থিউরী হলো কোরআন, হাদীস।
আর প্র্যাকটিক্যাল হলে নবীজীর (সাঃ)-এর আমল, সুন্নাহ
তার মানে দাড়াচ্ছে
কোরআন, হাদীস = থিউরী
সুন্নাহ = প্র্যাকটিক্যাল
এখন কথা হলো থিউরী পইড়া কি কেউ আজ পর্যন্ত মহাকাশ বিজ্ঞানী, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, স্নাইপারসহ জগতের এমন কোন পেশা বা জ্ঞান নেই যা শুধু থিউরী পড়েই বিজ্ঞ হয়ে যাওয়া যায়। বিজ্ঞ পেশাদারিত্ব অর্জন করতে হলে অবশ্যই প্র্যাকটিক্যাল জানা লাগবে। আর প্র্যাকটিক্যাল হলো কারো তথ্যাবধানে থেকে হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া।
মূল আলোচনায় আসি। আমরা যদি শুধু সালাত শিখতে চাই তবে কি “নবী (সাঃ)-এর সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি (তাকবির থেকে সালাম পর্যন্ত এমনভাবে যেন আপনি দেখছেন) কিতাবটি পড়লেই শেখা হয়ে যাবে !!!!!!!!! ???????????????
হবেনা, কোনদিনও হবেনা, হবেনা, কোনদিনও হবেনা, হবেনা, কোনদিনও হবেনা।
তাহলে পরে এতটা দৃঢ়তার সাথে এমন নাম রাখার মত ধৃষ্টতা দেখানো কি ঠিক হয়েছে?
(এই বিষয়ে একটা বড় পোস্ট পরে আসবে ইনশাআল্লাহ)
পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে আল্লাহর তায়ালার পক্ষ থেকে জিবরাইল (আঃ)-এর মারফত। তারপর তা সরাসরি নবী করিম (সাঃ)-এর কাছে কিতাব আকারে নয় সরাসরি শিক্ষাদান পদ্ধতির মাধ্যমে । তারপর তা সম্প্রসারিত হয়েছে সাহাবায়ে কেরামগণের (রাঃ) কাছে, সবকিছুই হয়েছে প্র্যাকটিক্যালী।
থিউরী সংকলিত হয়েছে পরে। তারমানে দ্বীন শেখার জন্য থিউরী জানা, পড়ার সাথে অবশ্যই বিজ্ঞজনের কাছে থেকে প্র্যাকটিক্যালী শিখতে হবে অবশ্যই।
অতএব যারা শুধু সহিহ হাদিস পড়েই দ্বীন শেখার জন্য উৎসাহিত করছেন তারা তবে কি ভুল শিক্ষাটাইনা জাতিকে দিচ্ছেন!!!
তারা জাতিকে গোমরাহ করে ফেলছেন ইতোমধ্যে।
তারা শিখাচ্ছে মসজিদের ইমাম, আলেমদের কাছে যাওয়ার দরকার কি বাজারে সহিহ হাদীসের কিতবা আছে পড়ে নিলেই হবে।
হে আল্লাহ তুমি এই গোমরাহ ফেরকার গোমরাহী প্যাচগি লাগাইন্না শিক্ষা থেকে জাতিকে করো ........ আমিন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!