Saturday, March 11, 2017

সাধারণ বিষয়গুলো বুঝতেও আর কত দেরি হবে? পর্ব-২

”কিচ্ছা-কাহিনীর কিতাব ফাযায়েলে আমালসহ তাবলীগের কিতাবগুলো। অতএব এগুলো হটাও, পড়া যাবেনা।” (নাউযুবিল্লাহ)
উপরোক্ত কথাগুলোর প্রমাণ করার জন্য আশা করি ছবি, ভিডিও, পুস্তক দিয়ে দেয়ার দরকার নেই। প্রমাণ এখন প্রমাণিত যে কারা এগুলো বলে বলে কিতাবগুলোর ব্যাপারে সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করছে।
আমাকে অনেক কষ্ট নিয়ে একটা বলতেই হচ্ছে, বলতে চায়নি তবে বলতে হবে, ভাই হয়ে কিভাবে এমন অজুহাত তুলেন!!, অথচ ভুল অজুহাত, মিথ্যা অপবাদ।
নাস্তিকরা প্রশ্ন তুলে এই বলে যে পবিত্র কোরআন হলো কিচ্ছা-কাহিনীর গ্রন্থ। তারা এই বলে খুব মজা পায়, তাচ্ছিল্য করে।(নাউযুবিল্লাহ)
আর আজ আমাদের ভাই আহলে হাদীসরাও তাদের মতই প্রশ্ন তুলে কিচ্ছা-কাহিনীর কিতাব ফাযায়েলে আমালসহ তাবলীগের কিতাবগুলো। খুবই কষ্ট লাগে ভাই এমন প্রশ্ন তুলেন আপনারা। হ্যা যদি তা সত্যিই হতো তবে মেনে নিতে কষ্ট ছিলনা।
আহলে হাদীস ভাইদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কি পবিত্র কোরআনের বর্ণিত আয়াতগুলো পড়েছেন??
আপনাদের চোখে কি পড়েছে যে পবিত্র কোরআনে কতগুলো কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণিত হয়েছে??
প্রত্যেকটি কিচ্ছা-কাহিনীতে রয়েছে মানব জাতির হেদায়েতের জন্য নসিহত, মাসায়েল, ফেকাহ, উপদেশ, নিষেধ কত কিছু। এগুলো নিছক কিচ্ছা-কাহিনী নয় ভাইয়েরা।
তেমনি ফাযায়েল আমালসহ তাবলীগের কিতাবগুলোর কিচ্ছা-কাহিনীও বিভিন্ন প্রকারের উপদেশ, শিক্ষামূলকই। পড়েই দেখুন, পরিষ্কার মন নিয়ে।
মুসা (আঃ) ফেরাউনের ঘটনা তো কিচ্ছা-কাহিনী?
সূরা বাকারা শুরু হয়েছে একটা গাভীর ইতিহাস নিয়ে। এভাবে যতদুর পড়া হয় একে একে অতীতের বিভিন্ন ঘটনা একের পর এক বর্ণিত হয়েছে কিচ্ছা-কাহিনীর আদলে।
এখন কি তবে আপনারা পবিত্র কোরআনের ব্যাপারে একই প্রশ্ন উঠাবেন !!!! (নাউযুবিল্লাহ)
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন ........... আমিন।

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!