একনজরে দেখে নেই কিভাবে উপমহাদেশেইসলামের পতন শুরু হলো। ১৮০৩- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরর ঘোষনা 'সৃষ্টিআল্লাহর, দেশ সম্রাটের, হুকুম চলবে কোম্পানির'।১৮০৩- মোহাদ্দেস শাহ আবদুল আযীযদেহলভী র.এর ফতুয়া 'আল্লাহর সৃষ্টিতেআল্লাহর হুকুম ই চলবে, কোম্পানির নয়। দেশ দারুল হরব হয়ে গেছে, আযাদ করা ফরজ হয়ে গেছে। ১৮১৮- দেহলভীর ফতোয়া অনুসারে হাজী শরিয়ত উল্লাহর ফরায়েজি আন্দোলন শুরু।১৮২৬- দেহলভি কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয় সায়্যিদআহমদ শহীদ এর জিহাদ শুরু। ১৮৪০- হাজী শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যু, ফরায়েজিআন্দোলনের নেতৃত্বে দুদু মিয়া।১৮৬৪ থেকে ১৮৬৭- ফরায়েজি আন্দোলনের পরাজয়, দিল্লীর চাঁদনিচক থেকে খায়বার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের প্রত্যেক গাছে ১৪ হাজার আলেমের ফাসি, ৩লক্ষ কপি কোরআন পোড়ানো, ৮০ হাজার মাদ্রাসা বন্ধ।১৮৮৫- ভবিষ্যতে যেন ফরায়েজির মত আন্দোলন না হয় এর জন্য গোলাম আহমদ কে নিযুক্ত করে কোম্পানি। গোলাম আহমদনিজেকে মোজাদ্দেদ (মোহাদ্দেসথেকেও বড়) দাবী করে ফতুয়া প্রদান'কোম্পানির হুকুম মানা ফরজ, বিরোধীতা হারাম'।এই ফতোয়াকে শক্তিশালী করতে ১৮৯১ সালেনিজেকে ইমাম মেহেদী দাবী করে গোলাম আহমেদ এবং ১৯০১ সালে নিজে কে নবী দাবী করে।১৮৫০- ১৭৮০ সালের বৃটিষদের কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদ সৃষ্টি করে আলিয়া মাদ্রাসার দখল নেয় কোম্পানি। আলিয়া মাদ্রাসার সিলেবাসে পড়ানো হয় জিহাদ বিরোধী অধ্যায় এবং খৃষ্টানধর্ম।১৮৬৬- সালে দেওবান্দ মাদ্রাসা সৃষ্টি করে ইসলামিশিক্ষা প্রচার, রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি কর্তৃক পীর- মুরিদী দ্বারা ইসলামি শিক্ষা।১৮৬৯- ফ্রোয়েবল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ১৮৩৭সালের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা ব্যবস্থা বৃটিষ রাএদেশে নিয়ে আসে যেন মুসলিম সন্তানেরা মক্তবে পড়ার সময় না পায়। ১৯২০- মওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আখতার কান্ধলভি (রহঃ)এর দ্বারা বয়স্ক লোকদের ইসলামি শিক্ষা ও দাওয়াতএর জন্য তাবলিগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠা হয় ৷
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!