Sunday, August 13, 2017

আমানত খেয়ানতকারী একজন ইমামের পরিণতি

সিন্ধুর হায়দারাবাদের মসজিদে একজন মুসাফির ইমামের অনুমিত নিয়ে রাত্রিযাপন।  ইমাম অনুমিত দিলেন। সেই মুসাফির তার নিকটে থাকা নগত টাকা চুরির ভয়ে ইমামের নিকট আমানত রাখলেন। বললেন এটাকা আপনার হেফাজতে রাখেন সকালে যাওয়ার সময় নিয়ে যাব।
রাতে ইমামের নিয়ত খারাপ হয়ে গেল। ক্লান্ত মুসাফির ঘুমিয়ে পড়ার পর ইমাম তার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তাকে গলা টিপে মেরে ফেলল।
ফযরের নামাযের সময় ইমাম মুসুল্লিদের জানাল গত রাতে একজন মুসাফির এসেছিল মসজিদে শুতে দিয়েছি হটাৎ সে মারাগেল, মুর্দাকে গোসল দেয়ার জন্য উঠাতে চাইলে লাশ তোলা যাচ্ছিলনা কিন্তু ইমাম যখন লাশে হাত লাগলো সঙ্গে সঙ্গে উঠানো সম্ভব হল লাশ খাটিয়াতে নিওয়া হল,গোসল দেয়ার পর লাশ খাটিয়ায় রাখা হল। কিন্ত খাটিয়া কিছুতেই উঠানো যাচ্ছিল না। কিন্তু ইমাম যখন লাশে হাত লাগলো সঙ্গে সঙ্গে খাটিয়া উঠানো সম্ভব হল। লোকেরা বলা বলি করতে লাগলো দেখ আমাদের ইমামের কেরামতি দেখছেন? লাশ কবরে নামানোর সমস্যা দেখা দিল। কিন্তু ইমাম যখন লাশে হাত লাগলো সঙ্গে সঙ্গে লাশ কবরে নামানো সম্ভব হল। মুসুল্লিরা বলল ইমাম কবরে নামুক তিরপর লাশ রাখুক।  ইমাম কবরে নামার সঙ্গে সঙ্গে মাটি তার দু'পা কামরে ধরলো। ইমাম ক্রমেই মাটির গভিরে ঢুকে যাচ্ছিল, ইমাম নিজের মুখে মুসাফিরের হত্যার কথা বলতে লাগলো আর ক্ষমা চাইতে লাগলো। কিন্ত মাটি তাকে ছারলোনা। ইমাম সেই কবরে জীবন্ত অব্স্থায় সমাধিস্থ হল।

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!