শীয়া থেকেই আহলে হাদিসের জন্ম। অত্যন্ত অপ্রিয় একটি কথা, তাই না! তবে হ্যাঁ, এটাই সত্য।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকিহ, আল্লামা ইবনু হুমাম (রহ) রচিত কিতাব
"ফতহুল ক্বাদীর" এর সম্পূরক একটি কিতাব "মুকাদ্দামাতু ফতহুল ক্বাদীর" (মিশরীয় মুদ্রণ , পৃষ্ঠা ৫)
কিতাবে সুস্পষ্টভাবে একটি তথ্য উল্লেখ পেলাম, যা পড়ে আমি নিজেও হতভম্ব হয়ে গেলাম।
সেখানে প্রামাণ্য একটি তথ্য এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আশ্চর্যজনক বিষয় হল
(সম্প্রতি গজে উঠা) আহলে হাদিসদের অগ্রণী ব্যক্তিবর্গরা সবাই ছিলেন শীয়া। একথা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য।
প্রমাণ স্বরূপ বলতে পারি, আহলে হাদিসের পথিকৃৎ আব্দুল হক বেনারসির কথা। তিনি ইয়ামানের শীয়া যায়েদিয়া ফেরকার অনুসারী পন্ডিত শাওকানী হতে শিক্ষা- দিক্ষা লাভ করেন।
প্রসিদ্ধ আহলে হাদিস গুরু নবাব সিদ্দিক হাসান খান সাহেব নিজের "সিলসিলাতুল আসজাদ" নামক কিতাবে তা স্বীকার করে লিখেছেন যে, "মধ্য বয়সে আব্দুল হক বেনারসি শীয়া হয়ে যান।"
কাশফুল হিজাজ কিতাবের ২১ নং পৃষ্ঠায় আরো যে তথ্যটি পাওয়া গেল তা শুনে যে কারোরই অন্তরাত্মা কেঁপে উঠবে।
তাতে লেখা আছে, ক্বারি আব্দুর রহমান মুহাদ্দিসে পানিপথী (রহ) আব্দুল হক বেনারসি (আহলে হাদিস ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা) সম্পর্কে লিখেছেন,
"আব্দুল হক বেনারসি তিনি শীয়া পন্ডিত গুলশান আলীর নিকট গেলেন। তখন বেনারসের রাজাও ছিল শীয়া।
আব্দুল হক বেনারসি তখন গর্বের সাথে বলে পেললেন, আমি একজন শীয়া। আমি নিজেকে প্রকাশ্যে শীয়া হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।
আমি সরাসরি হাদিস দেখে দেখে আমল করার দাওয়াত দেয়ার আড়ালে হাজারো আহলে সুন্নাহ'র অনুসারীদের মাযহাব থেকে বের করে দিয়েছি। এখন তাদের জন্য শীয়া হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
এ ঘোষণার পরেই শীয়া পন্ডিত গুলশান আলী সেই যুগের ত্রিশ টাকা বেতনে তাকে চাকুরী দেন।" তারপর পরের ঘটনা সবার জানা।
উক্ত প্রামাণ্য তথ্য হতে যা বুঝার, তা নিশ্চয় বুঝে গেছেন। এককথায়, আব্দুল হক বেনারসি ছিলেন, ইসলামে অনুপ্রবেশকারী ঐতিহাসিক নব্য আব্দুল্লাহ বিন সাবার প্রেতাত্মা।
যার ডিম থেকে ফুটন্ত বাচ্ছাগুলোই হল, সাম্প্রতিককালের কথিত আহলে হাদিস বা লামাযহাবী চক্র।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!