الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على أشرف الأنبياء والمرسلين نبينا محمد وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين أما بعد:
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মৃত্যু বরণের পূর্বেই কুরআন ও হাদীছের মাধ্যমে এই দ্বীনকে পূর্ণতা দান করেছেন।
আল্লাহ্ বলেন,
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمْ الْإِسْلَامَ دِينًا
“আজকের দিনে তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নেয়ামতকে পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদাঃ ৩)
সুতরাং পবিত্র কুরআন ও রাসূলের সুন্নাতই হচ্ছে ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিমূল। আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন যেমন অহী তেমনি তাঁর রাসূলের হাদীছ অন্য এক প্রকার অহী। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের খেয়াল-খুশী মত কোন কথাই বলতেন না।
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمْ الْإِسْلَامَ دِينًا
“আজকের দিনে তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নেয়ামতকে পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদাঃ ৩)
সুতরাং পবিত্র কুরআন ও রাসূলের সুন্নাতই হচ্ছে ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিমূল। আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন যেমন অহী তেমনি তাঁর রাসূলের হাদীছ অন্য এক প্রকার অহী। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের খেয়াল-খুশী মত কোন কথাই বলতেন না।
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلا وَحْيٌ يُوحَى
“এবং তিনি প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না। তা (কুরআন) অহী ছাড়া অন্য কিছু নয়, যা প্রত্যাদেশ হয়। (সূরা নাজমঃ ৩-৪)
সুতরাং অনুসরণের দিক থেকে হাদীছ কুরআনের মতই। হাদীছ ব্যতীত কোন মুসলিমের পক্ষে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তাই মহান আল্লাহ্ কুরআনের অনেক স্থানেই রাসূলের অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছেন।
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلا وَحْيٌ يُوحَى
“এবং তিনি প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না। তা (কুরআন) অহী ছাড়া অন্য কিছু নয়, যা প্রত্যাদেশ হয়। (সূরা নাজমঃ ৩-৪)
সুতরাং অনুসরণের দিক থেকে হাদীছ কুরআনের মতই। হাদীছ ব্যতীত কোন মুসলিমের পক্ষে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তাই মহান আল্লাহ্ কুরআনের অনেক স্থানেই রাসূলের অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছেন।
মানব জীবনের ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্য রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ ও অনুসরণের মধ্যে নিহিত রয়েছে। তাই আমরা যাদি সকলেই সকল কাজে রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ অনুসরণ করি, তাহলে আমাদের ইহকাল ও পরকালে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
হে নবী! আপনি বলুন, “তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। যাতে আল্লাহ তোমাদিগকে ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ তাআলা হলেন ক্ষমাশীল, অতিদয়ালু। [সুরা আল ইমরান : ৩১]
ফায়দা : উল্লেখিত আয়াত থেকে জানা গেল যে, রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুসরণের দ্বারা দু’টি লাভ, একটি আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন অপরটি গুনাহ মাফ হওয়া।
তাহলে আমরা রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ আর অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহকে পেলাম এবং আমাদের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারলাম।
তাহলে আমরা রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ আর অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহকে পেলাম এবং আমাদের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারলাম।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
হে নবী! আপনি বলুন, আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। তারপরও যদি তোমার মুখ ফিরিয়ে নাও, তার ন্যাস্ত দায়িত্বের জন্য সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যাস্ত দায়িত্বের জন্য তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তার অনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রাসূলের দায়িত্ব কেবল সুস্পষ্ট রুপে পৌঁছে দেওয়া। [সূরা নুর : ৫৪]
হে নবী! আপনি বলুন, আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। তারপরও যদি তোমার মুখ ফিরিয়ে নাও, তার ন্যাস্ত দায়িত্বের জন্য সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যাস্ত দায়িত্বের জন্য তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তার অনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রাসূলের দায়িত্ব কেবল সুস্পষ্ট রুপে পৌঁছে দেওয়া। [সূরা নুর : ৫৪]
ফায়দা : উল্লেখিত আয়াত থেকে জানা গেল যে, রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ অনুসরণের মাঝে হেদায়েত নিহিত রয়েছে। যে যত বেশি সুন্নত মোতাবেক জীবন যাপন করবে, যে তত বেশি হেদায়েত পাবে।
তাই আমরা কাফির, মুশরিক, অমুসলিমদের অনুসরণ ছেড়ে বিশ্ব নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ ও অনুসরণ করি, তাহলে আমরা হেদায়েতপ্রাপ্ত হতে পারব এবং আমাদের জীবন সুন্দর হবে। আর আল্লাহর রহমতও বেশি পাব।
তাই আমরা কাফির, মুশরিক, অমুসলিমদের অনুসরণ ছেড়ে বিশ্ব নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এর অনুকরণ ও অনুসরণ করি, তাহলে আমরা হেদায়েতপ্রাপ্ত হতে পারব এবং আমাদের জীবন সুন্দর হবে। আর আল্লাহর রহমতও বেশি পাব।
১. ইশার নামাযের পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চেষ্টা করা, যাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠা সহজ হয়।
(বুখারী, হাঃ নং ৫৪৭)
বি.দ্র. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যমীন, চৌকি, কাপড়ের বিছানা, চাটাই, চামড়ার বিছানা ইত্যাদির উপর শয়ন করেছেন বলে হাদীসে বর্ণিত আছে।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ২০৬৯/ শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ২২)
২. উযু করে শয়ন করা।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬৩১১)
৩. শোয়ার পূর্বে বিছানা ভালভাবে ঝেড়ে নেয়া।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬৩২০)
৪. শয়নের পূর্বে পরিহিত কাপড় পরিবর্তন করে ঘুমের কাপড় পরিধান করা।
(আল মাদখাল, ৩ : ১৬২)
৫. শয়নের পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে নিম্নে বর্ণিত কাজগুলো করা : ১. দরজা বন্ধ করা। ২. মশক বা পানির পাত্র এবং খাদ্য দ্রব্যের পাত্র ও অন্যান্য পাত্রসমূহ ঢেকে রাখা। যদি ঢাকার জন্য কোন বস্তু না পাওয়া যায়, তাহলে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে তার মুখে একটি লাটি বা ছড়ি রেখ দেয়া, ৩. বাতি নিভানো।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৫৬২৩-২৪)
৬. ঘুমানোর পূর্বে উভয় চোখে তিনবার করে সুরমা লাগানা।
(মুস্তাদরাক, হাঃ নং ৮২৪৯)
৭. ঘুমানোর পূর্বে কিছু পরিমাণ কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা। যথা : আলহামদু শরীফ, সূরা কাফিরূন, আয়াতুল কুরসী, আমানার রসূল থেকে সূরা বাক্বারার শেষ পর্যন্ত, সূরা মুলক, আলিফ লাম মীম সিজদাহ ইত্যাদি তিলাওয়াত করা বেশি পড়া সম্ভব না হলে কমপক্ষে ছোট ২/ ৩ টি সূরা পড়ে নেয়া।
(তাবারানী কাবীর হাঃ নং-২১৯৫) (আল আদাবুল মুফরাদ, হাঃ নং ১২০৯/ বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৩২৭৫)
৮. ঘুমানোর পূর্বে কয়েকবার দরূদ শরীফ পাঠ করা এবং তাসবীহে ফাতেমী অর্থাত ৩৩ বার সূবাহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৩১১৩)
৯. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস প্রত্যেকটা তিনবার করে পড়ে হাতে দম করে যতটুকু সম্ভব মাথা হতে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে হাত মুছে দেয়া। তিনবার এরূপ করা।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৫০১৭)
১০. ঘুমানোর সময় ডান কাতে কিবলামুখী হয়ে শোয়া সুন্নাত। উপুড় হয়ে শয়ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এভাবে শয়ন করাকে আল্লাহ তা‘আলা পছন্দ করেন না।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬৩১৪/ সহীহ ইবনে হিব্বান হাঃ নং ৫৫৪৯)
১১. শয়ন করে এ দু‘আ পড়া :
باسمك ربى وضعت جنبى وبك ارفعه، ان امسكت نفسى فارحمها وان ارسلتها فاحفظها بما تحفظ به عبادك الصالحين
(বুখারী শরীপ, হাঃ নং ৬৩২০)
১২. ঘুমানোর পূর্বে তিনবার এই ইস্তিগফার পড়া :
استغفر الله الذى لا اله الا هو الحى القيوم واتوب اليه
(তিরমিযী, হাঃ নং ৩৩৯৭)
১৩. এই দু‘আটিও পড়া :
اللهم باسمك اموت واحيى
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬৩১৪)
১৪. সর্বশেষে এ দু‘আটি পড়া :
اللهم اسلمت وجهى اليك وفوضت امرى اليك والجأت ظهرى اليك رغبة ورهبة اليك لاملجأ ولا منجا منك الا اليك- اللهم امنت بكتابك الذى انزلت وبنبيك الذى ارسلت-
(বুখারী, হাঃ নং- ২৪৭)
১৫. শয়ন করার পর ভয়ে ঘুম না আসলে এই দু‘আ পড়া :
اعوذ بكلمات الله التامة من غضبه وعقابه وشرعباده ومن همزات الشياطين وان يحضرون-
(তিরমিযী, হাঃ নং ৩৫২৮)
১৬. স্বপ্নে ভয়ংকর কিছু দেখে চক্ষু খুলে গেলে তিনবার
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
পড়ে বাঁ দিকে থু-থু ফেলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া। তাতে ক্ষতির আর কোন আশংকা থাকে না এবং এ দু‘আটি পড়া :
اللهم انى اعوذبك من شر هذه الرؤيا-
(মুসলিম, হাঃ নং ২২৬২)
১৭. সুযোগ হলে দুপুরে খানার পর কিছুক্ষণ কাইলূল্লাহ করা অর্থাত শয়ন করা। চাই ঘুম আসুক বা না আসুক।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৯৩৯)
ঘুম থেকে উঠার সুন্নাতসমূহ
১. ঘুম থেকে উঠেই উভয় হাত দ্বারা মুখমণ্ডল এবং চক্ষুদ্বয়কে হালকাভাবে মর্দন করা, যাতে ঘুমের ভাব দূর হয়ে যায়।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ১৮৩)
২. ঘুম হতে উঠার পর এই দু‘আ পড়া :
الحمد لله الذى احيانا بعد ما اماتنا واليه النشور
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬৩২৪)
৩. যখনই ঘুম হতে উঠা হয়, তখনই মিসওয়াক করা একটা সুন্নাত। উযু করার সময় উযুর সুন্নাত হিসেবে মিসওয়াক করা।
(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ২৪৫/ আবু দাউদ, হাঃ নং ৪৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উক্ত সুন্নাত সমূহের উপর আমল করার তৌফিক দান করেন। #আমীন
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!