কারণ “আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ নামক কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদীসের সনদকে (ইসলামিক ইস্টাডিজ এন্ড এরাবিক এ) মাস্টার্স সমমান দিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয় যে গেজেট প্রকাশ করেছে তাতে ৩নং ধারায় বলা হয়েছে:
“আইনের প্রাধান্যঃ আপাতত বলবৎ অন্যকোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে ৷ "
আর কওমি মাদরাসাসমূহের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত ২নং ধারার ৫নং উপধারা তথা (ঙ)তে বলা হয়েছেঃ
“এবং তালীম তারবিয়াতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি, আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ ৷"
সুতরাং উক্ত আইন মোতাবেক কওমি মাদরাসার জন্য দেওবন্দের নীতি আদর্শের বাইরে যাওয়াই বরং আইনের লংঘন ৷
এ আইন অনুযায়ী দেশের অন্য কোন আইনে জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকাসহ যত কিছুই থাকুক না কেন, কওমী মাদরাসাকে এ আইনই মেনে চলতে হবে ৷ অন্যথায় আইন লংঘন করা হবে ৷ যা রক্ষা করা দেশের সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব, ভঙ্গ করা নয় ৷
তাই পটিয়া উপজেলা ইউএও র জারি করা আদেশ সম্পূর্ণ বেআইনী ৷ যা মানতে কোন মাদরাসাই বাধ্য নয় ৷
এ.জেড.এম হিদায়াতুল্লাহ্
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!