তাকলিদ না কইরা যাবেন কই?
তাকলিদ তথা সালফে-সালেহীনগণের কথা মানার মাঝেই কল্যাণ নিহিত।
তবে শিরকি, বেদাতী, উচ্ছৃংখল টাইপের কাউকে সেই কাতারে নিয়ে তাকেও সালফে-সালেহীনগণের অন্তর্তূক্ত করা যাবেনা।
আল্লাহর গজব যেকোন সময় আইসা আমাদেরকে ধরাশয়ী করে দিতে পারে, যেকোন প্রকারের গজব।
তো বর্তমানে আমরা হাদীসের সহিহ যইফ জাল নিয়ে যেভাবে ঝগড়া করছি সে অন্যায়ের উপর ক্ষুন্ন হইয়া যদি খোদায়ী গজব স্বরুপ সকল হাদীসগ্রন্থের কালি উঠে যায়, টেকনোলজীর আশ্রয় নিয়ে যতভাবে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে তাও যদি একদিন সকালে উঠে দেখি কিছুই না ফাইলপত্তর, পিডিএফ, এমএসওয়ার্ড , ব্লগ, ফেবু সব সব। তখন কি করবো আমরা?
বাকি আছে শুধু হাফেজুল হাদীস এবং হাদীসের উপর যিনিরা পড়াশুনা করেছেন তা মন-মগজে ভরে রেখেছেন।
এবার কহেন তবে কিভাবে আর বোখারীর রেফাঃ দিলে পরখ করবেন বিনা তাকলিদে?
তাকলিদ করার মাঝে কোন অসম্মান নেই। সুন্নাহ মানতে হলে তাকলিদ করাই লাগবে। শুধু হাদীস দিয়ে নবীজীর (সাঃ)-এর দেখানো পথে চলা যায়না। হাদীস আর সুন্নাহ-কে আবার এক করে দিয়েন না। যেমনভাবে জাল আর জইফকে একই করে আহলে হাদীস আলেম এবং অনুসারীগণ সমাজে ক্যাচাল লাগিয়ে সুখ পাচ্ছেন।
আফসোস, কবে আমাদের বুঝ আসবে এই সহিহ এবং গায়রে মুকাল্লিদ হওয়ার ভাইরাসটা মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্টের কারণে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে সঠিকপথের সন্ধানের নামে যেভাবে খ্রিস্টানরা আল্লাহর অস্তিত্ব’র অসারতা বুঝাতে দরিদ্র লোকদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে বুঝায় যে তাদের ঈসায়ী ঈশ্বর’ই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে মানুষের দুঃখ দুর করতে পারে। আর দরিদ্র মানুষরাও তা দরিদ্র মগজে মেনে নেয়।
হে আল্লাহ তুমি ভাইরাসকে হটিয়ে সবাইকে সেই পথের পথিক করে দাও যে পথে হাজার বছরে ধরে কোটি কোটি সালফে-সালেহীনগণ খাইরুন কুরুন যুগের ইমাম তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীন,সাহাবাগণ পালন করে গেছেন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!