Saturday, August 5, 2017

লা মাযহাবী ভাইদের সহীহ আকীদার গুড়ে এখন লাল পিঁপড়ে

আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী (দাঃবা) মনসুর হাল্লাজের পক্ষে বলায় লা মাযহাবী ভাইয়েরা  অনেক ব্যঙ্গ করেছেন। এমনকি তার নামে ভিডিও তৈরি করেছেন। সালাফী ভাইদের কাছে বিশেষ অনুরোধ, কাজী শাওকানী ও নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান সম্পর্কেও একটু ফতোয়াবাজি করুন। এদেরকেও কাফের-মুশরিক বলে ফতোয়া দিন। আপনাদের ফতোয়ার অপেক্ষায়......

মনসুর হাল্লাজ, ইবনে আরাবী সম্পর্কে কাজী শাওকানী (রহঃ)-এর অভিমতঃ

"আহলে হাদীসদের বিখ্যাত আলেম, কাজী শাওকানীর বিশিষ্ট ছাত্র নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান তার “আত-তাজুল মুকাল্লাল” কিতাবে লিখেছেন,

والذهب الراجح فيه على ماذهب اليه العلماء المحققون الجامعون بين العلم والعمل والشرع والسلوك " السكوت في شأنه " ، وصرف كلامه المخالف لظاهر الشرع الى محامل حسنة ، وكف اللسان عن تكفيره وتكفير غيره من المشائخ الذين ثبت تقواهم في الدين ، وظهر علمهم في الدنيا بين المسلمين ، وكانوا ذروة عليا من العمل الصالح ، ومن ثم رأيت شيخنا الامام العلامة الشوكاني في الفتح الرباني مال الى ذلك ، وقال : " لكلامه محامل " ، ورجع عما كتبه في أول عمره بعد أربعين سنة

অর্থঃ [ ইবনে আরাবী ও অন্যান্যদের সম্পর্কে] সঠিক বক্তব্য সেটিই যা গ্রহণ করেছে শ্রেষ্ঠ আলেমগণ। যারা ইলম ও আমল ও তাসাউফের সমন্বয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন ছিলেন।

তাদের অভিমত হলো, এসব সুফী ইমামদের সম্পর্কে চুপ থাকা। তাদের শরীয়ত বিরোধী কথাগুলোর সুন্দর ব্যাখ্যা দেয়া এবং তাদেরকে কাফের বলা থেকে বিরত থাকা। সাথে সাথে অন্যান্য সূফী শায়খদেরকে কাফের বলা থেকে বিরত থাকা, দ্বীনের ব্যাপারে যাদের বিশেষ অবস্থান রয়েছে।

যাদের ইলম মুসলমানদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। নেক আমলের ক্ষেত্রে যারা ছিলেন সর্বোচ্চ চূড়ায় সমাসীন। আমি আমার উস্তাদ শায়খ কাজী শাওকানীকে দেখেছি, তিনি এই মত গ্রহণ করেছেন। তিনি তাদের বক্তব্য সম্পর্কে বলেছেন, তাদের বক্তব্যের সম্ভাব্য সঠিক ব্যাখ্যা করা সম্ভব। তিনি তার প্রথম জীবনে তাদের সম্পর্কে যা লিখেছিলেন, চল্লিশ বছর পরে সেগুলো প্রত্যাহার করে নেন।

এরপর কাজী নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেনঃ

وأقول في هذا الكتاب : إن الصواب ماذهب اليه الشيخ أحمد السهرندي - مجدد الالف الثاني - ، والشيخ الاجل مسند الوقت أحمد ولي الله - المحدث الدهلوي - ، والإمام المجتهد الكبير محمد الشوكاني من قبول كلامه الموافق لظاهر الكتاب والسنة ، وتأويل كلامه الذي يخالف ظاهرهما ، تأويله بما يستحسن من المحامل الحسنة ، وعدم التفوه ، فيه بما لا يليق ، بأهل العلم والهدى ، والله أعلم بسرائر الخلق وضمائرهم

অর্থঃ আমি তাদের সম্পর্কে বলবো, সঠিক মত হলো সেটিই যা গ্রহণ করেছেন, মুজাদ্দিদে আলফে সানী শায়খ আহমাদ সিরহিন্দী (রহঃ), যুগের শ্রেষ্ঠ আলেম শায়খ শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী (রহঃ) এবং বিশিষ্ট ইমাম কাজী শাওকানী। তারা বলেছেন, মনসুর হাল্লাজ ও অন্যান্য সূফীদের যেসব কথা কুরআন ও সুন্নাহের অনুগামী, সেগুলো গ্রহণ করা উচিৎ এবং কুরআন ও সুন্নাহের বাহ্যিক বিধানের বিপরীত বক্তব্যগুলো ব্যাখ্যা করা উচিৎ।

এগুলোর সঠিক-সুন্দর ব্যাখ্যা করা এবং এগুলো নিয়ে তাদের ব্যাপারে অন্যায় সমালোচনা না করা। কেননা আলেম ও বুজুর্গদের সম্পর্কে মন্দচারিতায় লিপ্ত হওয়া কখনও শোভনীয় নয়।

[আত-তাজুল মুকাল্লাল, পৃ.১৬৮-১৬৯]

সত্যবাদী হয়ে থাকলে নামধারী আহহলে হাদীস/ সালাফি ও লা-মাযহাবী ভাইয়েরা এবার নিজেদের শায়েখদের বিরুদ্ধে ফতোয়া লাগান। আর নাহয় জাতী দেখতে পারবে আপনারা কতবড় মিথ্যাবাদী ও বাটপারদের দল...।


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!