها
“নারী যখন সিজদা করবে তখন যেন সে জড়সড় হয়ে সিজদা করে এবং তার দুই উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে।”-মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক ৫০৭২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, ২৭৭৭
আর এ শুধু সিজদার ক্ষেত্রে বিধান নয়, গোটা নামাযের বিধান। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বায় আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-কে নারীর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি দুটো শব্দ বললেন, تجتمع و تحتفز “নারী এক অঙ্গকে আরেক অঙ্গের সাথে মিলিয়ে জড়সড় হয়ে নামায পড়বে।”
তো রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা এবং বিখ্যাত মুজতাহিদ সাহাবীগণের নির্দেশনা এবং এরপর যদি আরো দেখত চান, তাহলে তাবেঈ যুগের বিখ্যাত সব ইমাম, আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ., মুজাহিদ ইবনে জাবর রাহ., ইবরাহীম আন নাখায়ী রাহ., এরকম বিভিন্ন অঞ্চলের বড় বড় মুজতাহিদ ইমামের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এই সবগুলো দলীল হাওয়ালাসহ দেখতে চাইলে উস্তাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা আবদুল মালেক ছাহেবের মূল্যবান প্রবন্ধটি দেখতে পারেন, যা মাকতাবাতুল আশরাফ কর্তৃক প্রকাশিত ‘নবীজীর নামাজ’বইখানির পরিশিষ্ট অংশে ছাপা হয়েছে।
এখানেও তাবেয়ীনদের ফতোয়া দিয়ে দেওয়া হল।
عليكم بسنتي و سنة الخلفاء الراشدين “তোমরা আমার সুন্নাহকে ধারণ কর এবং খোলফায়ে রাশিদীনের সুন্নাহকে ধারণ কর”। আলোচ্য বিষয়ে খলীফায়ে রাশেদ হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রা.-এর আছর সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। ‘মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক’, ‘মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ’হাদীসের দুই বিখ্যাত ও মূল্যবান কিতাব। ইমাম আব্দুর রাযযাক, ইমাম ইবনে আবী শায়বাহ হলেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের উস্তায। এই দুই কিতাবে আলী ইবনে আবী তালিব রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, سئل عن صلاة المرأة নারীর নামায সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন,
إذا سجدت المرأة فلتحتفز ولتلصق فخذيها ببطنها
“নারী যখন সিজদা করবে তখন যেন সে জড়সড় হয়ে সিজদা করে এবং তার দুই উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে।”-মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক ৫০৭২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, ২৭৭৭
আর এ শুধু সিজদার ক্ষেত্রে বিধান নয়, গোটা নামাযের বিধান। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বায় আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-কে নারীর নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি দুটো শব্দ বললেন, تجتمع و تحتفز “নারী এক অঙ্গকে আরেক অঙ্গের সাথে মিলিয়ে জড়সড় হয়ে নামায পড়বে।”
তো রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা এবং বিখ্যাত মুজতাহিদ সাহাবীগণের নির্দেশনা এবং এরপর যদি আরো দেখত চান, তাহলে তাবেঈ যুগের বিখ্যাত সব ইমাম, আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ., মুজাহিদ ইবনে জাবর রাহ., ইবরাহীম আন নাখায়ী রাহ., এরকম বিভিন্ন অঞ্চলের বড় বড় মুজতাহিদ ইমামের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এই সবগুলো দলীল হাওয়ালাসহ দেখতে চাইলে উস্তাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা আবদুল মালেক ছাহেবের মূল্যবান প্রবন্ধটি দেখতে পারেন, যা মাকতাবাতুল আশরাফ কর্তৃক প্রকাশিত ‘নবীজীর নামাজ’বইখানির পরিশিষ্ট অংশে ছাপা হয়েছে।
এখানেও তাবেয়ীনদের ফতোয়া দিয়ে দেওয়া হল।
★★সাহাবায়ে কিরামের ফতোয়া
১
5072 –عبد الرزاق عن إسرائيل عن أبي إسحاق عن الحارث عن علي قال اذا سجدت المرأة فلتحتفز و لتلصق فخذيها ببطنها (مصنف عبد الرزاق،كتاب الصلاة،باب تكبير المرأة بيديها و قيام المرأة و ركوعها و سجودها،رقم الحيث-5072)
হযরত আলী রা. বলেছেন-মহিলা যখন সেজদা করে তখন সে যেন খুব জড়সড় হয়ে সেজদা করে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৮, হাদিস নং-৫০৭২, মুসান্নাফে ইবনে শাইবা-২/৩০৮, হাদিস নং-২৭৯৩, সুনানে কুবরা বায়হাকী-২/২২২)
২
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئ،عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ،عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ،عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الأَشَجِّ،عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ؛أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ صَلاَةِ الْمَرْأَةِ؟فَقَالَ : تَجْتَمِعُ وَتَحْتَفِزُ. (مصنف ابن ابى شيبة،كتاب الصلاة،في المرأة كَيْفَ تَجْلِسُ فِي الصَّلاَةِ،رقم الحديث-2794)
হযরত ইবনে আব্বাস রা. কে জিজ্ঞেস করা হল-মহিলারা কিভাবে নামায আদায় করবে? তিনি বললেন-“খুব জড়সড় হয়ে অঙ্গের সাথে অঙ্গ মিলিয়ে নামায আদায় করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০২, হাদিস নং-২৭৯৪)
উপরে মহিলাদের নামায সম্পর্কে দু’জন সাহাবীর যে মত বর্ণিত হল, আমাদের জানা মতে কোন হাদীসগন্থের কোথাও একজন সাহাবী থেকেও এর বিপরীত কিছু বিদ্যমান নেই।
রাসূল সা. থেকে সাহাবায়ে কিরাম যে, দ্বীন শিখেছেন তাদের কাছ থেকে তা শিখেছেন তাবেয়ীগণ। তাঁদের ফাতওয়া থেকেও এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে,”মহিলাদের নামায পুরুষের নামায থেকে ভিন্ন। নিম্নে তাঁদের মধ্য থেকে প্রসিদ্ধ কয়েকজনের ফাতওয়া উল্লেখ করা হবে।
১
5072 –عبد الرزاق عن إسرائيل عن أبي إسحاق عن الحارث عن علي قال اذا سجدت المرأة فلتحتفز و لتلصق فخذيها ببطنها (مصنف عبد الرزاق،كتاب الصلاة،باب تكبير المرأة بيديها و قيام المرأة و ركوعها و سجودها،رقم الحيث-5072)
হযরত আলী রা. বলেছেন-মহিলা যখন সেজদা করে তখন সে যেন খুব জড়সড় হয়ে সেজদা করে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৮, হাদিস নং-৫০৭২, মুসান্নাফে ইবনে শাইবা-২/৩০৮, হাদিস নং-২৭৯৩, সুনানে কুবরা বায়হাকী-২/২২২)
২
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئ،عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ،عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ،عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الأَشَجِّ،عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ؛أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ صَلاَةِ الْمَرْأَةِ؟فَقَالَ : تَجْتَمِعُ وَتَحْتَفِزُ. (مصنف ابن ابى شيبة،كتاب الصلاة،في المرأة كَيْفَ تَجْلِسُ فِي الصَّلاَةِ،رقم الحديث-2794)
হযরত ইবনে আব্বাস রা. কে জিজ্ঞেস করা হল-মহিলারা কিভাবে নামায আদায় করবে? তিনি বললেন-“খুব জড়সড় হয়ে অঙ্গের সাথে অঙ্গ মিলিয়ে নামায আদায় করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০২, হাদিস নং-২৭৯৪)
উপরে মহিলাদের নামায সম্পর্কে দু’জন সাহাবীর যে মত বর্ণিত হল, আমাদের জানা মতে কোন হাদীসগন্থের কোথাও একজন সাহাবী থেকেও এর বিপরীত কিছু বিদ্যমান নেই।
রাসূল সা. থেকে সাহাবায়ে কিরাম যে, দ্বীন শিখেছেন তাদের কাছ থেকে তা শিখেছেন তাবেয়ীগণ। তাঁদের ফাতওয়া থেকেও এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে,”মহিলাদের নামায পুরুষের নামায থেকে ভিন্ন। নিম্নে তাঁদের মধ্য থেকে প্রসিদ্ধ কয়েকজনের ফাতওয়া উল্লেখ করা হবে।
★★তাবেয়ীগনের ফতোয়া
১/
2486- حدثنا هشيم،قال : أخبرنا شيخ لنا،قال : سمعت عطاء؛سئل عن المرأة كيف ترفع يديها في الصلاة؟قال : حذوثدييها(مصنف ابن ابى شيبه،كتاب الصلاة،باب من كانيت مالتكبير و لاينقصه في كل رفع وخفض،)
হযরত আতা বিন আবী রাবাহ কে জিজ্ঞেস করা হল-“নামাযে মহিলা কতটুকু হাত উঠাবে?” তিনি বললেন-“বুক বরাবর”। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,-১/২৭০, হাদিস নং-২৪৮৬)
২/
2489- حدثنا محمد بن بكر،عن ابن جريج،قال : قلت لعطاء : تشير المرأة بيديها بالتكبير كالرجل؟قال : لا ترفع بذلك يديها كالرجل،و أشارف خفض يديه جدا،وجمعهما إليه جدا،وقال : إن للمرأة هيئة ليستل لرجل،وإن تركت ذلك فلاحرج.
হযরত ইবনে জুরাইজ রহ. বলেন-“আমি আতা বিন আবী রাবাহকে জিজ্ঞেস করলাম-“মহিলা তাকবীরের সময় পুরুষের সমান হাত তুলবে?” তিনি বললেন-“মহিলা পুরুষের মত হাত তুলবেনা। এরপর তিনি তার উভয় হাত (পুরুষ অপেক্ষা) অনেক নিচুতে রেখে শরীরের সাথ খুব মিলিয়ে রাখলেন এবং বললেন-মহিলাদের পদ্ধতি পুরুষ থেকে ভিন্ন। তবে এমন না করলেও অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/২৭০, হাদিস নং-২৪৮৯, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,হাদিস নং-৫০৬৬,৬২৫১)
৩/
2796- حدثنا جرير،عن ليث،عن مجاهد؛أنه كان يكره أن يضع الرجل بطنه على فخذيه إذا سجد كماتصنع المرأة.
হযরত মুজাহিদ বিন জাবর রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি পুরুষের জন্য মহিলার মত উরুর সাথে পেট লাগিয়ে সেজদা করাকে অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০২, হাদিস নং-২৮৯৬)
৪/
2487- حدثنا رواد بن جراح،عن الأوزاعي،عن الزهري،قال : ترفع يديهاحذ ومنكبيها.
হযরত যুহরী রহ. বলেন-“মহিলা কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/২৭০, হাদীস নং-২৪৮৭)
১/
2486- حدثنا هشيم،قال : أخبرنا شيخ لنا،قال : سمعت عطاء؛سئل عن المرأة كيف ترفع يديها في الصلاة؟قال : حذوثدييها(مصنف ابن ابى شيبه،كتاب الصلاة،باب من كانيت مالتكبير و لاينقصه في كل رفع وخفض،)
হযরত আতা বিন আবী রাবাহ কে জিজ্ঞেস করা হল-“নামাযে মহিলা কতটুকু হাত উঠাবে?” তিনি বললেন-“বুক বরাবর”। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,-১/২৭০, হাদিস নং-২৪৮৬)
২/
2489- حدثنا محمد بن بكر،عن ابن جريج،قال : قلت لعطاء : تشير المرأة بيديها بالتكبير كالرجل؟قال : لا ترفع بذلك يديها كالرجل،و أشارف خفض يديه جدا،وجمعهما إليه جدا،وقال : إن للمرأة هيئة ليستل لرجل،وإن تركت ذلك فلاحرج.
হযরত ইবনে জুরাইজ রহ. বলেন-“আমি আতা বিন আবী রাবাহকে জিজ্ঞেস করলাম-“মহিলা তাকবীরের সময় পুরুষের সমান হাত তুলবে?” তিনি বললেন-“মহিলা পুরুষের মত হাত তুলবেনা। এরপর তিনি তার উভয় হাত (পুরুষ অপেক্ষা) অনেক নিচুতে রেখে শরীরের সাথ খুব মিলিয়ে রাখলেন এবং বললেন-মহিলাদের পদ্ধতি পুরুষ থেকে ভিন্ন। তবে এমন না করলেও অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/২৭০, হাদিস নং-২৪৮৯, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,হাদিস নং-৫০৬৬,৬২৫১)
৩/
2796- حدثنا جرير،عن ليث،عن مجاهد؛أنه كان يكره أن يضع الرجل بطنه على فخذيه إذا سجد كماتصنع المرأة.
হযরত মুজাহিদ বিন জাবর রহ. থেকে বর্ণিত। তিনি পুরুষের জন্য মহিলার মত উরুর সাথে পেট লাগিয়ে সেজদা করাকে অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০২, হাদিস নং-২৮৯৬)
৪/
2487- حدثنا رواد بن جراح،عن الأوزاعي،عن الزهري،قال : ترفع يديهاحذ ومنكبيها.
হযরত যুহরী রহ. বলেন-“মহিলা কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/২৭০, হাদীস নং-২৪৮৭)
৫/
5068 –عبد الرزاق عن معمر عن الحسن و قتادة قالا إذا سجدت المرأة فإنها تنضم مااستطاع تولا تتجاف ىلكيلاترفع عجيزتها
হযরত হাসান বসরী ও কাতাদা রহ. বলেন-“মহিলা যখন সেজদা করবে তখন সে যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফাঁকা রেখে সেজদা দিবেনা যাতে কোমড় উঁচু হয়ে না থাকে”। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদিস নং-৫০৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০৩)
৬/
2795- حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِِ،عَنْ مُغِيرَةَ،عَنْ إبْرَاهِيمَ،قَالَ : إذَا سَجَدَتِ الْمَرْأَةُ فَلْتَضُمَّ فَخِذَيْهَا،وَلْتَضَعْ بَطْنَهَاعَلَيْهِمَا.(مصنف ابن ابى شيبة،كتاب الصلاة،في المرأة كَيْفَ تَجْلِسُ فِي الصَّلاَةِ،رقم الحديث-2795)
হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রহ. বলেন-মহিলা যখন সেজদা করবে তখন যেন সে উভয় উরু মিলিয়ে রাখে এবং পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০২, হাদিস নং-২৭৯৫)
৭/
5071 –عبد الرزاق عن معمر و الثور يعنمنصورعن إبراهيمرقال كانت تؤمرالمرأة أن تضع ذراعها و بطنها على فخذيها إذا سجد تولا تتجافى كما يتجافى الرجل لكيلا ترفع عجيزتها
হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রহ. আরো বলেন-“মহিলাদের আদেশ করা হত তারা যেন সেজদা অবস্থায় হাত ও পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। পুরুষের মত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফাঁকা না রাখে। যাতে কোমড় উঁচু হয়ে না থাকে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদিস নং-৫০৭১)
5068 –عبد الرزاق عن معمر عن الحسن و قتادة قالا إذا سجدت المرأة فإنها تنضم مااستطاع تولا تتجاف ىلكيلاترفع عجيزتها
হযরত হাসান বসরী ও কাতাদা রহ. বলেন-“মহিলা যখন সেজদা করবে তখন সে যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফাঁকা রেখে সেজদা দিবেনা যাতে কোমড় উঁচু হয়ে না থাকে”। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদিস নং-৫০৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০৩)
৬/
2795- حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِِ،عَنْ مُغِيرَةَ،عَنْ إبْرَاهِيمَ،قَالَ : إذَا سَجَدَتِ الْمَرْأَةُ فَلْتَضُمَّ فَخِذَيْهَا،وَلْتَضَعْ بَطْنَهَاعَلَيْهِمَا.(مصنف ابن ابى شيبة،كتاب الصلاة،في المرأة كَيْفَ تَجْلِسُ فِي الصَّلاَةِ،رقم الحديث-2795)
হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রহ. বলেন-মহিলা যখন সেজদা করবে তখন যেন সে উভয় উরু মিলিয়ে রাখে এবং পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০২, হাদিস নং-২৭৯৫)
৭/
5071 –عبد الرزاق عن معمر و الثور يعنمنصورعن إبراهيمرقال كانت تؤمرالمرأة أن تضع ذراعها و بطنها على فخذيها إذا سجد تولا تتجافى كما يتجافى الرجل لكيلا ترفع عجيزتها
হযরত ইবরাহীম নাখয়ী রহ. আরো বলেন-“মহিলাদের আদেশ করা হত তারা যেন সেজদা অবস্থায় হাত ও পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। পুরুষের মত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফাঁকা না রাখে। যাতে কোমড় উঁচু হয়ে না থাকে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদিস নং-৫০৭১)
৮/
2799- حَدَّثَنَا إسْمَاعِيلُابْنُ عُلَيَّةَ،عَنْ مُحَمَّدِبْنِ إِسْحَاقَ،عَنْ زُرْعَةَبْنْ إِبْرَاهِيمَ،عَن خَالِدِ بْنِ اللَّجْلاَجِ،قَالَ : كُنَّ النِّسَاءُ يُؤْمَرْنَ أَنْ يَتَرَبَّعْنَ إذَا جَلَسْنَ فِي الصَّلاَةِ،وَ لاَ يَجْلِسْنَ جُلُوسَ الرِّجَالِ عَلَى أَوْرَاكِهِنَّ،يُتَّقي ذَلِكَ عَلَى الْمَرْأَةِ،مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ مِنْهَاالشَّيءُ.
হযরত খালেদ বিন লাজ্জাজ রহ. বলেন-“মহিলাদেরকে আদেশ করা হত যেন নামাযে দুই পা ডান দিক দিয়ে বের করে নিতম্বের উপর বসে। পুরুষদের মত না বসে। আবরণযোগ্য কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় মহিলাদেরকে এমনি করতে হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০৩, হাদিস নং-২৭৯৯)
উল্লেখিত বর্ণনাগুলি ছাড়াও আয়িম্মায়ে তাবেয়ীনের আরো কিছু বর্ণনা এমন আছে যা মহিলা-পুরুষের নামাযের পার্থক্য নির্দেশ করে। পক্ষান্তরে একজন তাবেয়ী থেকেও এর বিপরীত বক্তব্য প্রমাণিত নয়।
2799- حَدَّثَنَا إسْمَاعِيلُابْنُ عُلَيَّةَ،عَنْ مُحَمَّدِبْنِ إِسْحَاقَ،عَنْ زُرْعَةَبْنْ إِبْرَاهِيمَ،عَن خَالِدِ بْنِ اللَّجْلاَجِ،قَالَ : كُنَّ النِّسَاءُ يُؤْمَرْنَ أَنْ يَتَرَبَّعْنَ إذَا جَلَسْنَ فِي الصَّلاَةِ،وَ لاَ يَجْلِسْنَ جُلُوسَ الرِّجَالِ عَلَى أَوْرَاكِهِنَّ،يُتَّقي ذَلِكَ عَلَى الْمَرْأَةِ،مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ مِنْهَاالشَّيءُ.
হযরত খালেদ বিন লাজ্জাজ রহ. বলেন-“মহিলাদেরকে আদেশ করা হত যেন নামাযে দুই পা ডান দিক দিয়ে বের করে নিতম্বের উপর বসে। পুরুষদের মত না বসে। আবরণযোগ্য কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় মহিলাদেরকে এমনি করতে হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০৩, হাদিস নং-২৭৯৯)
উল্লেখিত বর্ণনাগুলি ছাড়াও আয়িম্মায়ে তাবেয়ীনের আরো কিছু বর্ণনা এমন আছে যা মহিলা-পুরুষের নামাযের পার্থক্য নির্দেশ করে। পক্ষান্তরে একজন তাবেয়ী থেকেও এর বিপরীত বক্তব্য প্রমাণিত নয়।
★★চার ইমামের ফিক্বহের আলোকেঃ
ফিক্বহে ইসলামীর চারটি সংকলন মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রচলিত। যথা-
১-ফিক্বহে হানাফী
২-ফিক্বহে শাফেয়ী
৩-ফিক্বহে মালেকী
৪-ফিক্বহে হাম্বলী
এবার দেখুন এই চার ফিক্বহের ইমামদের মতামত।
★১-ফ্বিকহে হানাফী
*****************
احب الينا ان تجمع رجليها من جانب و لا تنتصب انتصاب الرجل، (كتاب الآثار-1/609)
ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর অন্যতম সাগরীদ ইমাম মুহাম্মদ রহঃ বলেন-“ আমাদের নিকট পছন্দনীয় হল, মহিলারা নামাযে উভয় পা একপাশে মিলিয়ে রাখবে। পুরুষের মত এক পা দাঁড় করিয়ে রাখবেনা। {কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মদ রহঃ-১/৬০৯}
روى امامنا الأعظم عن نافع عن ابن عمر رضى الله عنهما أنه سئل كيف كان النساء يصلين على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم؟قال كنيترب عنأمرنأنيحتفزن،
أخرجه أبو محمد الحارثىوالأشنانى و ابن خسر و من طريقه عن سفيان الثورى عنه،راجع جامع الماسانيد-1/400،وهذاأقوىواحسنماروىفىهذاالباب،ولذااحتجبهامامناوجعلهمذهبهوأخذبه،
আমাদের ইমামে আজম আবু হানীফা রঃ নাফে রহঃ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন-“হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ কে জিজ্ঞেস করা হল-“রাসূল সাঃ এর যুগে মহিলারা কিভাবে নামায পড়তেন?” তিনি বললেন-“আগে তারা চারজানু হয়ে বসতেন, পরে তাদেরকে জড়সড় হয়ে বসতে বলা হয়েছে”। {জামেউল মাসানিদ-১/৪০০}
উক্ত হাদিসটি এ বিষয়ে বর্ণিত সবকিছুর চেয়ে শক্তিশালী। এ কারণেই আমাদের ইমাম এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। এ অনুযায়ী আমল করেছেন। এবং এটিকে নিজের মাযহাব বানিয়েছেন। {কিতাবুল আসার এর টিকা-১/৬০৭}
মহিলাদের ক্ষেত্রে পার্থক্যের বর্ণনা হানাফী ফিক্বহের কিতাবে দেখুন-
১-বাদায়িউস সানায়ে-১/৪৬৬
২-হেদায়া-১/১০০-১১০
৩-আল মাবসূত লিস সারাখসী-১/৪৬৬
৪-ফাতওয়ায়ে শামী-১/৫০৪
৫-ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৭৩-৭৫
ফিক্বহে ইসলামীর চারটি সংকলন মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রচলিত। যথা-
১-ফিক্বহে হানাফী
২-ফিক্বহে শাফেয়ী
৩-ফিক্বহে মালেকী
৪-ফিক্বহে হাম্বলী
এবার দেখুন এই চার ফিক্বহের ইমামদের মতামত।
★১-ফ্বিকহে হানাফী
*****************
احب الينا ان تجمع رجليها من جانب و لا تنتصب انتصاب الرجل، (كتاب الآثار-1/609)
ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর অন্যতম সাগরীদ ইমাম মুহাম্মদ রহঃ বলেন-“ আমাদের নিকট পছন্দনীয় হল, মহিলারা নামাযে উভয় পা একপাশে মিলিয়ে রাখবে। পুরুষের মত এক পা দাঁড় করিয়ে রাখবেনা। {কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মদ রহঃ-১/৬০৯}
روى امامنا الأعظم عن نافع عن ابن عمر رضى الله عنهما أنه سئل كيف كان النساء يصلين على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم؟قال كنيترب عنأمرنأنيحتفزن،
أخرجه أبو محمد الحارثىوالأشنانى و ابن خسر و من طريقه عن سفيان الثورى عنه،راجع جامع الماسانيد-1/400،وهذاأقوىواحسنماروىفىهذاالباب،ولذااحتجبهامامناوجعلهمذهبهوأخذبه،
আমাদের ইমামে আজম আবু হানীফা রঃ নাফে রহঃ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন-“হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ কে জিজ্ঞেস করা হল-“রাসূল সাঃ এর যুগে মহিলারা কিভাবে নামায পড়তেন?” তিনি বললেন-“আগে তারা চারজানু হয়ে বসতেন, পরে তাদেরকে জড়সড় হয়ে বসতে বলা হয়েছে”। {জামেউল মাসানিদ-১/৪০০}
উক্ত হাদিসটি এ বিষয়ে বর্ণিত সবকিছুর চেয়ে শক্তিশালী। এ কারণেই আমাদের ইমাম এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। এ অনুযায়ী আমল করেছেন। এবং এটিকে নিজের মাযহাব বানিয়েছেন। {কিতাবুল আসার এর টিকা-১/৬০৭}
মহিলাদের ক্ষেত্রে পার্থক্যের বর্ণনা হানাফী ফিক্বহের কিতাবে দেখুন-
১-বাদায়িউস সানায়ে-১/৪৬৬
২-হেদায়া-১/১০০-১১০
৩-আল মাবসূত লিস সারাখসী-১/৪৬৬
৪-ফাতওয়ায়ে শামী-১/৫০৪
৫-ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৭৩-৭৫
★২-ফিক্বহে শাফেয়ী
----------------
( قال الشافعي ) و قد أدب الله تعالى النساء بالاستتار و أدبهن بذلك رسوله صلى الله عليه و سلم و أحب للمرأة في السجود أن تضم بعضها إلى بعض و تلصق بطنها بفخذيها و تسجد كأستر ما يكون لها و هكذا أحب لها في الركوع و الجلوس و جميع الصلاة أن تكون فيها كأستر ما يكون لها (كتاب الأم،باب الذكر في السجود)
ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেন-“আল্লাহ পাক মহিলাদেরকে পুরোপুরি আবৃত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। তার রাসূল সাঃ ও অনুরূপ শিক্ষা দিয়েছেন। তাই আমার নিকট পছন্দীয় হল-সেজদা অবস্থায় মহিলারা এক অঙ্গের সাথে অপর অঙ্গ মিলিয়ে রাখবে। পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে। আর সেজদা এমনভাবে করবে যাতে সতরের চূড়ান্ত হেফাযত হয়। অনুরূপ রুকু, বৈঠক ও গোটা নামাযে এমনভাবে থাকবে যাতে সতরের পুরোপুরি হেফাযত হয়। {কিতাবুল উম্ম-১/১৩৮}
----------------
( قال الشافعي ) و قد أدب الله تعالى النساء بالاستتار و أدبهن بذلك رسوله صلى الله عليه و سلم و أحب للمرأة في السجود أن تضم بعضها إلى بعض و تلصق بطنها بفخذيها و تسجد كأستر ما يكون لها و هكذا أحب لها في الركوع و الجلوس و جميع الصلاة أن تكون فيها كأستر ما يكون لها (كتاب الأم،باب الذكر في السجود)
ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেন-“আল্লাহ পাক মহিলাদেরকে পুরোপুরি আবৃত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। তার রাসূল সাঃ ও অনুরূপ শিক্ষা দিয়েছেন। তাই আমার নিকট পছন্দীয় হল-সেজদা অবস্থায় মহিলারা এক অঙ্গের সাথে অপর অঙ্গ মিলিয়ে রাখবে। পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে। আর সেজদা এমনভাবে করবে যাতে সতরের চূড়ান্ত হেফাযত হয়। অনুরূপ রুকু, বৈঠক ও গোটা নামাযে এমনভাবে থাকবে যাতে সতরের পুরোপুরি হেফাযত হয়। {কিতাবুল উম্ম-১/১৩৮}
★৩-ফিক্বহে মালেকী
---------------
মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফক্বীহ ইমাম আবুল আব্বাস আল কারাফী রঃ ইমাম মালিক রহঃ এর মত উল্লেখ করেন-
و أما مساواة النساء للرجال ففي النوادر عن مالكتضعف خذهاال يمنىع لى اليسىوتنضم قدر طاقتها و لاتفرج في ركوع و لاسجود و لاجلوس بخلاف الرجل
নামাযে মহিলা পুরুষের মত কিনা? এ বিষয়ে ইমাম মালিক রহঃ থেকে বর্ণিত। মহিলা ডান উরু বাম উরুর উপর রাখবে এবং যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে বসবে। রুকু সেজদা ও বৈঠকে কোন সময়ই ফাঁক ফাঁক হয়ে বসবেনা। পক্ষান্তরে পুরুষের পদ্ধতি হল ভিন্ন। {আয যাখীরা-২/১৯৩}
---------------
মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফক্বীহ ইমাম আবুল আব্বাস আল কারাফী রঃ ইমাম মালিক রহঃ এর মত উল্লেখ করেন-
و أما مساواة النساء للرجال ففي النوادر عن مالكتضعف خذهاال يمنىع لى اليسىوتنضم قدر طاقتها و لاتفرج في ركوع و لاسجود و لاجلوس بخلاف الرجل
নামাযে মহিলা পুরুষের মত কিনা? এ বিষয়ে ইমাম মালিক রহঃ থেকে বর্ণিত। মহিলা ডান উরু বাম উরুর উপর রাখবে এবং যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে বসবে। রুকু সেজদা ও বৈঠকে কোন সময়ই ফাঁক ফাঁক হয়ে বসবেনা। পক্ষান্তরে পুরুষের পদ্ধতি হল ভিন্ন। {আয যাখীরা-২/১৯৩}
★৪-ফিক্বহে হাম্বলী
---------------
ইমাম আহমদ রহঃ এর ফাতওয়া উল্লেখ আছে ইমাম ইবনে কুদামা রহঃ এর আল মুগীনী কিতাবে।
فأما المرأة فذكر القاضي فيها روايتين عن أحمدإحداهماترفع لماروىالخلال بإسناده عن أم الدرداء و حفصة بنت سيرين أنهما كانتا ترفع ان أيديهما و هو قول طاوس ولأن منشرع في حقه التكبير شرع في حقه. الرفع كالرجل فعلى هذا ترفع قليلا قال أحمد رفع دون الرفع و الثانية لايشرع لأنه فيمعن ىالتجافي ولايشرع ذلك لهابلتجع نفسهافي الركوع و السجود و سائر صلاتها
তাকবীরের সময় মহিলারা হাত উঠাবে কি উঠাবে না? এ বিষয়ে কাজী [আবু ইয়াজ] ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ থেকে দু’টি মত উল্লেখ করেছেন। প্রথম মত হল হাত উঠাবে। কেননা খাল্লাল হযরত উম্মে দারদা এবং হযরত হাফসা বিন সীরীন থেকে সনদসহ বর্ণনা করেন যে, তারা হাত উঠাতেন। ইমাম তাউসের বক্তব্যও তাই। উপরন্তু যার ব্যাপারে তাকবীর বলার নির্দেশ রয়েছে তার ব্যাপারে হাত উঠানোরও নির্দেশ রয়েছে। যেমন পুরুষ করে থাকে। এ হিসেবে মহিলারাও হাত উঠাবে। তবে সামান্য। আহমাদ রহঃ বলেন-“তুলনামূলক কম উঠাবে”।
দ্বিতীয় মত হল-“মহিলাদের জন্য হাত উঠানোরই হুকুম নাই। কেননা হাত উঠালে কোন অঙ্গকে ফাঁক করতেই হয়, অথচ মহিলাদের জন্য এর বিধান দেওয়া হয়নি। বরং তাদের জন্য নিয়ম হল রুকু সেজদাসহ পুরো নামাযে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখবে। {আল মুগনী-২/১৩৯}
---------------
ইমাম আহমদ রহঃ এর ফাতওয়া উল্লেখ আছে ইমাম ইবনে কুদামা রহঃ এর আল মুগীনী কিতাবে।
فأما المرأة فذكر القاضي فيها روايتين عن أحمدإحداهماترفع لماروىالخلال بإسناده عن أم الدرداء و حفصة بنت سيرين أنهما كانتا ترفع ان أيديهما و هو قول طاوس ولأن منشرع في حقه التكبير شرع في حقه. الرفع كالرجل فعلى هذا ترفع قليلا قال أحمد رفع دون الرفع و الثانية لايشرع لأنه فيمعن ىالتجافي ولايشرع ذلك لهابلتجع نفسهافي الركوع و السجود و سائر صلاتها
তাকবীরের সময় মহিলারা হাত উঠাবে কি উঠাবে না? এ বিষয়ে কাজী [আবু ইয়াজ] ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ থেকে দু’টি মত উল্লেখ করেছেন। প্রথম মত হল হাত উঠাবে। কেননা খাল্লাল হযরত উম্মে দারদা এবং হযরত হাফসা বিন সীরীন থেকে সনদসহ বর্ণনা করেন যে, তারা হাত উঠাতেন। ইমাম তাউসের বক্তব্যও তাই। উপরন্তু যার ব্যাপারে তাকবীর বলার নির্দেশ রয়েছে তার ব্যাপারে হাত উঠানোরও নির্দেশ রয়েছে। যেমন পুরুষ করে থাকে। এ হিসেবে মহিলারাও হাত উঠাবে। তবে সামান্য। আহমাদ রহঃ বলেন-“তুলনামূলক কম উঠাবে”।
দ্বিতীয় মত হল-“মহিলাদের জন্য হাত উঠানোরই হুকুম নাই। কেননা হাত উঠালে কোন অঙ্গকে ফাঁক করতেই হয়, অথচ মহিলাদের জন্য এর বিধান দেওয়া হয়নি। বরং তাদের জন্য নিয়ম হল রুকু সেজদাসহ পুরো নামাযে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখবে। {আল মুগনী-২/১৩৯}
আলোচনার এই পর্যায়ে হাদীস, আসারে সাহাবা, তাবেয়ীন ও চার মাযহাবের ইমামদের ঐক্যমত্যের প্রমাণ পেশ করার পর আমরা দেখবো আমাদের যে গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা মহিলাদের নামাযের ভিন্ন বিষয়টিকে উপেক্ষা করেন এবং পুরুষ ও মহিলার নামাযের অভিন্ন পদ্ধতির পক্ষে কথা বলেন, তাদের আলেমগণ এ বিষয়ে কি বলেন? তারা কি ফাতওয়া দিয়েছেন?
গায়রে মুকাল্লিদ আলেমগণের ফাতওয়া
মহিলাদের নামাযের পদ্ধতিতে ইতোপূর্বে যা কিছু উল্লেখ করা হল তথা হাদিস, আসারে সাহাবা, তাবেয়ীনদের ইজমা, এবং চার ইমামের ঐক্যমত্বের আলোকে যুগ যুগ ধরে অবিচ্ছন্ন সূত্র পরম্পরায় যেই পার্থক্যের আমল চলে আসছে, সেটাকে গায়রে মুকাল্লিদদের নেতৃস্থানীয় আলেমগণও স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং সেই আলোকে ফাতওয়া দিয়েছেন।
# মাওলানা মুহাম্মদ দাউদ গযনবী রঃ এর পিতা আল্লামা আব্দুল জাব্বার গযনবী রহঃ কে যখন জিজ্ঞেস করা হল-“মহিলাদের নামাযে জড়সড় হয়ে থাকা কি উচিত?” জবাবে তিনি একটি হাদিস উল্লেখ করার পর লেখেন-“এর উপরই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের চার মাযহাব ও অন্যান্যের মাঝে আমল চলে আসছে”।
এরপর তিনি চার মাযহাবের কিতাবের উদ্ধৃতি প্রদান করার পর লিখেন-“মোটকথা মহিলাদের জড়সড় হয়ে নামায পড়ার বিষয়টি হাদীস ও চার মাযহাবের ইমামগণ ও অন্যান্যের সর্বসম্মত আমলের আলোকে প্রমাণিত। এর অস্বিকারকারী হাদীসের কিতাবসমূহ ও উম্মতে মুসলিমার সর্বসম্মত আমল সম্পর্কে বেখবর ও অজ্ঞ”। (ফাতওয়ায়ে গযনবীয়্যা-২৭-২৮, ফাতওয়ায়ে ওলামায়ে আহলে হাদিস—৩/১৪৮-১৪৯, মাযমুয়ায়ে রাসায়েল-মাওলানা মুহাম্মদ আমীন সফদর-১-৩১০-৩১১)
মাওলানা আলী মুহাম্মদ সাঈদ সাহেব “ফাতওয়ায়ে ওলামায়ে আহলে হাদিস” এ এই পার্থক্যের কথা স্বীকার করেছেন। (মাজমুয়ায়ে রাসায়েল-১/৩০৫)
গায়রে মুকাল্লিদ আলেমগণের ফাতওয়া
মহিলাদের নামাযের পদ্ধতিতে ইতোপূর্বে যা কিছু উল্লেখ করা হল তথা হাদিস, আসারে সাহাবা, তাবেয়ীনদের ইজমা, এবং চার ইমামের ঐক্যমত্বের আলোকে যুগ যুগ ধরে অবিচ্ছন্ন সূত্র পরম্পরায় যেই পার্থক্যের আমল চলে আসছে, সেটাকে গায়রে মুকাল্লিদদের নেতৃস্থানীয় আলেমগণও স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং সেই আলোকে ফাতওয়া দিয়েছেন।
# মাওলানা মুহাম্মদ দাউদ গযনবী রঃ এর পিতা আল্লামা আব্দুল জাব্বার গযনবী রহঃ কে যখন জিজ্ঞেস করা হল-“মহিলাদের নামাযে জড়সড় হয়ে থাকা কি উচিত?” জবাবে তিনি একটি হাদিস উল্লেখ করার পর লেখেন-“এর উপরই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের চার মাযহাব ও অন্যান্যের মাঝে আমল চলে আসছে”।
এরপর তিনি চার মাযহাবের কিতাবের উদ্ধৃতি প্রদান করার পর লিখেন-“মোটকথা মহিলাদের জড়সড় হয়ে নামায পড়ার বিষয়টি হাদীস ও চার মাযহাবের ইমামগণ ও অন্যান্যের সর্বসম্মত আমলের আলোকে প্রমাণিত। এর অস্বিকারকারী হাদীসের কিতাবসমূহ ও উম্মতে মুসলিমার সর্বসম্মত আমল সম্পর্কে বেখবর ও অজ্ঞ”। (ফাতওয়ায়ে গযনবীয়্যা-২৭-২৮, ফাতওয়ায়ে ওলামায়ে আহলে হাদিস—৩/১৪৮-১৪৯, মাযমুয়ায়ে রাসায়েল-মাওলানা মুহাম্মদ আমীন সফদর-১-৩১০-৩১১)
মাওলানা আলী মুহাম্মদ সাঈদ সাহেব “ফাতওয়ায়ে ওলামায়ে আহলে হাদিস” এ এই পার্থক্যের কথা স্বীকার করেছেন। (মাজমুয়ায়ে রাসায়েল-১/৩০৫)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে লা মাযহাবিদের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার ও হক বুঝার তাওফিক দিন, আমীন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!