Saturday, April 1, 2017

আসুন আহলে হাদীসদের এই বরেণ্য আলেমের কিছু উল্লেখযোগ্য ফতোয়া দেখা যাক।

১. নওয়াব সিদ্দিক হাসান খানের পুত্র জনাব নুরুল হাসান খান লিখেছেন," নামাযে কারও গোপনাঙ্গ যদি সকলের সামনে খোলা থাকে, তাহলে তার নামায নষ্ট হবে না। "[আরফুল জাদী, পৃ.২২]

নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন,"মহিলারা একাকী নামাযের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় নামায আদায় করতে পারবে। মহিলা যদি অন্যান্য মহিলাদের সাথে সকলেই উলঙ্গ অবস্থায় নামায আদায় করে, তবে তাদের নামায বিশুদ্ধ হবে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনে যদি উলঙ্গ হয়ে নামায আদায় করে তবে নামায বিশুদ্ধ হবে। মহিলা যদি তার পিতা, ছেলে, ভাই, চাচা, মামু সকলের সামনে উলঙ্গ অবস্থায় নামায আদায় করে, তবুও নামায বিশুদ্ধ হবে। "[বুদুরুল আহিল্যা, পৃ.৩৯]

এই মাসআলা থেকে কেউ হয়ত ভাবতে পারেন যে, এটি হয়ত বিশেষ ওজরের কারণে বলেছে। বিষয়টি এমন নয়। আহলে হাদীসদের নিকট কাপড় থাকা অবস্থায়ও যদি কেউ উলঙ্গ হয়ে নামায পড়ে, তার নামায বিশুদ্ধ হবে। ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী বিষয়টি স্পষ্ট করে লিখেছেন,"সাথে কাপড় থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ উলঙ্গ হয়ে নামায পড়ে, তাহলে তার নামায বিশুদ্ধ হবে"[নুজুলুল আবরার, খ.১. পৃ.৫২]

নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন,"রানে সঙ্গম করা এবং স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করা জায়েয। বরং এটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। "[বুদুরুল আহিল্যা, পৃ.১৭৫]কয়েকবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে নিন। ওহিদুজ্জামান সাহেব লিখেছেন, " স্ত্রীদের মলদ্বারে সঙ্গম করতে চাইলে স্ত্রীদের জন্য নিষেধ করা জায়েজ নয়"[হাদইয়াতুল মাহদী, খ.১, পৃ.১১৮]তিনি আরও স্পষ্ট করে লিখেছেন, "গুহ্যদ্বারে সঙ্গমের কারণে গোসলও ফরজ হয় না"[ নুজুলুল আবরার, খ.১, পৃ. ২২ ]

ওহিদুজ্জামান সাহেব অতি আশ্চর্যজনক একটি মাসআলা লিখেছেন। " কেউ যদি নিজের পুরুষাঙ্গ নিজের মলদ্বারে প্রবেশ করায়, তাহলে গোসল ওয়াজিব হবে না"[নুজুলুল আবরার, খ.১, পৃ.২২]মন্তব্য: এধরনের নোংরা বিষয়ের উপর মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন। তবে তিনি কীভাবে এর এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন সেটাই বিস্ময়।

ওহিদুজ্জামান সাহেব আরও লিখেছেন, "মুতয়া বিবাহের বৈধতা কুরআনের অকাট্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত " [ নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ.৩৩]আহলে হাদীস আলেম জনাব নুরুল হাসান খান লিখেছেন," মা, বোন, মেয়ে ও মাহরাম মহিলাদের গুপ্তাঙ্গ ছাড়া সমস্ত শরীর দেখা বৈধ"[ আরফুল জাদী, পৃ.৫২]

ওহিদু্জ্জামান সাহেব লিখেছেন, মহিলার জন্য বয়স্ক পর-পুরুষকে নিজের স্তনের দুধ পান করানো জায়েজ। যদিও উক্ত পর-পুরুষ দাড়ি বিশিষ্ট হোক। এর দ্বারা তাদের একজনের জন্য আরেকজনকে দেখা বৈধ হয়ে যাবে। [ নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ.৭৭]

নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন, চারজন স্ত্রী রাখার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। বরং যত ইচ্চা তত স্ত্রী রাখতে পারবে। [ জফরুল আমানী, পৃ. ১২১]ওহিদুজ্জামান সাহেব লিখেছেন,"কেউ যদি তার মায়ের সাথে যিনা করে, যিনাকারী বালেগ বা নাবালেগ হোক, ছেলের পিতার জন্য তার মা হারাম হবে না "[নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ.২৮]

ওহিদুজ্জামান সাহেব আরও লিখেছেন, " কোন মহিলা যদি তিনজন লোকের সাথে সঙ্গম করে এবং এদের সঙ্গম থেকে বাচ্চা জন্ম নেয়, তাহলে উক্ত তিনজনের মাঝে লটারি করা হবে। যার নাম উঠবে বাচ্চা সে পাবে। যে বাচ্চা নিবে সে অপর দুইজনকে দুই তৃতীয়াংশ দিয়ত বা পণ দিয়ে দিবে "[নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ. ৭৫]

আহলে হাদীসদের বিখ্যাত আলেম আবুল হাসান মুহিউদ্দীন লেখেন,
"বীর্য পবিত্র। একটি ফতোয়া অনুযায়ী বীর্য খাওয়া বৈধ"
[ফিকহে মুহাম্মাদী, খ.১, পৃ.২৬]

আহলে হাদীসদের শাইখুল কুল ফিল কুল মিয়া নজীর হুসাইন দেহলবী তার ফতোওয়ার কিতাব ফতোয়াওয়ায়ে নজীরিয়াতে লিখেছেন,"প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের মেয়ে, বোন বা পুত্রবধুকে দিয়ে নিজের রান মালিশ করাতে পারবে। এবং প্রয়োজনে নিজের পুরুষাঙ্গে হাত দেয়াতে পারবে "[ফতোওয়ায়ে নজীরিয়া, খ.৩, পৃ.১৭৬]

আরও অনেক বিষয় লেখার ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত নোংরা হওয়ার কারণে সেগুলো উল্লেখ করা হল না। পরিশেষে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই।

সৌদি আরব থেকে পবিত্র কুরআনের যে উর্দু অনুবাদ বিতরণ করা হয়, এটি অনুবাদ করেছেন আহলে হাদীস আলেম মুহাম্মাদ জোনাগড়ী। আব্দুল্লাহ রুপড়ী নামে আহলে হাদীসদের একজন খ্যাতনামা আলেম ছিলেন। তিনি মায়ারেফে কুরআনী বা কুরআনের তত্ত্বকথা নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি এত নোংরা কথার অবতারণা করেন, যেগুলো এখানে উল্লেখ করা সমীচীন নয়। আহলে হাদীসদের বিখ্যাত এই মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ রুপড়ীর এই লেখনী সম্পর্কে মুহাম্মাদ জোনাগড়ী সাহেব লিখেছেন, "روپڑی نے معارف قرآنی بیان کرتے ہوئے رنڈیوں اور بھڑووں کا ارمان پورا کیا "আব্দুল্লহ রুপড়ী কুরআনের তত্ত্বকথা লিখতে গিয়ে পতিতা ও ব্যভিচারীদের মনোবাসনা পূরণ করেছে। "[আখবারে মুহাম্মাদী, ১৫ই এপ্রিল, ১৯৩৯, পৃ.১৩]

আব্দুল্লাহ রুপড়ীর সমালোচনায় মুহাম্মাদ জোনাগড়ী যে প্রবন্ধ লিখেছিলেন, তার শিরোনাম দিয়েছেন, ”عبداللہ روپڑی ، ایڈیٹر تنظیم کے معارف قرآنی ، اسے کوک شاستر کہیں یا لذت النساءیا ترغیب بدکاری؟

“"তানজীম পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ রুপড়ীর কুরআনের তত্ত্বকথাকে কামসূত্র বলব না কি লজ্জাতুন নেসা না কি যৌন উদ্দীপক চটি বলব?

এই হল, আহলে হাদীসদের মুফাসসিরের ভাষা। যার অনুবাদ করা কুরআন শরীফ সৌদি থেকে ছাপা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, স্বয়ং আহলে হাদীস আলেমরাই তাদের লেখনীকে কুক শাস্তর বা কামসূত্র বলে অভিহিত করছে, তাহলে অন্যরা কী করবে? এরা যেসব নোংরা কথা লিখেছে, তাতে একে কামসূত্র বললেও কম বলা হবে। আস্তাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ হেফাজত করুন।


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!