Tuesday, May 30, 2017

তারাই ছিলেন আমাদের পূর্বসুরি যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি:

এমন মানুষ মিলবে কি আর?
গৌরবময় ইতিহাসে তাঁর মতো
কয়জন আছে??
==================

👉১) যার জীবদ্দশাতেই ২৫টি থিসিস
বা পি.এইচ.ডি হয়েছে তাঁর জীবন ও
কর্মের উপর।
.
👉২) তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা।
.
👉৩) তাঁর জীবদ্দশায়ই রাসুলে
আরাবীর শহর মদীনায় তাঁর নামে
সড়কের নামকরণ করা হয়।
.
👉৪) তাঁর লিখিত দুই শতাধিক গ্রন্থ
প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যে পৃথিবীর প্রধান
প্রধান সকল ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
.
👉৫) কাবা শরীফের চাবী তাঁর হাতে
তুলে দিয়ে বিরল সম্মান জানানো
হয়েছিল তাঁকে, নিজ হাতে দরজা খুলে
এর ভিতরে প্রবেশ করে তিনি মহান
রবের শোকর আদায় করেছেন।
.
👉৬) একজন বিরল প্রজন্মের
শিক্ষাবিদ হিসাবে সারা পৃথিবীব্যাপী
তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল।
তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর চেয়ে বড় কোনো
পণ্ডিতের নাম শুনা যায়নি
পৃথিবীজুড়ে।
.
👉৭) ইউরোপের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইসলামিক
স্টাডিজ সেন্টারের তিনি প্রতিষ্ঠাতা
চেয়ারম্যান।
.
👉৮) ইসলামিক সেন্টার জেনেভা,
ইউ এস এ আরবী একাডেমি, লন্ডনের
ইসলামিক সেন্টার সহ ইউরোপ,
আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও
দক্ষিণ পূর্বএশিয়ার অসংখ্য
প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রাণপুরুষ ছিলেন।
.
👉৯) ছিলেন ভিজিটিং প্রফেসার,
রাবেতা আলমে ইসলামীর পুরোধা,
রাবেতা আল আদব আর ইসলামী
বিশ্ব সাহিত্য পরিষদের সভাপতি।
.
👉১০) একেবারে মামুলী বিছানায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর থেকে
বাজপেয়ী পর্যন্ত বড় বড় প্রধানমন্ত্রী
আর রাজনীতি বিদ তাঁর পাশে বসে
পরামর্শ নিতেন।
.
👉১১) ভারত সরকারের সম্মান সুচক
সবকটি পদক তিনি পেয়েছেন।
.
👉১২) ১৯৯৮ সালে শতাব্দীর এই
শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বকে আরব আমিরাত
সরকার রাজকীয় সংবর্ধনা প্রদান
করে, তিনি যেতে অস্বীকার করলে
তাঁকে জানানো হয় আরব প্রজন্মের
বুদ্বিজীবী ছাত্র ও তরুণরা আপনাকে
দেখতে চায়।
.
👉১৩) ঐদিন হিন্দুস্তান টাইমস লিড
নিউজ করে একজন ভারতীয় মনীষীর
জন্য বিমানের সিডিউল পরির্বতন,
আকাশে নিরাপত্তা ব্যবস্হা
পুনঃবিন্যাস।
.
👉১৪) সেদিন এই মনীষাকে বহন
করার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে দামি
বিমান পাঠানো হয় সরাসরি উত্তর
ভারতের লখনৌতে, সাথে আরো বহু
ছোট বড় বিমান, সাজ সাজ রব পড়ে
গোটা উপমহাদেশে।
.
👉১৫) দারুল উলুম দেওবন্দের
আজীবন সভাপতি ছিলেন।
.
👉১৬) নদওয়াতুল উলামার প্রধান
পরিচালক।
.
👉১৭) দাওয়াতে তাবলীগের অন্যতম
মুরুব্বী ছিলেন।

ইন্দোনেশিয়া থেকে মরক্কো পর্যন্ত পৃথিবীর সকল আলেমরা যাকে ভালোবাসেন। তিনি আর কেউ নন,
তিনি হলেন আকাবীরে দেওবন্দের গত শতাব্দীর শেষ "সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী ওরফে আলী মিয়া নদভী রহ.।

নিচের ছবিতে তাকিয়ে দেখুন, এমন একজন মনীষী নিজের সাদাসিধা কুঠরি থেকে বেরিয়ে আসছেন। তার একটি বইয়ের রয়্যালিটি গ্রহণ
করলে মুম্বাই ও বেঙ্গালুরু নয় দুবাইয়েও আলীশান প্রাসাদ নির্মাণ করা যেতো। আর আমরা সামান্য কিছু টাকা ও সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের ঈমান ও
আদর্শ পর্যন্ত বিকিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হই না!

(মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেমি দাঃবাঃ এর কলামে)


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!