Friday, April 10, 2020

দেশের বর্তমান অবস্থায় মসজিদ এবং মসজিদ ছাড়া অন্যত্র জুমা আদায়ের হুকুম কী?


প্রশ্ন: দেশের বর্তমান অবস্থায় মসজিদ এবং মসজিদ ছাড়া অন্যত্র জুমা আদায়ের হুকুম কী? 
সমাধান: যে সমস্ত গ্রাম এবং শহরে জুমার শর্ত পাওয়া যায়, সে সমস্ত এলাকায় মসজিদে তো নিয়মিত জুমা  চলে আসছে। তবে, সেখানে বর্তমান অবস্থায় সরকার এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ক‘জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে নিয়ে সেখানে জুমা আদায় করা হবে। অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে যে, জুমা আদায়ের জন্য ইমাম ছাড়া কমপক্ষে তিনজন মুক্তাদী আবশ্যক। বর্তমান অবস্থায় যারা মসজিদে জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞার কারণে মসজিদে জুমা আদায় করতে সক্ষম নই, তারা নিজেরা কিছু মানুষ মিলে এলাকাতে নিজের বাড়ির উঠানে অথবা বড় কামরাই জুমার নামাজ আদায় করতে পারবে। অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে বড় জমায়েত হওয়ার ক্ষেত্রে যেন প্রশাসন বা সরকার পক্ষ থেকে কোন ধরনের চাপের সৃষ্টি না হয়।আর আশেপাশের লোকদেরকে জানিয়ে দিবে, যেন তারাও জামাতে শুরীক হতে পারে। সুতরাং ইমাম সাহেব মুক্তাদীদেরকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত খুতবা পড়ে সংক্ষিপ্ত কেরাতের সাথে জুমা আদায় করবে।

প্রশ্ন: পাঞ্জেগানা মসজিদে জুমা আদায় করতে পারবে কী?
সমাধান: বর্তমান অবস্থার পূর্বে যেসব পাঞ্জেগানা মসজিদে জুমা হতো না, এমতাবস্থায় সে‘সব মসজিদে জুমা আদায় করতে পারবে।খেয়াল রাখবে, যেন লোকসমাগমের আধিক্যের কারণে প্রসাশনের চাঁপের মুখোমুখি না হতে হয়।

প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতে যারা কোনো  কারণে জুমা আদায় করতে পারেনি, তারা কি জোহরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করবে, নাকি আলাদাভাবে?

সমাধান: 
যারা জুম্মা আদায় করতে পারেনি, চাই তা ইমাম-খতিব না থাকার কারণে বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপের কারণে অথবা নিজের অসুস্থতার কারণে বা জুমার শর্ত না পাওয়া যাওয়ার কারণে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এমন ব্যক্তি মাযূর/অপারগ হিসেবে গণ্য হবে। তারা জুম'আর পরিবর্তে একাকী জোহরের নামাজ আদায় করবে।
এরকমভাবে যে শহর অথবা গ্রামে জুমা আদায়ের কোন ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি, কোন ওজরের কারণে,  তারা জোহরের নামাজ একা একা আদায় করবে। জামাতের সাথে নয়। জামাতের সাথে আদায় করা মাকরুহ।

وصورة المعارضة: لان شعار المسلمين في هذا اليوم صلاة الجمعه وقصد المعارضه لهم يودي الى امر عظيم فكانه في صورتها كراهه التحريم. (رد المحتار: كتاب الصلاة، باب الجمعه، الناشر: مكتبه زكريا ديوبند)
لان المامور به في حق من يسكن المصر في هذا الوقت شيئان: ترك الجماعه وشهود الجمعه واصحاب السجن قدروا على احدهما هو ترك الجمعه فياتون بذلك. (المبسوط للسرخسي:2|36. باب الصلاه الجمعة، دار المعرفه بيروت)
ومن لا تجب عليهم الجمعه من اهل القرى والبوادي لهم ان يصلوا الظهر بجماعه يوم الجمعه باذان واقامة. (الفتاوى الخانيه على هامش الهدايا:1|177. كتاب الصلاة، باب صلاة الجمعة) 
قوله في مصر: اما في الحق اهل السواد فغير مكروه لانه لا جمعة عليهم. (حاشيه الطحطاوي على الدر:1|346. مكتبه الاتحاد ديوبند)

(۱)عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ، عُذْرٌ» ، قَالُوا: وَمَا الْعُذْرُ؟، قَالَ: «خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ، لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى». (سنن أبي داؤد:ح:551.)
(۲) وإذا انقطع عن الجماعة لعذر من أعذارها المبيحة للتخلف" وكانت نيته حضورها لولا العذر الحاصل "يحصل له ثوابها" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرئ ما نوى"(مراقي الفلاح:163.كراجي)
(۳)أما اذا كان لمنع عدو يخشى دخوله وهو في الصلاه الظاهر وجوب الغلق. 
(حاشيه الطحطاوي على الدر:1|344. مكتبه الاتحاد ديوبند) 

(۴)امدادالفتاوی میںہے:
اذن عام ہونا بھی منجملہ شرائط صحت جمعہ ہے، جس کے معنی یہ ہیں کہ خود نماز پڑھنے والے کو روکنا وہاں مقصود نہ ہو۔ باقی اگر روک ٹوک کسی اور ضرورت سے ہو تو اذن عام میں مخل نہیں۔ (امداد الفتاوی:۱؎۶۱۴۔ مطبوعہ مکتبہ زکریا دیوبند)
(۵)امداد الاحکام میں ہے:
اگر چھاؤنی یا قلعہ میں جمعہ ادا کیا جائے تو جائز ہےگو چھاؤنی اور قلعے میں دوسرے لوگ نہ آ سکتے ہوں کیونکہ مقصود نماز سے روکنا نہیں ہے بلکہ انتظام مقصود ہے۔ (امدادالاحکام:۱؎۷۵۱۔ مطبوعہ مکتبہ دارالعلوم کراچی)

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!