তাফসীরে ইবনে কাসীরে বর্ণিত আছে- হযরত দাউদ (আঃ) তাঁর রাজত্ব কালে ছদ্মবেশে বাজারে গমন করতের এবং বিভিন্ন দিক থেকে আগত লোকদের জিজ্ঞাস করতেন যে, দাউদ কেমন লোক? তাঁর রাজত্বে ইনসাফ ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত ছিল। সব মানুষ সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করত। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কারও কোন অভিযোগ ছিল না। তাই যাকেই প্রশ্ন করা হত, সেই হযরত দাউদ (আঃ)- এর প্রশংসা, গুনকীর্তন, ন্যায় বিচারের কারনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতো। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর শিক্ষার জন্য একজন ফেরেশতা মানুষ বেশে প্রেরণ করেন। দাউদ (আঃ) যখন বাজারে যাওয়ার জন্য ছদ্মবেশে বের হলেন, তখন এই ফেরেশতার সাথে সাক্ষাৎ হল। অভ্যাস অনুযায়ী তাকেও তিনি সেই প্রশ্ন করলেন। মানবরূপী ফেরেশতা জওয়াব দিল, দাউদ খুব ভাল লোক। নিজের জন্য এবং উম্মত ও প্রজাদের জন্য তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি। তবে তার মধ্যে এমন একটি অভ্যাস আছে যা না থাকলে তিনি পুরোপুরি কামেল মানুষ হয়ে যেতেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সেটা কি অভ্যাস? ফেরেশতা বলল, তিনি তাঁর ও তাঁর পরিবারের ভরণ-পোষণ বাইতুল মাল তথা সরকারি ধনাগার থেকে গ্রহণ করেন। একথা শুনে হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহ তা’য়ালার কাছে কাকুতি-মিনতি ও দো‘আ করতে থাকেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ আমাকে এমন কোন হস্থশিল্প শিক্ষা দিন, যার পারিশ্রমিক দ্বারা আমি নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণ চালাতে পারি এবং জনগনের সেবা ও রাজকার্য বিনা পারিশ্রমিকে আঞ্জাম দিতে সক্ষম হই। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর দো‘আ কবুল করেন এবং তাকে বর্ম নির্মাণ কৌশল শিখিয়ে দিলেন। রাসূলসুলভ সম্মানস্বরূপ তাঁর জন্য লোহাকে মোমের মত নরম করে দেওয়া হল, যাতে কাজটি সহজ হয় এবং অল্প সময়ে জীবিকা উপার্জন করে তিনি অবশিষ্ট সময় ইবাদত ও রাজকার্যে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন।
Sunday, March 12, 2017
সম্পর্কিত আরও পড়ুন
হযরত মূসা (আঃ)-এর মাদইয়ান অভিমুখে হিজরতহযরত মূসা (আঃ) একব
হযরত হাতেব ইবনে আবী বালতায়া (রাঃ) ও সারা নান্মী গায়িকার ঘটনাবদর যুদ্ধের পর মõ
হযরত সালেহ (আঃ) এর ঘটনাসামুদ জাতির নিকট হযরত সালেহ (আঃ) রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। সামুদ জাতি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল,
সাবা সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত রাজিইয়ামানের সম্রাট
মূসা (আঃ) এবং বানী ইসরাঈলমহান আল্লাহ তা'আø
কারূনের সম্পদ প্রথিত হওয়াবনী ইসরাঈল সমূদ্
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!