Monday, May 22, 2017

আহলে হাদিসের পায়জামা গরম করবেন যেভাবে !

একজন পান বিক্রেতার কাছে তিনজন 'শায়েখ বিন মাদানী এলো। এসে বললোঃ
- তুই মাযহাব মানিস তাবলীগ করিস?
- জ্বী করি।
- তোর তো নামাজই হয়না!
- কেন হুজুর নামাজ হয়না?
|
- শায়েখরা বললোঃ "আয় তোর সাথে আজকে বাহাস করব। তোর নামাজ হয় না।"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর! আমি তো দ্বীন বেশি বুঝিনা। তবে আমি আলেম ওলামাদের থেকে শিখেছি যে, মাযহাব মানা ছাড়া শুধুমাত্র 'কুরআন ও সহীহ হাদীসের বাহ্যিক শব্দ দ্বারা' দুই রাকাত নামাজও পড়া সম্ভব না।
|
আপনারা আমাকে কুরআন ও সহীহ হাদীসের বাহ্যিক শব্দের দ্বারা দুই রাকাত নামাজ পড়ে দেখান। তাহলে আমিও আর মাযহাব মানব না।"
|
- তিনজন শায়েখ বললোঃ "ঠিক আছে বল, নামাজে আমিন কি জোরে বলা লাগবে? না আস্তে বলা লাগবে?"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর আমার নবী তো দ্বীন পূর্ণ এনেছেন। আধা আনেন নাই। তাহলে নামাজের মাঝখানে আগে কেন যাব? শুরু থেকে বলুন। নামাজ নামক গৃহের দরজা হলো তাকবীরে তাহরীমা। আগে তাকবীরে তাহরীমা বলা থেকে বলুন।"
|
- তিন শায়েখঃ "ঠিক আছে বল কি বলবি?"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর তাকবীরে তাহরীমা" এটা বলা ফরজ, না ওয়াজিব, না সুন্নত?
|
- প্রথম শায়েখঃ "এটা বলা ফরজ।"
- দ্বিতীয় শায়েখঃ প্রথমজনকে খোঁচা দিয়ে বললো, "কে বললো তোকে এটা ফরজ? ফরজ তো কুরআন থেকে প্রমাণীত। এইযে কুরআন! একটা আয়াত দেখা তো আল্লাহ বলেছেন, তাকবীরে তাহরীমা ফরজ?"
- প্রথম শায়েখঃ "এমন কোন আয়াত তো কুরআনে নেই যেখানে আল্লাহ বলেছেন বাহ্যিক অক্ষরে যে, তাকবীরে তাহরীমা ফরজ।" ঠিক আছে তাহলে তুমি আমাকে থামিয়ে দিলে এবার তুমিই বলো তাকবীরে তাহরীমা বলা কি?"
|
- দ্বিতীয় শায়েখঃ "তাকবীরে তাহরীমা বলা সুন্নত।"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর সুন্নত কি দ্বারা প্রমাণীত?"
- দ্বিতীয় শায়েখঃ "হাদীস দ্বারা প্রমাণীত।"
- পান বিক্রেতাঃ "এই যে 'সিয়া সিত্তাহ' এর সকল সহীহ হাদীসের কিতাব। দেখান কোথায় লেখা আছে যে, তাকবীরে তাহরীমা বলা সুন্নত?"
- দুই শায়েখঃ "জবাব নেই। নীরব"
|
এবার তৃতীয় মাদানী শায়েখ মুখ খুললো। সে বাকি দুইজনকে বললোঃ
- "তোরা দুইজনই বেদাতী।"
- দুই শায়েখ বললোঃ "কেন আমরা বেদাতী?"
- তৃতীয় শায়েখঃ "আমরা হলাম আহলে হাদীস। লা মাজহাবী। আর লা মাজহাবীদের দলীল শুধু দুইটা, 'কুরআন ও সহীহ হাদীস'। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত এগুলো মানুষের বানানো। আর মানুষের তৈরী শব্দ বেদাত। আর সেই শব্দ ব্যাবহার করার কারণে তোরাও বেদাতী।"
|
পান বিক্রেতা তাবলীগের বরকতে ও আলেমদের সোহবতে কুরআন ও হাদীস কিছুটা শিখেছে। সে বুখারী ও নাসাঈ শরীফের টিকা দেখিয়ে বললোঃ
- "হুজুর ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর মতে তাকবীরে তাহরীমা ওয়াজিব। ইমাম নাসাঈ (রহঃ) এর মতে ফরজ। মাযহাবের পরিভাষা ব্যাবহার করলে যদি বেদাতী হয়। তাহলে প্রথম বেদাতী ইমাম বুখারী (রহঃ) এরপরে ইমাম নাসাঈ (রহঃ)। তাহলে বেদাতীদের লিখিত হাদীসের কিতাব পড়েন
কেন?"
|
- দুই শায়েখ তৃতীয় শায়েখকে বললোঃ "তাহলে তুমিই জবাব দাও এটা কি?"
- তৃতীয় শায়েখঃ "আচ্ছা এটা এখন জানা নেই। লিখে নিলাম। পরে জবাব দিব।"
|
- তিন শায়েখ মিলে পান বিক্রেতাকে বললোঃ "আগের প্রশ্নের জবাব পরে দিব। এবার তুই বল, ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা জোরে পড়া লাগবে না আস্তে পড়া লাগবে?"
- পান বিক্রেতা বললোঃ "হুজুর আগেই বলেছি নামাজ নামক ঘরের দরোজা হল 'তাকবীর তাহরীমা।' তাই আগে এর সমাধান চাই। মধ্য দিয়া চুরি করে ঘরের ভিতরে আজকে ঢুকতে দিব না।"
|
- তিন শায়েখঃ "ঠিক আছে। বল তোর দ্বিতীয় প্রশ্ন কি?"
- পান বিক্রেতাঃ "নামাজে ইমাম তাকবীর জোরে বলে, আর আমরা আস্তে বলব কেন?"
- তিন শায়েখঃ "জবাব নাই। লিখে নিলাম। পরে বলব। এবার বল তারাবীর নামাজ কয় রাকাত?"
- পান বিক্রেতাঃ "হুজুর আগে তাকবীরের সমাধান করেন। মধ্য দিয়া আজকে ঘরে ঢুকতে দিব না।"
|
- তিন শায়েখঃ "ঠিক আছে। এবার তৃতীয় প্রশ্ন বল।"
- পান বিক্রেতাঃ "তাকবীরে আমি যদি 'আল্লাহু আকবার'না বলে 'আল্লাহু আযামু' বলি তো সমস্যা কোথায়? অর্থ তো একই।"
- তিন শায়েখঃ "এটাও জানা নেই। লিখে রাখলাম। পরে জবাব দিব।"
|
এলাকবাসী সম্পূর্ণ ঘটনা দেখছিলো। তারা এবার
শায়েখদের বললোঃ "এভাবে গেলে তো হবেনা। কুরআন ও সহীহ হাদীস দিয়ে জীবনের সকল সমস্যার সমাধান করবে বলে মসজিদে গেঞ্জাম লাগাও। আপন ভাইয়ের সাথে ভাইকে লাগিয়ে দাও। এখন নামাজে 'তাকবীরে তাহরীমার' জবাবই দিতে পারোনা। জীবনের সকল সমস্যার
সমাধান দিবে কিভাবে? লিখিত দাও তোমরা যে ব্যার্থ।"
|
হাতেনাতে ধরা খেয়ে তিন শায়েখ বিন মাদানী মিলে
লিখে দিলোঃ "পেশওয়ার আহলে হাদীস তাকবীরে
তাহরীমার মাসআলার সমাধান দিতে ব্যার্থ।"
|
বিঃদ্রঃ "আপনাদের কাছেও শায়েখ ও তাদের ভক্তরা এমন ফিতনাহ করতে এলে বলে দিবেন। ফরজ কি? সুন্নত কি? ওয়াজিব কি? কুরআন ও সহীহ হাদীসের বাহ্যিক শব্দে লিখিত দেখাও। তোমরা কুরআন আর সহীহ হাদীস ছাড়া কিছুই মানো না তাহলে 'ফিক্বাহর' আবিষ্কৃত পরিভাষা
চুরি কর কেন? ইমামদের মাযহাব মানো না তাহলে তাঁদের লিখিত পরিভাষা ব্যাবহার করো কেন? ৮০% বেনামাজিকে দাওয়াত না দিয়ে ২০% নামাজির পিছনে লাগো কেন?"
|
আমরা কুরআন, হাদীস, ফিক্বাহ, মাযহাব সবই মানি তাই এসকল শব্দ ব্যাবহারের অধিকার শুধুমাত্র আমাদেরই আছে। তোমরা মানো না তোমাদের নাই। গোশত খাবা না ঝোল খাবা? তা হবে না।
|
[দেখবেন হযরত ওমর (রাঃ) কে দেখলে তো শয়তান পালাতো। আর আপনাকে দেখলে লা মাযহাবীরা ৭০ হাত দূর থেকেই পালিয়ে বেড়াবে। আল্লাহ চাইলে। -কালেক]

(আলেমা হালিমাতুস সাদিয়া)


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!