আসলেই কি করোনার কারনে ক্বাবার তাওয়াফ বন্দ হয়ে গেছে ?
মানুষেরাই কি শুধু ক্বাবার তাওয়াফ করে থাকে ?
না, এগুলি কিছুই না। আল্লাহপাক বলেন,, মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার গোলামীর জন্য। তাহলে এখানে জিনের কথাও আছে। কাজেই করোনার কারনে মানুষের তাওয়াফ বন্দ হলেও জিনদের তাওয়াফ বন্দ হয় নাই। তাছাড়াও একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যে, এক ঝাক পাখি তাওয়াফে রত আছে।
আর মানুষেরা তাওয়াফ বন্দ করে দিলেই ক্বিয়ামত হবে এমন কথা নাই। পূর্বে আরো অনেকবারই ভিবিন্ন কারনে তাওয়াফ বন্দ ছিল। ইতিহাস তার প্রমান।
যেমন ৮৬৫ সালে। ইসমাইল ইবনে ইউসুফ নামের এক উন্মাদ হজ্জ্বে এসে হাজারেরও অধিক মানুষকে হত্যা করেছিল। সেই সময়ে কাবা সাময়ীক সময়ের জন্য বন্ধ হয়।
কাবায় তাওয়াফ বন্ধ হয় ৯৩০ সালে। কারমাতিয়া নামের এক্সট্রিমিস্ট শিয়া গ্রূপ ছিল, যারা ঘোষণা দিয়েছিল যে কাবার চারদিকে তাওয়াফ করা জাহেলী আরবদের প্রথা, তাই ওরা কাবা ধ্বংস করতে আসে। লড়াই হয়, এবং ওরা কাবার সামনের কালো পাথরটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ২২ বছর সেটা ওদের দখলে ছিল, এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ওরা ওটাকে ঘিরেই পূজা শুরু করে দিল। পরে এটিকে উদ্ধার করা হয়, এবং তারপর থেকে আবারও কাবার সামনে প্রতিস্থাপন করা হয়।
কাবায় তাওয়াফ বন্ধ হয়েছিল ১২৫৮ সালে। মঙ্গলরা তখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম। বাগদাদে দুই মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করে ফোরাত নদীর পানির রঙ পাল্টে ফেলেছিল। ইসলামের খলিফাকে হত্যা করে তারা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যে, কারোর সাহস হয়নি বাড়ির বাইরে এক কদমও ফেলার। তাই ওমরাহ এবং হজ্ব সেই বছরের জন্য বাতিল করা হয়।
১৮১৪ সালে প্লেগ ছড়িয়ে পরে এবং আরব অঞ্চলেই আট হাজারের উপর মানুষ মারা যান। সেই সময়ে কাবার তাওয়াফ বন্ধ করা হয়। ১৮৩১ ইন্ডিয়া থেকে কিছু হাজি, ওমরাহকারী এক ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে আসেন, যার ফলে কাবায় উপস্থিত এক তৃতীয়াংশ মানুষ সেই রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান। আবারও কাবা বন্ধ করতে হয়।
১৮৯২ কলেরা ছড়িয়ে পরে। ১৯৭৯ সালে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এইভাবে ১৯৮৭ সর্বশেষ ম্যানেনজিসাইটিস আউটব্রেক ঘটে, এবং কাবা বন্ধ করা হয়। এছাড়াও কাবা গৃহে অগ্নিকাণ্ডের ফলেও কাবা তাওয়াফ বন্ধ ছিল। ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে, যার কারনে ক্বাবার তাওয়াফ বন্দ হতে পারে।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারনে ক্বাবার বড় বড় শায়েখগন ক্বাবা বন্দের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেন নাই, সেখানে আমরা কেন ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খেতে যাব?? যেখানে বিশ্বের সেরা শায়খ, আব্দুর রহমান সুদাইসির মত লোক ক্বাবা বন্দের পক্ষে কথা বলেছেন সেখানে আমরা কেন নাক গালাতে যাব ? যদিও এর জন্য আমরা অন্তর্জালায় ভুগতেছি।
আর বড় কথা হল, ক্বাবার তাওয়াফ বন্দ হয় নাই। মানুষেরা বন্দ করলেও অন্য জাতীরা চালু রেখেছে। আশা করি এটা নিয়া আমরা আর মাথা ঘামাব না। আমরা ধৈর্য্য সহকারে দোয়া করতে থাকব যে, আল্লাহ তাআলা যেন পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়।
বি/দ্র ঃ একটা বিষয় আমার বুঝে আসতেছে না যে, যেসব গুনাহের কারনে অজানা অচেনা মহামারী আসে সেসব গুনাহের কাজ আগে বন্দ না করে কেন ক্বাবাকে আগে বন্দ করা হল। যেমন ক্লাব, সিনেমা, পর্যটনে নারী পূরুষের অবাধ চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি।
মানুষেরাই কি শুধু ক্বাবার তাওয়াফ করে থাকে ?
না, এগুলি কিছুই না। আল্লাহপাক বলেন,, মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার গোলামীর জন্য। তাহলে এখানে জিনের কথাও আছে। কাজেই করোনার কারনে মানুষের তাওয়াফ বন্দ হলেও জিনদের তাওয়াফ বন্দ হয় নাই। তাছাড়াও একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যে, এক ঝাক পাখি তাওয়াফে রত আছে।
আর মানুষেরা তাওয়াফ বন্দ করে দিলেই ক্বিয়ামত হবে এমন কথা নাই। পূর্বে আরো অনেকবারই ভিবিন্ন কারনে তাওয়াফ বন্দ ছিল। ইতিহাস তার প্রমান।
যেমন ৮৬৫ সালে। ইসমাইল ইবনে ইউসুফ নামের এক উন্মাদ হজ্জ্বে এসে হাজারেরও অধিক মানুষকে হত্যা করেছিল। সেই সময়ে কাবা সাময়ীক সময়ের জন্য বন্ধ হয়।
কাবায় তাওয়াফ বন্ধ হয় ৯৩০ সালে। কারমাতিয়া নামের এক্সট্রিমিস্ট শিয়া গ্রূপ ছিল, যারা ঘোষণা দিয়েছিল যে কাবার চারদিকে তাওয়াফ করা জাহেলী আরবদের প্রথা, তাই ওরা কাবা ধ্বংস করতে আসে। লড়াই হয়, এবং ওরা কাবার সামনের কালো পাথরটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ২২ বছর সেটা ওদের দখলে ছিল, এবং অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ওরা ওটাকে ঘিরেই পূজা শুরু করে দিল। পরে এটিকে উদ্ধার করা হয়, এবং তারপর থেকে আবারও কাবার সামনে প্রতিস্থাপন করা হয়।
কাবায় তাওয়াফ বন্ধ হয়েছিল ১২৫৮ সালে। মঙ্গলরা তখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম। বাগদাদে দুই মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করে ফোরাত নদীর পানির রঙ পাল্টে ফেলেছিল। ইসলামের খলিফাকে হত্যা করে তারা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যে, কারোর সাহস হয়নি বাড়ির বাইরে এক কদমও ফেলার। তাই ওমরাহ এবং হজ্ব সেই বছরের জন্য বাতিল করা হয়।
১৮১৪ সালে প্লেগ ছড়িয়ে পরে এবং আরব অঞ্চলেই আট হাজারের উপর মানুষ মারা যান। সেই সময়ে কাবার তাওয়াফ বন্ধ করা হয়। ১৮৩১ ইন্ডিয়া থেকে কিছু হাজি, ওমরাহকারী এক ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে আসেন, যার ফলে কাবায় উপস্থিত এক তৃতীয়াংশ মানুষ সেই রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান। আবারও কাবা বন্ধ করতে হয়।
১৮৯২ কলেরা ছড়িয়ে পরে। ১৯৭৯ সালে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এইভাবে ১৯৮৭ সর্বশেষ ম্যানেনজিসাইটিস আউটব্রেক ঘটে, এবং কাবা বন্ধ করা হয়। এছাড়াও কাবা গৃহে অগ্নিকাণ্ডের ফলেও কাবা তাওয়াফ বন্ধ ছিল। ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে, যার কারনে ক্বাবার তাওয়াফ বন্দ হতে পারে।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারনে ক্বাবার বড় বড় শায়েখগন ক্বাবা বন্দের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেন নাই, সেখানে আমরা কেন ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খেতে যাব?? যেখানে বিশ্বের সেরা শায়খ, আব্দুর রহমান সুদাইসির মত লোক ক্বাবা বন্দের পক্ষে কথা বলেছেন সেখানে আমরা কেন নাক গালাতে যাব ? যদিও এর জন্য আমরা অন্তর্জালায় ভুগতেছি।
আর বড় কথা হল, ক্বাবার তাওয়াফ বন্দ হয় নাই। মানুষেরা বন্দ করলেও অন্য জাতীরা চালু রেখেছে। আশা করি এটা নিয়া আমরা আর মাথা ঘামাব না। আমরা ধৈর্য্য সহকারে দোয়া করতে থাকব যে, আল্লাহ তাআলা যেন পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়।
বি/দ্র ঃ একটা বিষয় আমার বুঝে আসতেছে না যে, যেসব গুনাহের কারনে অজানা অচেনা মহামারী আসে সেসব গুনাহের কাজ আগে বন্দ না করে কেন ক্বাবাকে আগে বন্দ করা হল। যেমন ক্লাব, সিনেমা, পর্যটনে নারী পূরুষের অবাধ চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!