শুধু আমার পছন্দের নয় বাংলা উইকিপিডিয়ায় আছে-পান্তা ভাত গ্রামীণ বাঙালি জনগোষ্টির একটি জনপ্রিয় খাবার। নৈশভোজের জন্য রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে সংরক্ষণের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখা হলে পরদিন এই পানিতে রাখা ভাতের নাম হয় পান্তা ভাত।, পান্তা ভাত গ্রামীণ মানুষ সকালের নাশতা হিসাবে খেয়ে থাকে। সাধারণত লবণ, কাচা মরিচ ও পেঁয়াজ মিশিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া হয়।
পান্তা ভাতের আরও গুণের মধ্যে একটি হলো,তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির একজন চিকিৎসক কাউসার আলম বলেন, পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং সি রয়েছে।
তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘ঝিমুনিভাব’-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পান্তা ভাতের পানিতে যে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয় তা পেটে কোন সমস্যা তৈরি করে কিনা সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
গবেষকগণ বলেছেন,পান্তা ভাতের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২। এ ভাতের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারি ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে এবং বহু রোগ প্রতিরোধ করে। এ ভাতে রয়েছে হাড় ও পেশি শক্তি বৃদ্ধির উপাদান এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ ক্ষমতা। পুষ্টিবিদগণ পান্তা ভাতের আরো অনেক গুণাগুনের বিবরণ দিয়েছেন যেমন:
১. পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা থাকে এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
২. মানব দেহের জন্য উপকারি বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে যায়।
৩. পেটের পীড়া ভাল হয় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৪. কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজিবতা বিরাজ করে।
৫. রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
৬. অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সবল হয় এবং মেজাজ ভাল থাকে।
৭. এলার্জি জনিত সমস্যা প্রশমিত হয় এবং ত্বক ভাল থাকে।
৮. সব রকম আলসার দূরীভূত হয়।
৯. শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১০. মন মেজাজ ভাল রাখে।
লক ডাউনে যেহেতু হোটেল রেষ্টুরেন্ট বন্ধ
তাই সকালে নাস্তার জন্য বাসায় আলাদা চাপ প্রয়োগ না করে সবার প্রতি পান্তা ভাত খাওয়ার পরামর্শ রইলো😀
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!