মাসয়ালাটি সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনদের আমলে কোন বিতর্কের সৃষ্টি করে নি।সবাই ঐক্যমত যে জুময়ার খুতবাহ আরম্ভ হওয়ার আগ পর্যন্ত পড়া মুস্তাহাব।
এর পর পড়া যাবে না।
মুহাদ্দিসীন,মুফাস্সিরীন ও ফুকাহায়ে কেরামের ধারাবাহিকথায় উম্মতের মুসলিমার মধ্যে এ আমলই চলে আসছিল।
অধুনা যুগে এ মাসয়ালায় বিতর্কের সৃষ্টি করে ফিতনার দুয়ার খুলেছে সহীহ হাদীসের লেভেলধারী কিছু মুর্খ সম্প্রাদায়।
যে হাদীসগুলো দেখে ওরা ধোকা খাইছে-----
عن جابر بن عبد الله رض قال.قال رسول الله صلي الله عليه وسلم وهو يخطب (اذا جاء احدكم والامام يخطب او خرج فليصل ركعتين.
হযরত জাবির রাঃ বলেন,রাসুল সাঃ বলেছেন,যখন তোমাদের কেউ মসজিদে আসবে এমতাবস্থায় যে ইমাম খুতবা দিতেছেন বা খুতবার জন্য বের হয়েছেন,তখন সে যেন দু রাকাত নামাজ পড়ে নেয়।(বোখারী হাদীস নং ১১১৩)
ঠিক ওই অর্থের হাদীস হযরত জাবির রাঃ থেকে মুসলিম শরীফেও এসেছে।(সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২০৫৯)
এবার কথা হল রাসুল সাঃ কি খুতবা চলাকালীন সময়ে নামাজের ব্যাপারে শুধু ঐ কথাগুলো বলেছেন নাকি ভিন্ন কথাও আছে?
এবার দেখুন----
عن عبد الله بن عمر رض قال.سمعت النبي صلي الله عليه وسلم وهو يقول.اذا دخل احدكم المسجد والامام يخطب فلا صلواۃ ولا كلام حتي يفرغ الامام.
হযরত ইবনে উমর রাঃ নবী সাঃ থেকে বর্ননা করেন যে,নবী সাঃ বলেন,যখন তোমাদের কেহ ইমাম সাহেব খুতবা রত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করবে তখন কোন নামাজও পড়বেনা কথাও বলবে না।
(মাযমাউজ যাওয়ায়েদ হাদীস নং ২০১৪)
عن ابي هريره رض قال.قال رسول الله صلي الله عليه وسلم.اذا قلت لصاحبك يوم الجمعۃ انصت والامام يخطب فقد لغوت.
হযরত আবু হরায়রাহ রাঃ বলেন,নবী সাঃ বলেছেন,তুমি জুময়ার দিন খুতবাহ চলাকালীন অবস্থায় যদি তোমার সাথীকে বল চুপ থাক তাহলে তুৃমি অনর্থক কাজ করলে।(বুখারী হাদীস নং ৮৯২,মুসলিম হাদীস নং ২০০৫)
মুজতাহিদ উলামায়ে কেরাম উভয় হাদীসের সমন্বয়ে প্রথমোক্ত দুটি হাদীসের হুকুম মুস্তাহাব বলেছেন তবে শর্ত হলো যতক্ষন না খুতবাহ শুরু হয়।
আর শেষের দুটি হাদীসের আলোকে খুতবাহ শুরু হয়ে গেলে খুতবাহ শোনা ওয়াজিব বলেছেন,এবং তখন নামাজ পড়া দুরের কথা বরং অন্যকে চুপ থাক একথা বলতেও নিষেধ করেছেন।
খুতবাহ চলাকালীন সময়ে নবী সাঃ কর্তৃক নামাজ পড়ার বিষয়টি সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা রহিত হওয়ার প্রমান বহন করে।
ইমাম নববী রহঃ মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যায়
১/২৮৭ নং পৃষ্টায় বলেন, হযরত উমর রাঃ,হযরত আলী রাঃ ও হযরত উসমান রাঃ সহ অধিকাংশ সাহাবাদের মতে খুতবাহ চলাকালীন সময়ে নামাজ নিষিদ্ধ।
এবার আসি তিতা কথায়,নবীর সাহাবাগন নবীর সাঃ এর হাদীস বেশী বুঝেন নাকি তথা কথিত সহী লেভেলের পন্ডিতরা বুঝে?
তাই উলামায়ে কিরামের নির্দেশ,যোগ্য আলেম ব্যতীত বাংলা হাদীসের কিতাব পড়ে ফতোয়া দেয়া,পিসটিভির লেকচার শুনে ফতোয়া দেয়া গোমরাহী।
আল্লাহ যেন আমাদের হেফাজত করেন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!