সুহাইল : বস, আজকে....... (সুহাইল চুপ হয়ে যায় !)
দুলহান চোখ মলতে মলতে জিজ্ঞাসা করল, "বস আজকে... এর মা:
সুহাইল : কিছু 'আহলে হাদীস' বন্ধুদের কাছে দাওয়াত ছিল৷ দুলহান : বন্ধুদের কাছে দাওয়াত?
দুলহান : বহুত আচ্ছা! আপনার এবং আপনার বন্ধুর বিবাহর পর প্রথম দাওয়াত | তাও আবার বেগম ছাড়া ৷
সুহাইল : না, এমন নয় আপনারও দাওয়াত ছিল৷ কিন্তু.....
দুলহান: কিন্তু, কি? সুহাইল : তাদের কড়া শর্ত আর আপনার মাযহাব আমার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পাইয়ে দিয়েছে |
দুলহান : তা আবার কেন?
সুহাইল : তাদের কড়া নির্দেশ ছিল যে, প্রত্যেকে নিজ নিজ মাযহাবের পোষাকে আসতে হবে!
দুলহান : এতে কি হল, এটা তো এমন কোন কড়া শর্ত ছিল না
৷ সুহাইল রাগে..... এমন কোন কড়া শর্ত ছিল না? (আপনাদের উলামারা লিখেছে: "রান ঢাকা জরুরী নয় !" এর পরিষ্কার অর্থ ছিল আমি আপনাকে পরে যেতে বলতাম ৷ তখন কি আপনি প্রস্তুত হয়ে যেতেন?
দুলহান : জিবে কামড় দিয়ে, কক্ষনো না! (এবং মাথা ঝুঁকিয়ে নেয়)
সুহাইল : এখন মাথা ঝুঁকালে কি হবেঃ আপনার মাসলাক-ই এমন যে, তদুনুযায়ী আমল করা যায় না ৷
দুলহান : আমি কান চোখ বন্ধ করে উলামাদের কথা মানি না যে, তারা যা বলবে তাই মেনে নিব ৷ আমরা তো কুরআন হাদীস মানি ৷ বিশেষ করে বুখারী শরীফের হাদীস ৷ রাফয়ে ইয়াদাইনের ব্যাপারে তো বুখারী শরীফের হাদীসের এক স্তূপ পেশ করতে পারব ৷ এই জন্যই তো আমরা কারো মুকাল্পিদ হই না ! তাকলীদের মধ্যে লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই নেই৷
সুহাইল : আপনার বুখারীতো আমাকে লজ্জিত করেছে |
দুলহান হয়রান হয়ে জিজ্ঞেস করল, তা আবার কিভাবেঃ
সুহাইল : আমি আপনার ওকালতী করে বলেছিলাম কুরআন হাদীসের কথা বলবেন! বিশেষ করে বুখারী শরীফের ৷
দুলহান : তারপর.....?
সুহাইল : তারপর আর কি? তখন মাটিতেই দেবে যেতে মন চাচ্ছিল যখন তারা বুখারী শরীফ খুলে আমার সামনে রেখেছিল ৷ ইমাম বুখারী রহ, রান ঢাকা ও না ঢাকার উভয় রেওয়ায়েতই বর্ণনা করেন, তারপর লিখেন যে, রান না ঢাকার রেওয়ায়াত সনদের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী !
দুলহান : উহু, আল্লাহ! (কপালে হাত মেরে আরেকবার মাথা ঝুঁকালেন, একটু পরে মাথা উঠিয়ে বললেন:) ইমাম বুখারী এটা কী লিখে ছিলেন ৷
সুহাইল : ইমাম বুখারী রহ, কে ভর্ধসনা করার পূর্বে নিজ মাসলাকের ব্যাপারে একটু ভাবুন ৷ যারা কথায় কথায় হাদীসের উপর আমল করার দাবীদার ৷ (সুহাইল বলতে থাকে)
দুলহান : সারতাজ আমার! থামুন! থামুন! Tere : €, বেগম!
দুলহান : মরুভূমিতে মাহবুবের উজাড় ঘরের ধ্বংসাবশেষ দেখে যেমনি ভাবে মাহবুবের ঘর ও সেখানের বিভিন্ন বিষয় মনে পড়ে যায় আমারও তেমন মনে হচ্ছে | আপনার কি এমন মনে হয় না যে, মুজতাহিদীন ফুকাহায়ে কেরামদের অনুসরণের মাধ্যমেই কুরআন-হাদীসের উপর আমল করা উচিত | তারা তো বলতেন, সুন্নাহ আমল যোগ্য ৷ প্রত্যেক হাদীস আমল যোগ্য নয় ৷ এর পরিস্কার অর্থ কি এটা নয় যে, "আহলে সুন্নাহ" এর মাসলাক-ই সঠিক?
সুহাইল : আমারও তাই মনে হয় |
দুলহান : কিন্তু আমি কোনভাবেই বুখারী শরীফ ছাড়তে পারব না ৷
সুহাইল : ঠিক আছে! কিন্তু বুখারী অনুযায়ী আমলটা করবে কে?
দুলহান : কেন, আমি আমল করব ৷ সুহাইল : ভেবে নিন ৷ পরে যেন এমন না হয় যে, স্বয়ং ইমাম বুখারী রহ, এর প্রতিই তিরস্কার আর ভর্ধসনা করতে লাগেন ৷
দুলহান : এমনটি হবে না ৷ ইমাম বুখারী আমীরুল মুহাদ্দিসীন, তার ছয় লক্ষ হাদীস মুখস্থ ছিল ৷
সুহাইল : এখন-ই দেখা যাবে যে, আপনি ইমাম বুখারী রহ, এর কয়টি কথার উপর আমল করতে পারেন৷ (এটা বলে সামনে একটা ক্ষুর রাখল) '
দুলহান চোখ মলতে মলতে জিজ্ঞাসা করল, "বস আজকে... এর মা:
সুহাইল : কিছু 'আহলে হাদীস' বন্ধুদের কাছে দাওয়াত ছিল৷ দুলহান : বন্ধুদের কাছে দাওয়াত?
দুলহান : বহুত আচ্ছা! আপনার এবং আপনার বন্ধুর বিবাহর পর প্রথম দাওয়াত | তাও আবার বেগম ছাড়া ৷
সুহাইল : না, এমন নয় আপনারও দাওয়াত ছিল৷ কিন্তু.....
দুলহান: কিন্তু, কি? সুহাইল : তাদের কড়া শর্ত আর আপনার মাযহাব আমার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পাইয়ে দিয়েছে |
দুলহান : তা আবার কেন?
সুহাইল : তাদের কড়া নির্দেশ ছিল যে, প্রত্যেকে নিজ নিজ মাযহাবের পোষাকে আসতে হবে!
দুলহান : এতে কি হল, এটা তো এমন কোন কড়া শর্ত ছিল না
৷ সুহাইল রাগে..... এমন কোন কড়া শর্ত ছিল না? (আপনাদের উলামারা লিখেছে: "রান ঢাকা জরুরী নয় !" এর পরিষ্কার অর্থ ছিল আমি আপনাকে পরে যেতে বলতাম ৷ তখন কি আপনি প্রস্তুত হয়ে যেতেন?
দুলহান : জিবে কামড় দিয়ে, কক্ষনো না! (এবং মাথা ঝুঁকিয়ে নেয়)
সুহাইল : এখন মাথা ঝুঁকালে কি হবেঃ আপনার মাসলাক-ই এমন যে, তদুনুযায়ী আমল করা যায় না ৷
দুলহান : আমি কান চোখ বন্ধ করে উলামাদের কথা মানি না যে, তারা যা বলবে তাই মেনে নিব ৷ আমরা তো কুরআন হাদীস মানি ৷ বিশেষ করে বুখারী শরীফের হাদীস ৷ রাফয়ে ইয়াদাইনের ব্যাপারে তো বুখারী শরীফের হাদীসের এক স্তূপ পেশ করতে পারব ৷ এই জন্যই তো আমরা কারো মুকাল্পিদ হই না ! তাকলীদের মধ্যে লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই নেই৷
সুহাইল : আপনার বুখারীতো আমাকে লজ্জিত করেছে |
দুলহান হয়রান হয়ে জিজ্ঞেস করল, তা আবার কিভাবেঃ
সুহাইল : আমি আপনার ওকালতী করে বলেছিলাম কুরআন হাদীসের কথা বলবেন! বিশেষ করে বুখারী শরীফের ৷
দুলহান : তারপর.....?
সুহাইল : তারপর আর কি? তখন মাটিতেই দেবে যেতে মন চাচ্ছিল যখন তারা বুখারী শরীফ খুলে আমার সামনে রেখেছিল ৷ ইমাম বুখারী রহ, রান ঢাকা ও না ঢাকার উভয় রেওয়ায়েতই বর্ণনা করেন, তারপর লিখেন যে, রান না ঢাকার রেওয়ায়াত সনদের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী !
দুলহান : উহু, আল্লাহ! (কপালে হাত মেরে আরেকবার মাথা ঝুঁকালেন, একটু পরে মাথা উঠিয়ে বললেন:) ইমাম বুখারী এটা কী লিখে ছিলেন ৷
সুহাইল : ইমাম বুখারী রহ, কে ভর্ধসনা করার পূর্বে নিজ মাসলাকের ব্যাপারে একটু ভাবুন ৷ যারা কথায় কথায় হাদীসের উপর আমল করার দাবীদার ৷ (সুহাইল বলতে থাকে)
দুলহান : সারতাজ আমার! থামুন! থামুন! Tere : €, বেগম!
দুলহান : মরুভূমিতে মাহবুবের উজাড় ঘরের ধ্বংসাবশেষ দেখে যেমনি ভাবে মাহবুবের ঘর ও সেখানের বিভিন্ন বিষয় মনে পড়ে যায় আমারও তেমন মনে হচ্ছে | আপনার কি এমন মনে হয় না যে, মুজতাহিদীন ফুকাহায়ে কেরামদের অনুসরণের মাধ্যমেই কুরআন-হাদীসের উপর আমল করা উচিত | তারা তো বলতেন, সুন্নাহ আমল যোগ্য ৷ প্রত্যেক হাদীস আমল যোগ্য নয় ৷ এর পরিস্কার অর্থ কি এটা নয় যে, "আহলে সুন্নাহ" এর মাসলাক-ই সঠিক?
সুহাইল : আমারও তাই মনে হয় |
দুলহান : কিন্তু আমি কোনভাবেই বুখারী শরীফ ছাড়তে পারব না ৷
সুহাইল : ঠিক আছে! কিন্তু বুখারী অনুযায়ী আমলটা করবে কে?
দুলহান : কেন, আমি আমল করব ৷ সুহাইল : ভেবে নিন ৷ পরে যেন এমন না হয় যে, স্বয়ং ইমাম বুখারী রহ, এর প্রতিই তিরস্কার আর ভর্ধসনা করতে লাগেন ৷
দুলহান : এমনটি হবে না ৷ ইমাম বুখারী আমীরুল মুহাদ্দিসীন, তার ছয় লক্ষ হাদীস মুখস্থ ছিল ৷
সুহাইল : এখন-ই দেখা যাবে যে, আপনি ইমাম বুখারী রহ, এর কয়টি কথার উপর আমল করতে পারেন৷ (এটা বলে সামনে একটা ক্ষুর রাখল) '
দুলহান: কি জন্য?
সুহাইল : আপনার ইমাম বুখারী হাদীস নকল করেছেন ৷ (আপনি যার কথা মানার দাবী করেছেন |(اذاالتقي اجتا نان)| অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়ের খৎনা হয় | বুখারীর উপর আমল করতে হলে এখন আপনাকে খৎনা করতে হবে, করাবেনঃ
দুলহান: রাগের মাথায় বললেন, কি বললেন? কি বললেন? নিজ চেহারা দেখতে পাচ্ছেন তো? আমার খৎনা করাতে চাচ্ছেন ৷ আপনারটা হয়েছে Col?
সুহাইল : এখন রাগ রেখে দেন ৷ এটা কথা ৷ আমার খৎনা হয়েছিল ৷ কিন্তু চামড়া নিয়ে গিয়েছে জামাতে ইসলামী ওয়ালারা ৷ এখনও রসিদ সংরক্ষিত আছে ৷ এখন আপনার পালা ৷ চামড়া দিব আপনার সৈন্যদল "লশকরে তাইয়্যিবা" ওয়ালাদেরকে ৷ আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে ক্ষমা করবেন৷ সামনে কখনও বুখারীর নাম নিব না ৷ a
সুহাইল : না, না! একটি gis oof fim mace দেবেন | যেন আরও একশ শহীদের সওয়াব হয় ৷
দুলহান: রাগের মাথায় বললেন, কি বললেন? কি বললেন? নিজ চেহারা দেখতে পাচ্ছেন তো? আমার খৎনা করাতে চাচ্ছেন ৷ আপনারটা হয়েছে Col?
সুহাইল : এখন রাগ রেখে দেন ৷ এটা কথা ৷ আমার খৎনা হয়েছিল ৷ কিন্তু চামড়া নিয়ে গিয়েছে জামাতে ইসলামী ওয়ালারা ৷ এখনও রসিদ সংরক্ষিত আছে ৷ এখন আপনার পালা ৷ চামড়া দিব আপনার সৈন্যদল "লশকরে তাইয়্যিবা" ওয়ালাদেরকে ৷ আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে ক্ষমা করবেন৷ সামনে কখনও বুখারীর নাম নিব না ৷ a
সুহাইল : না, না! একটি gis oof fim mace দেবেন | যেন আরও একশ শহীদের সওয়াব হয় ৷
দুলহান : সারতাজ! মেহেরবানী করুন ৷ (কিছুক্ষণ চুপ থেকে) আপনি আলোচনার মােড় ফিরাচ্ছেন কেন? মনে হয় আপনার এখন নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে৷ এ জন্য আলোচনার মাঝে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আসছেন ! (দুলহান বলতে থাকে !)
সুহাইল : মন দিয়ে শুনুন | ইজতিহাদের মূলনীতি হচ্ছে কিতাবুল্লায় কোন মাসআলা থাকলে অন্য কোন উৎসের দিকে যাওয়া যাবে না৷ কিন্তু আপনি স্বীয় পুরা করে নিন৷ স্বীয় মাসলাক প্রমাণিত করার জন্য হাদীস পেশ করুন৷
দুলহান : একটা কেন চারশত হাদীস পেশ করব ৷ আপনি হতভম্ব হয়ে যাবেন ৷ তবে আগে আপনার মাসলাক পরিস্কার করুন ৷ আপনার নিকট কি রাফয়ে ইয়াদাইন সুব্লাত?
সুহাইল : ড্ৰী, হ্যা | (সুহাইল প্রশ্ন করল) হুযূর সাল্পাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সারা জীবন রাফয়ে ইয়াদাইন করেছেন?
দুলহান: জী, হী! তিনি আজীবন তা করেছেন |
সুহাইল : যে রাফয়ে ইয়াদাইন করবে না তার নামায কি বাতিল? year :@ gn
সুহাইল : আমি আপনার নিকট দলীল চাওয়ার পূর্বে আগে আপনি বলুন সুন্নাত কাকে বলে?
দুলহান : এটাও কি কোন প্রশ্ন হল ৷ প্রত্যেকেই জানে যে আল্লাহর রাসূল যে কাজ করেছেন তাই সুন্নাত ৷
সুহাইল : সুন্নাতের এই সংজ্ঞা কুরআনে আছে না হাদীসে? (সুহাইল মুচকি হেসে) এর মানে তো হল, 'আযান দেয়া সুন্নাত নয়' নামাযের ইকামাত দেয়াও সুন্নাত নয় ' কেননা হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামতো নিজে এগুলো করেন নি৷ তরে এগার বিবাহ সুন্নাত ৷ কেননা তিনি করেছেন ৷ অথচ আপনি 'আহলে হাদীস' হয়ে আমাকে দিতীয় বিবাহর অনুমতি দানে তৈরী নন ৷
(সুহাইল বলতে থাকে)
দুলহান হতভম্ব হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে ৷ আর মনে মনে ভাবতে থাকে সেতো দাড়ি রাখেনা, তার পোষাকও সুন্নাতী নয় | কখনও কখনও ফরয নামাযেরও পরওয়া করে না৷ কিন্তু কথা থেকে কথা বের করে করে আমাকে নিরুত্তর করে যাচ্ছে! মাথা ঝুঁকিয়ে চিন্তা করছিল যে, এবার এমন হামলা করব যেন মুখ বন্ধ হয়ে যায় ৷ দুলহান : (মাথা উঠিয়ে রাগে) আমার সুন্নাতের সংজ্ঞা জানা নেই ৷ কিন্তু আমি এ কথা মানি যে, তার ছয় লক্ষ হাদীস মুখস্থ ছিল ৷ (এটা বলে তার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ মনে হয় সে হামলা করে বিজয়ী হয়েছে !)
সুহাইল : আপনিও কি নিজ উলামাদের ন্যায় মিথ্যার আশ্রয় নিলেন? এটার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই যে, কার ছয় লক্ষ হাদীস মুখস্থ ছিল ৷ আর কার সতেরটি! সতেরটি হাদীস ওয়ালা তো আমাদেরকে নামায, রোযা, হজ্তু, যাকাতসহ সব কিছুর সমস্ত মাসআলা বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দিলেন ৷ এ জন্য আমরা তার তাকলীদ করছি ৷ অপরদিকে ছয় লাখ ওয়ালা নামাযের এক রাকাতের মাসআলাও বলতে পারেন নি ৷ তাই আমরা তার তাকলীদ করিনি ৷ (সুহাইল বলতে থাকে)
দুলহান : বুখারীতে কি নামাযের মাসায়েল নেই? সুহাইল : বিলকুল নেই ৷
যদি থাকে বলুন:
১. নামাযের নিয়ত কিভাবে করতে হবেঃ
২. তাকবীরে তাহরীমা ইমাম উচ্চস্বরে বলেন, আর যুক্তাদীগণ বলেন, 'আস্তে" ! সহীহ হাদীস পেশ করুন ৷
৩. যদি মুক্তাদী ভুলে উচ্চস্বরে তাকবীর বলে ফেলে, তার নামায হবে কি at?
৪. তাকবীরের পর যদি কেউ মাথা কিংবা কোমরের পেছনে হাত বাধে নামায হবে কি?
৫. তাকবীরের পর উচ্চস্বরে ছানা পড়লে তার নামাযের কি হুকুম?
৬. যদি ইমাম ভুলে নিম্নস্বরে তাকবীরে yan tf m, তার নামায হবে কি?
৭. কেউ যদি ছানা পড়তে ভুলে যায় এবং তাকবীরের সাথে সাথে কিরাত আরম্ভ করে দেয় তার নামাযের কি হুকুম?
৮. কেউ যদি উচ্চস্বরে 'আউযুৰিল্পাহ বিসমিল্লাহ" পড়ে তার নামাযের কি হুকুমঃ
৯.কেট যদি উভয়টি ভুলে যায় বা ইচ্ছা করে ছেড়ে দেয় তার নামাযের কি হুকুম?
১০, রুকুর তাসবীহ উচ্চস্বরে পড়লে নামাযের কি হুকুম?
১১. সিজদার তাসবীহ উচ্চস্বরে পড়লে নামাযের কি হুকুম?
১২, রুকু সিজদার তাসবীহ ভুলে গেলে বা ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলে তার নামাযের কি হুকুম? স্পষ্ট, সহীহ ও বিরোধপূর্ণ নয় এমন হাদীস বুখারী থেকে পেশ করুন ৷ আমি এখনও এক রাকাতের সব মাসআলা জিজ্ঞাসা করিনি৷ বাকীগুলো পরে জিজ্ঞাসা করব ৷ ইমাম আবু হানীফা রহ, এর প্রতি অভিযোগ করেন৷ লজ্জা লাগে না?
দুলহান : সারতাজ! ক্ষমা করবেন, আমার জানা ছিল না যে, আপনি ইলমে এত বড় মর্যাদার অধিকারী | আসলেই এই সকল মাসআলার ব্যাপারে বুখারী কোন হাদীস নকল করেননি ৷ Tela : তারপর.....?
দুলহান : তারপর কি? আপনি আরাম করুন ৷ কাল আমি ম্যাডামের সাথে সাক্ষাত করে আপনার সমস্ত মাসআলার সমাধান নিয়ে আসব ৷
সুহাইল : খুব ভাল ৷ ম্যাডাম জবাব দিতে না পারলে তাকে নিয়ে আসবেন | তারও অপারেশন হয়ে যাক ৷ যেন তিনি আপনার মত সাদা মনের অধিকারী মেয়েদেরকে গোমরাহ্ করতে না পারেন ৷ সকালে নাস্তা শেষে
সুহাইল অফিসে যাচ্ছিল ৷ দুলহান বলল, সময় হলে আমাকে "আল-হুদা ইন্টারন্যাশনাল কলেজে" নামিয়ে দিয়ে যাবেন কি?
সুহাইল : ঠিক আছে ৷ কিন্তু সন্তোষজনক জবাব আনতে হবে ৷
আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন ৷
সুহাইল : মন দিয়ে শুনুন | ইজতিহাদের মূলনীতি হচ্ছে কিতাবুল্লায় কোন মাসআলা থাকলে অন্য কোন উৎসের দিকে যাওয়া যাবে না৷ কিন্তু আপনি স্বীয় পুরা করে নিন৷ স্বীয় মাসলাক প্রমাণিত করার জন্য হাদীস পেশ করুন৷
দুলহান : একটা কেন চারশত হাদীস পেশ করব ৷ আপনি হতভম্ব হয়ে যাবেন ৷ তবে আগে আপনার মাসলাক পরিস্কার করুন ৷ আপনার নিকট কি রাফয়ে ইয়াদাইন সুব্লাত?
সুহাইল : ড্ৰী, হ্যা | (সুহাইল প্রশ্ন করল) হুযূর সাল্পাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সারা জীবন রাফয়ে ইয়াদাইন করেছেন?
দুলহান: জী, হী! তিনি আজীবন তা করেছেন |
সুহাইল : যে রাফয়ে ইয়াদাইন করবে না তার নামায কি বাতিল? year :@ gn
সুহাইল : আমি আপনার নিকট দলীল চাওয়ার পূর্বে আগে আপনি বলুন সুন্নাত কাকে বলে?
দুলহান : এটাও কি কোন প্রশ্ন হল ৷ প্রত্যেকেই জানে যে আল্লাহর রাসূল যে কাজ করেছেন তাই সুন্নাত ৷
সুহাইল : সুন্নাতের এই সংজ্ঞা কুরআনে আছে না হাদীসে? (সুহাইল মুচকি হেসে) এর মানে তো হল, 'আযান দেয়া সুন্নাত নয়' নামাযের ইকামাত দেয়াও সুন্নাত নয় ' কেননা হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামতো নিজে এগুলো করেন নি৷ তরে এগার বিবাহ সুন্নাত ৷ কেননা তিনি করেছেন ৷ অথচ আপনি 'আহলে হাদীস' হয়ে আমাকে দিতীয় বিবাহর অনুমতি দানে তৈরী নন ৷
(সুহাইল বলতে থাকে)
দুলহান হতভম্ব হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে ৷ আর মনে মনে ভাবতে থাকে সেতো দাড়ি রাখেনা, তার পোষাকও সুন্নাতী নয় | কখনও কখনও ফরয নামাযেরও পরওয়া করে না৷ কিন্তু কথা থেকে কথা বের করে করে আমাকে নিরুত্তর করে যাচ্ছে! মাথা ঝুঁকিয়ে চিন্তা করছিল যে, এবার এমন হামলা করব যেন মুখ বন্ধ হয়ে যায় ৷ দুলহান : (মাথা উঠিয়ে রাগে) আমার সুন্নাতের সংজ্ঞা জানা নেই ৷ কিন্তু আমি এ কথা মানি যে, তার ছয় লক্ষ হাদীস মুখস্থ ছিল ৷ (এটা বলে তার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ মনে হয় সে হামলা করে বিজয়ী হয়েছে !)
সুহাইল : আপনিও কি নিজ উলামাদের ন্যায় মিথ্যার আশ্রয় নিলেন? এটার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই যে, কার ছয় লক্ষ হাদীস মুখস্থ ছিল ৷ আর কার সতেরটি! সতেরটি হাদীস ওয়ালা তো আমাদেরকে নামায, রোযা, হজ্তু, যাকাতসহ সব কিছুর সমস্ত মাসআলা বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দিলেন ৷ এ জন্য আমরা তার তাকলীদ করছি ৷ অপরদিকে ছয় লাখ ওয়ালা নামাযের এক রাকাতের মাসআলাও বলতে পারেন নি ৷ তাই আমরা তার তাকলীদ করিনি ৷ (সুহাইল বলতে থাকে)
দুলহান : বুখারীতে কি নামাযের মাসায়েল নেই? সুহাইল : বিলকুল নেই ৷
যদি থাকে বলুন:
১. নামাযের নিয়ত কিভাবে করতে হবেঃ
২. তাকবীরে তাহরীমা ইমাম উচ্চস্বরে বলেন, আর যুক্তাদীগণ বলেন, 'আস্তে" ! সহীহ হাদীস পেশ করুন ৷
৩. যদি মুক্তাদী ভুলে উচ্চস্বরে তাকবীর বলে ফেলে, তার নামায হবে কি at?
৪. তাকবীরের পর যদি কেউ মাথা কিংবা কোমরের পেছনে হাত বাধে নামায হবে কি?
৫. তাকবীরের পর উচ্চস্বরে ছানা পড়লে তার নামাযের কি হুকুম?
৬. যদি ইমাম ভুলে নিম্নস্বরে তাকবীরে yan tf m, তার নামায হবে কি?
৭. কেউ যদি ছানা পড়তে ভুলে যায় এবং তাকবীরের সাথে সাথে কিরাত আরম্ভ করে দেয় তার নামাযের কি হুকুম?
৮. কেউ যদি উচ্চস্বরে 'আউযুৰিল্পাহ বিসমিল্লাহ" পড়ে তার নামাযের কি হুকুমঃ
৯.কেট যদি উভয়টি ভুলে যায় বা ইচ্ছা করে ছেড়ে দেয় তার নামাযের কি হুকুম?
১০, রুকুর তাসবীহ উচ্চস্বরে পড়লে নামাযের কি হুকুম?
১১. সিজদার তাসবীহ উচ্চস্বরে পড়লে নামাযের কি হুকুম?
১২, রুকু সিজদার তাসবীহ ভুলে গেলে বা ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলে তার নামাযের কি হুকুম? স্পষ্ট, সহীহ ও বিরোধপূর্ণ নয় এমন হাদীস বুখারী থেকে পেশ করুন ৷ আমি এখনও এক রাকাতের সব মাসআলা জিজ্ঞাসা করিনি৷ বাকীগুলো পরে জিজ্ঞাসা করব ৷ ইমাম আবু হানীফা রহ, এর প্রতি অভিযোগ করেন৷ লজ্জা লাগে না?
দুলহান : সারতাজ! ক্ষমা করবেন, আমার জানা ছিল না যে, আপনি ইলমে এত বড় মর্যাদার অধিকারী | আসলেই এই সকল মাসআলার ব্যাপারে বুখারী কোন হাদীস নকল করেননি ৷ Tela : তারপর.....?
দুলহান : তারপর কি? আপনি আরাম করুন ৷ কাল আমি ম্যাডামের সাথে সাক্ষাত করে আপনার সমস্ত মাসআলার সমাধান নিয়ে আসব ৷
সুহাইল : খুব ভাল ৷ ম্যাডাম জবাব দিতে না পারলে তাকে নিয়ে আসবেন | তারও অপারেশন হয়ে যাক ৷ যেন তিনি আপনার মত সাদা মনের অধিকারী মেয়েদেরকে গোমরাহ্ করতে না পারেন ৷ সকালে নাস্তা শেষে
সুহাইল অফিসে যাচ্ছিল ৷ দুলহান বলল, সময় হলে আমাকে "আল-হুদা ইন্টারন্যাশনাল কলেজে" নামিয়ে দিয়ে যাবেন কি?
সুহাইল : ঠিক আছে ৷ কিন্তু সন্তোষজনক জবাব আনতে হবে ৷
আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন ৷
সুহাইল অফিসে যাওয়ার পথে তাকে কলেজ গেটে নামিয়ে দিয়ে গেল৷
দুলহান ম্যাডামের সাথে সাক্ষাত করে ৷ ম্যাডাম তাকে দেখা মাত্রই বলে ওঠে শোনাও তোমার সাহেবের কি অবস্থা? আমাদের ইলম কোন কাজ করেছে কি? তুমি কি তার সাথে 'আহলে হাদীস' হওয়ার কথা বলেছ?
দুলহান : ম্যাডাম! বিবাহর তিন রাত্র অতিবাহিত হয়ে গেল, এই পর্যন্ত না নিজে ঘুমিয়েছে না আমাকে ঘুমাতে দিয়েছে৷ আমার প্রত্যেক কথা মিনিটের মধ্যেই কেটে দেয় ৷ গত রাতে করেছে এই প্রশ্ন! আমার দেমাগ ঘুরপাক খাচ্ছে ৷ (এর আগের দুই রাতের কাহিনী কাঁদতে কাঁদতে শোনাল ! ম্যাডাম : স্বামী শ্রী মূলক আচরণ? দুলহান : এই মাসআলাগুলোর জবাব দিলে হয়ত সেদিকে খেয়াল যাবে! ম্যাডাম : তোমার সাথে খুব খারাপ আচরণ হয়েছে ৷
দুলহান : এখন আপনি অনুগ্রহপূর্বক বুখারী শরীফ হতে তালাশ করে এই মাসআলাগুলোর জবাব দিন৷ যেন আজ রাতেও লজ্জিত না হতে হয় ৷ ম্যাডাম রেগে বলল, আমি এগুলোর জবাব কোথেকে আনৰ ৷ কিছুক্ষণ উভয়ে এমনি ভাবে চুপ করে থাকল যেন তাদের মুখে তালা লেগে গিয়েছে ৷ কিছুক্ষণ পর লজ্জার ভাব দূর করে ম্যাডাম বলল, মনে হয় মাষ্টার আমীনের কোন শাগরেদের সাথে তোমার সাহেবের বন্ধুত্ব রয়েছে ৷ দুলহান : হতে পারে | তবে এতে কি আসে যায় | ম্যাডাম? রাগে...... কি আসে যায় মানে? তুমি এখনও ছোট মানুষ! তুমি কি জান মাষ্টার আমীন কে ছিলেন এবং কী ছিলেনঃ খৃষ্টবাদ, কাদিয়ানীবাদ, বেরলভী বাদ, জামাতে ইসলামী ও বর্বরতাবাদকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছিলেন ৷ তার সাথে কথা বলার কারও সাহস হত না! শুধু মাত্র আমাদের 'আহলে হাদীস' আলেমগণ তাঁর সাথে একশ মুনাযারা করেন৷
দুলহান : মুনাযারা? ম্যাডাম : ডী হাঁ! কিন্তু প্রত্যেক মুনাযারাতেই তারা ব্যর্থ হন ৷ মাষ্টার আমীন সাহেবই বিজয়ী হন ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ এমন এক সময় আসে যখন আমাদের কোন আলেম তার সাথে মুনাযারা করার জন্য প্রস্তুত হত না৷ আমাদের বড় বড় ও প্রসিদ্ধ আলেম যেমন, রূপড়ী, আছারী সাজেদমীর, হাফেজ সাউদ ও প্রফেসর আব্দুল্লাহ ভাওয়ালপুরীর মত লোক তার নাম শোনে শহর ছেড়ে চলে যেতেন ৷ (ম্যাডাম বলতে থাকেন) এদিকে
দুলহান হয়রান হয়ে তার মুখ দেখতে থাকে !) আল্লাহর কাজ আল্লাহই করেন ৷ তার দিন শেষ হয়ে যায় ৷ তিনি চলে যান৷ ভেবে ছিলাম এখন শান্তির নিঃশ্বাস নেয়া যাবে৷ কিন্তু.............. দুলহান : কিন্তু কি.....? ম্যাডাম : তাঁর শাগরেদ মুফতী মুহাম্মদ আনওয়ার উকাড়ভী, মুনীর আহমদ মুনাওয়ার, মাহমুদ আলম সফদর উকাড়ভী, আব্দুল গণী, মাও মুহাম্মদ ইলিয়াস ঘুম্মন, আব্দুল্লাহ ভটাইচ ও আল্পামা আব্দুল গাফফার যেহেনী প্রমূখ আমাদের ঘুম হারাম করে দেন ৷ এখন আমাদের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে ৷ আমরা আমাদের দাবীর স্বপক্ষে দলীল দিতে পারি না এবং তাদের কোন দলীলের জবাবও আমাদের কাছে নেই ৷ কিন্তু মনে রেখ! এই কথাগুলো কাউকে বলবে না ৷ আমি তোমাকে বলেছি, কেননা তুমি আমাদের লোক ৷
দুলহান : এমন কেন ম্যাডাম! ম্যাডাম : কেননা, এতে আমাদের বিরোধীরা আমাদের পেরেশান করতে পারে ৷ (পেরেশানীর জগতেই ম্যাডাম এই সব বলতে থাকে |)
দুলহান : ম্যাডাম, ম্যাডাম, ম্যাডাম! ম্যাডাম বেশ কিছুক্ষণ পরা মাথা উঠিয়ে বলে ডী বেটা বল, কি বলতে চাড দুলহান : ম্যাডাম! এর চেয়ে কি এটা উত্তম নয় যে, আমরা আমাদের মাসলাক ছেড়ে দিয়ে 'আহলে সুম্নাত' এর মাসলাক গ্রহণ করে নিই ! না, বেটা না! এতে আমাদের বানানো শান শাওকত সব মাটিতে মিশে যাবে এবং সউদীয়া, কুয়েত ও আরব আমীরাত হতে আসা সমস্ত টাদা বন্ধ হয়ে যাবে ৷ নিজেদের ভুলের অনুভূতি আমাদের সকল আলেমদের রয়েছে বটে; কিন্তু স্বীয় মাসলাক ছাড়বে কি ভাবে? ফেরাউনেরও অনুভূতি ছিল যে, আমার "খোদায়ী" দাবী সঠিক নয় ৷ তার জানা ছিল যে, আমি যদি আমার খোদায়ী দাবী হতে ফিরে আসি তাহলে রাজত্ব থাকবে না ৷ এ জন্য আমরাও আহলে হাদীসের দল ছাড়তে পারব না ৷ তোমাকে একটি মৌলিক উসূল বলে দিচ্ছি ৷ সামনে কথার ফাকে সুযোগ পেলে তাদের ফিকহের কিতাবসমূহের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্নের তুফান চালিয়ে দিবে ৷ আশা করা যায় তারা এতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে নিরুত্তর হয়ে যাবে ৷ বসৃ, এটাই শেষ উপায় নিজ শত্রুর উপর বিজয়ী হওয়ার | যদি এই আক্রমণও কাজে না আসে, তাহলে বলে দিবে "আমাদের আহলে হাদীসের তোমাদের সাথে বিবাহও জায়েয নেই ৷ আমার পিতা- মাতা অনুসন্ধান না করে বিবাহ দিয়ে দিয়েছেন | আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবী করে 'তালাক' নিয়ে নিবে ৷ তারপর যদি কোন গায়রে মুকাল্পেদ পাত্রও না পাওয়া যায় তাহলে কোন খৃষ্টান, ইয়াহুদী, শিখ বা হিন্দুকে বিবাহ করে নিবে ৷ কিন্তু কোন মুকাল্পেদকে বিবাহ করবে না! কেননা, 'তাকলীদ' হল শিরক ৷ আর মুকাল্পেদ হল "পথভ্রষ্ট ও মুশরিক" !
দুলহান ম্যাডামের সাথে সাক্ষাত করে ৷ ম্যাডাম তাকে দেখা মাত্রই বলে ওঠে শোনাও তোমার সাহেবের কি অবস্থা? আমাদের ইলম কোন কাজ করেছে কি? তুমি কি তার সাথে 'আহলে হাদীস' হওয়ার কথা বলেছ?
দুলহান : ম্যাডাম! বিবাহর তিন রাত্র অতিবাহিত হয়ে গেল, এই পর্যন্ত না নিজে ঘুমিয়েছে না আমাকে ঘুমাতে দিয়েছে৷ আমার প্রত্যেক কথা মিনিটের মধ্যেই কেটে দেয় ৷ গত রাতে করেছে এই প্রশ্ন! আমার দেমাগ ঘুরপাক খাচ্ছে ৷ (এর আগের দুই রাতের কাহিনী কাঁদতে কাঁদতে শোনাল ! ম্যাডাম : স্বামী শ্রী মূলক আচরণ? দুলহান : এই মাসআলাগুলোর জবাব দিলে হয়ত সেদিকে খেয়াল যাবে! ম্যাডাম : তোমার সাথে খুব খারাপ আচরণ হয়েছে ৷
দুলহান : এখন আপনি অনুগ্রহপূর্বক বুখারী শরীফ হতে তালাশ করে এই মাসআলাগুলোর জবাব দিন৷ যেন আজ রাতেও লজ্জিত না হতে হয় ৷ ম্যাডাম রেগে বলল, আমি এগুলোর জবাব কোথেকে আনৰ ৷ কিছুক্ষণ উভয়ে এমনি ভাবে চুপ করে থাকল যেন তাদের মুখে তালা লেগে গিয়েছে ৷ কিছুক্ষণ পর লজ্জার ভাব দূর করে ম্যাডাম বলল, মনে হয় মাষ্টার আমীনের কোন শাগরেদের সাথে তোমার সাহেবের বন্ধুত্ব রয়েছে ৷ দুলহান : হতে পারে | তবে এতে কি আসে যায় | ম্যাডাম? রাগে...... কি আসে যায় মানে? তুমি এখনও ছোট মানুষ! তুমি কি জান মাষ্টার আমীন কে ছিলেন এবং কী ছিলেনঃ খৃষ্টবাদ, কাদিয়ানীবাদ, বেরলভী বাদ, জামাতে ইসলামী ও বর্বরতাবাদকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছিলেন ৷ তার সাথে কথা বলার কারও সাহস হত না! শুধু মাত্র আমাদের 'আহলে হাদীস' আলেমগণ তাঁর সাথে একশ মুনাযারা করেন৷
দুলহান : মুনাযারা? ম্যাডাম : ডী হাঁ! কিন্তু প্রত্যেক মুনাযারাতেই তারা ব্যর্থ হন ৷ মাষ্টার আমীন সাহেবই বিজয়ী হন ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ এমন এক সময় আসে যখন আমাদের কোন আলেম তার সাথে মুনাযারা করার জন্য প্রস্তুত হত না৷ আমাদের বড় বড় ও প্রসিদ্ধ আলেম যেমন, রূপড়ী, আছারী সাজেদমীর, হাফেজ সাউদ ও প্রফেসর আব্দুল্লাহ ভাওয়ালপুরীর মত লোক তার নাম শোনে শহর ছেড়ে চলে যেতেন ৷ (ম্যাডাম বলতে থাকেন) এদিকে
দুলহান হয়রান হয়ে তার মুখ দেখতে থাকে !) আল্লাহর কাজ আল্লাহই করেন ৷ তার দিন শেষ হয়ে যায় ৷ তিনি চলে যান৷ ভেবে ছিলাম এখন শান্তির নিঃশ্বাস নেয়া যাবে৷ কিন্তু.............. দুলহান : কিন্তু কি.....? ম্যাডাম : তাঁর শাগরেদ মুফতী মুহাম্মদ আনওয়ার উকাড়ভী, মুনীর আহমদ মুনাওয়ার, মাহমুদ আলম সফদর উকাড়ভী, আব্দুল গণী, মাও মুহাম্মদ ইলিয়াস ঘুম্মন, আব্দুল্লাহ ভটাইচ ও আল্পামা আব্দুল গাফফার যেহেনী প্রমূখ আমাদের ঘুম হারাম করে দেন ৷ এখন আমাদের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে ৷ আমরা আমাদের দাবীর স্বপক্ষে দলীল দিতে পারি না এবং তাদের কোন দলীলের জবাবও আমাদের কাছে নেই ৷ কিন্তু মনে রেখ! এই কথাগুলো কাউকে বলবে না ৷ আমি তোমাকে বলেছি, কেননা তুমি আমাদের লোক ৷
দুলহান : এমন কেন ম্যাডাম! ম্যাডাম : কেননা, এতে আমাদের বিরোধীরা আমাদের পেরেশান করতে পারে ৷ (পেরেশানীর জগতেই ম্যাডাম এই সব বলতে থাকে |)
দুলহান : ম্যাডাম, ম্যাডাম, ম্যাডাম! ম্যাডাম বেশ কিছুক্ষণ পরা মাথা উঠিয়ে বলে ডী বেটা বল, কি বলতে চাড দুলহান : ম্যাডাম! এর চেয়ে কি এটা উত্তম নয় যে, আমরা আমাদের মাসলাক ছেড়ে দিয়ে 'আহলে সুম্নাত' এর মাসলাক গ্রহণ করে নিই ! না, বেটা না! এতে আমাদের বানানো শান শাওকত সব মাটিতে মিশে যাবে এবং সউদীয়া, কুয়েত ও আরব আমীরাত হতে আসা সমস্ত টাদা বন্ধ হয়ে যাবে ৷ নিজেদের ভুলের অনুভূতি আমাদের সকল আলেমদের রয়েছে বটে; কিন্তু স্বীয় মাসলাক ছাড়বে কি ভাবে? ফেরাউনেরও অনুভূতি ছিল যে, আমার "খোদায়ী" দাবী সঠিক নয় ৷ তার জানা ছিল যে, আমি যদি আমার খোদায়ী দাবী হতে ফিরে আসি তাহলে রাজত্ব থাকবে না ৷ এ জন্য আমরাও আহলে হাদীসের দল ছাড়তে পারব না ৷ তোমাকে একটি মৌলিক উসূল বলে দিচ্ছি ৷ সামনে কথার ফাকে সুযোগ পেলে তাদের ফিকহের কিতাবসমূহের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্নের তুফান চালিয়ে দিবে ৷ আশা করা যায় তারা এতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে নিরুত্তর হয়ে যাবে ৷ বসৃ, এটাই শেষ উপায় নিজ শত্রুর উপর বিজয়ী হওয়ার | যদি এই আক্রমণও কাজে না আসে, তাহলে বলে দিবে "আমাদের আহলে হাদীসের তোমাদের সাথে বিবাহও জায়েয নেই ৷ আমার পিতা- মাতা অনুসন্ধান না করে বিবাহ দিয়ে দিয়েছেন | আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবী করে 'তালাক' নিয়ে নিবে ৷ তারপর যদি কোন গায়রে মুকাল্পেদ পাত্রও না পাওয়া যায় তাহলে কোন খৃষ্টান, ইয়াহুদী, শিখ বা হিন্দুকে বিবাহ করে নিবে ৷ কিন্তু কোন মুকাল্পেদকে বিবাহ করবে না! কেননা, 'তাকলীদ' হল শিরক ৷ আর মুকাল্পেদ হল "পথভ্রষ্ট ও মুশরিক" !
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!