আগের দিনের অনেক মুহাদ্দিসীনে কেরামের ঘটনা শোনা যেত যে তাঁরা হাজার হাজার হাদীসের মুহাদ্দেস ছিলেন।
.
এমনি এক মুহাদ্দীসের ঘটনা উল্লেখ আছে যে, তিনি যখন মাদ্রাসাতে হাদীস পড়তেন তখন পড়া শেষ হলে তিনি বাড়িতে এসে তাঁর বকরির কান ধরে সমস্হ হাদীস পড়ে শোনাতেন এবং জিজ্ঞাসা করতেন, "বুঝেছিস?"
.
স্বাভাবিকভাবেই বকরির কান ছেঁড়ে বকরি মাথা দুইদিকে নাঁড়ত, আর তিনি বলতেন, "বুঝিসনি?" তিনি আবার দুইকান ধরে সব হাদীস শোনাতেন আবার বলতেন বুঝেছিস?
.
বকরি মাথা নাঁড়ত। তিনি বলতেন বুঝিসনি? তিনি কাঁন ধরে আবার বলতেন। এভাবে বলতে বলতে ঐ বকরির তো কোন ফায়দা হয়নি তবে ঐ বুযুর্গের সমস্হ হাদীস মুখস্হ হয়ে যায় এবং বড় মুহাদ্দিস হয়ে যান।
.
ঠিক একইভাবে এই জামানায় দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ হল উম্মতকে ধরে বোঝানো আল্লাহর হুকুম মানলে ও নবীর তরিকায় চললে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা ও না মানলে বিফলতা। এটা কেউ বুঝুক আর নাই বুঝুক যেই ব্যাক্তি দাওয়াত দিবে ও কষ্ট মুজাহেদা করবে আল্লাহ তাঁর জন্য হেদায়েতের দ্বারসমুহকে খুলে দিবেন এটা আল্লাহ্'র ওয়াদা।
.
এই জামানায় দাওয়াতের কাজ নিজের হিদায়েতের জন্য। অপরের হিদায়েত আল্লাহ্ চাইলে দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন। এইজন্য নিজের হিদায়েত ও নিজেকে হিদায়েতের মাধ্যম বানানোর জন্য দুয়াঃ
.
"আল্লহুম্মাহদিনা ওয়াহদিবিনা ওয়াহদিন্নাসা জামিয়া, ওয়াজায়ালনা সাবাবাল্লি মানিহতাদা"
#অর্থঃ "হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত দান করুন এবং আপনি যাদেরকে হিদায়েত দিবেন বলে মনস্হির করেছেন তাদের হিদায়েতের জরিয়া (মাধ্যম) আমাকে বানান।"
আল্লাহ বোঝার ও আমল করার তওফিক্ব দান
করেন। ওয়ামা তওফিক ইল্লাবিল্লাহ। আমিন।।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!