বন্ধু খুব সুন্দর প্রশ্ন!!!
আসলে হাদিস সংকলেনের ইতিহাস না যানাটাই লা মাজহাবি বন্ধুদেরকে এই ধরনের প্রশ্নের সামনে দাড় করিয়ে দিয়েছে।
এজন্যই আমি প্রায় সময় বলি ইলেম অর্জন করুন।
সহজে উত্তর বুঝুন
ইমাম আবু হানিফা (রহ:)এর যুগে কোন হাদিসের কিতাব সংকলিত হয়নি।
আর ঐ সময় হাদিসের কিতাব সংকলের প্রয়োজন ছিলোনা।
কারন তখনকার যুগের লোকদেরকে আল্লাহ প্রখর মেধা দিয়েছিলেন।
যার কারনে তারা হাদিস সংরক্ষন করেছেন সুদুরে রিজাল(তথা একজনের সিনা থেকে অপর জনের সিনায় মুখাস্ত পদ্ধতি)
এর মানে তখন সবাই হাদিসের সনদ ও মতন সহ লাক্ষ লক্ষ হাদিস মুখাস্ত যানতেন।
এবং হাদিস নিয়ে তখনকার যুগে তারা মসজিদে নামাজের আগে পরে মুজাকারা করতেন কার কাছে কি হাদিস আছে?
তখন যার কাছে যা আছে সবাই বলতো এভাবে যে যেই হাদিস না যানত সেটা শিখে নিত।
এখন আসুন............ তাহলে কি কিতাব না থাকার কারনে তারা হাদিস কম যেনেছেন??
আর আমরা ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন কিতাবাদির মাধ্যমে কি বেশি যেনেছি??
বন্ধু...... আপনি যদি মনে করের কিতাবাদি ও ইন্টারনেটের কল্যানে হাদিস বেশি যেনেছেন... এটা আপনার চরম মুর্খতার দাবি।।
বন্ধু এবার শুনুন.....ইমাম বুখারী রহ: নিজে তার বুখারী শরীফ লিখার পদ্ধতি বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন।
আমি ৬ লক্ষ সহিহ হাদিস থেকে যাচাই বাছাই করে মাত্র কয়েক হাজার হাদিস দ্বারা বুখারী শরীফকে সাজিয়েছি বাকী লক্ষ লক্ষ সহিহ হাদিস আমি ছেড়ে দিয়েছি যেগুলো সবই সহিহ।
কিতাবে বারংবার তাকরার হবে বলে আমি অনেক হাদিস লিপিবদ্ধ করিনি।
এবার কথিত লা মাজহাবিরা উত্তর দিন ইমাম বুখারী যে সকল সহিহ হাদিস ছেড়ে দিয়েছেন সেগুলো কি আপনারা পেয়েছেন????
ইমাম আবু হানিফা রহ: তিনি বহু হাদিস মুখাস্ত যানতে ইচ্ছে করলে হাদিসের কিতাব লিখতে পারতেন।।
তারপরও ইমাম আবু হানিফা থেকে হাদিসের কিতাব আছে,কিতাবুল আছার,,যদিও তা বুখারী শরীফের মত প্রশিদ্ধ লাভ করেনি।
কথা হলো ইমাম আবু হানিফা রহ: যখন দেখলেন হাদিস রেওয়াত করার মত বহু মুহাদ্দিস আছে।
কিন্তু এই হাদিস দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
হাদিসের উদ্দেশ্য কি??
(তথা ফিকাহ) লিখার মত লোক খুবই কম।
তাই তিনি হাদিস দ্বারা ফিকাহ লিখাকে বেছে নিলেন।এবং ফিকহের বিষয়ে কলম ধরলেন।
এর মানে এই নয় তিনি হাদিস যানতেন না!!
বরং ইমাম আবু হানিফা রহ: একজন মুহাদ্দিসও ছিলেন।
ততকালীন যামানার হাদিস রেওয়াতকারি মুহাদ্দিসনরা ইমাম আবু হানিফা রহ: কে প্রথমে বিদ"আতি বলতেন এবং এই কথা বলতেন যে তিনি হাদিসের চেয়ে কিয়াসকে প্রাধান্য দেয়।
কিন্তু যখন ঘটনাক্রমে ইমাম আবু হানিফা রহ: এর ছাত্র মুহাম্মদ রহ: এর হাতে এক পান্ডলিপি দেখতে পেলেন।
তখনকার যুগের লোকেরা জিজ্ঞাসা করলে আপনার হাতে কি?
মুহাম্মদ রহ: উত্তর দিলেন হাদিসের কিতাব।
মুহাদিসিনরা: কি লিখা আছে দেখি!
খুলে দেখলেন লিখা আছে....ক্বালা নুমান ইবনি সাবিত......রাসুল : এভাবে বর্নিত হাদিস।।
অনেক হাদিস দেখতে পেলেন।
তখন মুহাদ্দিসিনে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন নোমান বিন সাবিত কে???
তখন ইমাম মুহাম্মদ রা: উত্তর দিলেন ইমাম আবু হানিফা যাকে আপনারা বিদ"আতি বলতেন।!!
তখন সকল মুহাদ্দিসিনে কিরাম আশ্চার্য হলেন!!!
এবং বল্লেন তাহলে আবু হানিফা কে ডেকে আনা হউক।
যখন ইমাম আবু হানিফাকে ডেকে আনা হলো তখন তাকে পরীক্ষা করে দেখা হলো....এরপর মুহাদ্দিসিনে কিরামগন যখন দেখলেন আসলে ইমাম আবু হানিফা র: তো শুধু কিয়াস নির্ভরশীন নয় বরং তিনি একজন মুহাদ্দিস&ফকিহ।
তখন মুহাদ্দিসরা বলে উঠলে ইমাম আবু হানিফা রহ: কে লক্ষ করে......ইয়া মা"আশারাল ফুকাহায়ি আনতা আখাজতক কিলাত তারফাইয়নে আনতুমুল আতিব্যায়ু ও নাহনু সয়াদাতুনা.......(অর্থ: হে আবু হানিফা আপনি তো দেখা যায় উভয় দিক ধরেছেন তথা হাদিস ও ফিকাহ...শুনে রাখেন হে ফকিহগন আপনারা হলে ডাক্তার আর আমরা মুহাদ্দিসরা হলাম ডিসফেন্সারি.......)
এর মানে হলো.....ফকিহগন তারা হাদিস তো জানেই সাথে সাথে কোথায় কি আছে হাদিসের এবং কোনটি কোন জায়গায় ব্যবহারিত হবে তাও যানে ফকিহরা আর আমরা মুহাদ্দিসরা শুধু ডিসফেন্সারি... শুধু হাদিসের বলতে পারি কিন্তু কোথায় কি তা ফকিহরা যানে...
এবার আহলে হাদিস ভাইয়েরা বুঝুন।
যারা মুহাদ্দিস ছিলেন তারাই বলেছেন।
ইমাম আবু হানিফা একজন মুহাদ্দিস ছিলেন&ফকিহ ছিলেন।
তবে তিনি ফিকহের দিকটিকে বেছে নিয়েছেন।
আর মনে রাখবেন.... ফিকাহ কিন্ত হাদিস কুরআন ছাড়া নয়।।
আজ আবু হানিফা রহ: হাদিসের কিতাব লিখলেন নআআ কেনো???
সেই প্রশ্ন::!!
বন্ধু একটি ছাত্র যখন মেট্রিক পাস করে এরপর কেউ ডাক্তারি সাইন্স নিয়ে পড়ে কে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে কেউ আবার ব্যবসা নিয়ে পড়ে
কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ে।
তখন তো আপনারা মেডিকেল,সাইন্স পড়ুয়াকে বলেন না আপনি কেনো ইঞ্জিনিয়ার হলেন না???
আপনারা যানে সবাই এক একটি বিষয় নিয়ে পড়ে।।
কিন্তু ক্লাস টেন পর্যন্ত কিন্তু সবাই এক ছিলো...
ঠিক ইমাম আবু হানিফা রহ: হাদিস যানতেন কিন্তু তিনি হাদিস বিষয়ক কিতাব না লিখে হাদিস দ্বারা কি বুঝায়... তথা ফিকহের প্রতি গুরত্ব দিয়েছেন।।।
এরমানে তিনি হাদিস যানতেন না।
বিষয়টা এমন নয়।
আর আপনারা ভেবেছেন বুখারী মুসলিম শরীফ ও ইন্টারনেট এর মত সুবিধা ইমাম আবু হানিফা রহ: এর যুগে ছিলোনা তাই তিনি সব হাদিস পাননি।
এমন ধারনা করা ভুল।
এবং অজ্ঞতার পরিচয়।
কারন আপনার আমার সামনে বুখারী শরীফ বলেন আর মুসলিম শরীফ বলেন।
এর ইন্টারনেট বলেন.......এর কল্যানে মাত্র ৩০ হাজার হাদিস ঘুরাফেরা করতেছে।।
অথচ ইমাম আবু হানিফা রহ: লক্ষাধিক হাদিস মুখাস্ত যানতেন।।।
ইমাম বুখারি রহ: তো বল্লেনই আমি ৬ লক্ষ হাদিস থেকে মাত্র কিছু হাদিস এনেছি।।
বন্ধুরা ভেবেছেন এতো হাদিস কিভাবে মুখাস্ত ছিলো.....????
বন্ধু তাদেরকে আল্লাহ এমন প্রখর মেধা দিয়েছিলেন....তারা শুধু হাদিসই নয় বরং উটের নসবনামা তথা এই উটের মা কোনটি তার মা আবার কোনটি এভাবে.........৫০০ তবকা পর্যন্ত তাদের সচারচর মুখাস্ত ছিলো....
কথিত আহলে হাদিস বন্ধুদেরকে বলবো জ্ঞান অর্জন করুন।।
ইতহাসও পড়ুন।।।
আসা করি আর মুর্খতার পরিচয় দিবেন না।।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!