আমরা যারা মাদারেসে কওমিয়াতে পড়াশোনা করি, বিশেষ করে যারা হাদীসের কিতাব পড়ছি, তাদের একটি বৃহত্তম অংশের হাদিসের সিলসিলা উস্তাদে মুহতারাম মাজলুম আলেমি দ্বীন হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী হাফি: পর্যন্ত পৌঁছে।
তাই হাদীসের সিলসিলায় আমার উস্তাদ নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে, উনি রাজাকার ছিলেন, ধর্ষণকারী ছিলেন, নারীলোভী ছিলেন, মানুষ হত্যার পৈশাচিক উল্লাসে নিমজ্জিত ছিলেন। তাহলেতো অবশ্য উনার হাদীস নিয়ে ও প্রশ্ন উঠবে। ইমাম বুখারী (রহ:) হাদিসের উপর প্রশ্ন উত্থাপিত হবে ভেবে, সোনার থলি জাহাজ থেকে সাগরে নিক্ষেপ করে দিয়েছিলেন।
তাই বাবুনগরীর ইজ্জতের অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহর নবীর হাদীসের ইজ্জত। বাবুনগরীর ইজ্জত এদেশের হাজার হাজার মুহাদ্দিসিনে কেরামের ইজ্জত। বাবুনগরীর ইজ্জত এ দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ইজ্জত। তাই এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটে থাকাটা শুধু অনুচিতই নয় কাপুরুষতা।
আর যারা এটা ভাবছেন যে, তা কেবল বাবুনগরীর ব্যক্তিগত মুয়ামালা, তারা ও বোকার স্বর্গে বাস করছেন, বনের বড় বাঘকে যদি খাঁচায় বন্দি করা যায় আর ছোটখাটো শিয়ালকে খাঁচায় বন্দী করা কি খুব কঠিন? বাবুনগরী আমাদের মহা মূল্যবান অলংকার! উনাকে হারিয়ে ফেলার আগে মূল্যায়ন করতে শিখুন।
বাবুনগরীর ইজ্জতের প্রশ্নে একসাথে গর্জে উঠতে হবে 'বাংলাদেশ প্রতিদিনের' বিরুদ্ধে। তারা একে একে আমাদের কলিজাতে ছুড়ি মারছে। বন্ধু! এখন চুপ থাকার সময় নয়। মাঠ কাঁপাবার সময়।
কবির কন্ঠের সাথে গুণগুণিয়ে আমিও বলছি :-
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।
কপি .....HM..Adib...from...Malaysia
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!