ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম নামাজ। ইসলাম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আবশ্যক করেছে।নামাজকে বলা হয় মুমিনের হাতিয়ার, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।
নামায আদায় করলে মুমিন ব্যক্তি আখিরাত সুখী হবে।শুধু তাই নয়, দুনিয়াতেও রয়েছে নামাজের অনেক পুরস্কার। নামাজের মাধ্যমে শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্তিও পাওয়া যায়।
গত মার্চে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিয়মিত ও সঠিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় পিঠের ব্যথা কমায়। নামাজের মধ্যে বিভিন্ন অঙ্গ বারবার নড়াচড়া করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিন প্রায় ১৬০ কোটি মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। পুরো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের একটি সুষ্ঠু নিয়মের মাধ্যমে নামাজ আদায় করা হয়। পিঠ-কোমর ও শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থলের নিয়মমাফিক এই নড়াচড়া ডাক্তারি সেবার মতোই কার্যকর। এটাকে শারীরিক থেরাপি বলা যেতে পারে।
সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সভাপতি মোহাম্মেদ খাসাওনেহ জানিয়েছেন, নামাজের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নড়াচড়া অনেকটা ব্যায়ামের কাজ করে দেয়। পিঠের ব্যথা কমানোর জন্য এ ধরনের থেরাপি ব্যবহার করা হয়। খ্রিস্টান বা ইহুদি ধর্মেও ইয়োগা বা ব্যায়ামের মতো কিছু বিষয় রয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণায় মুসলমান ধর্মের এই প্রার্থনার ওপরই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
জার্নালের সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রবন্ধের নাম- ‘অ্যান এরগোনোমিক স্টাডি অব বডি মোশনস ডিউরিং মুসলিম প্রেয়ার ইউজিং ডিজিটাল হিউম্যান মডেলিং।’
এই গবেষণা কার্যক্রমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যকর হিউম্যান মডেলের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্যাম্পলিং হিসেবে ভারতীয়, এশিয়ান ও আমেরিকান কিছু পুরুষ-নারীর পিঠের ব্যথার ওপর নামাজের প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটু গেড়ে মাটিতে মাথা ঠেকানো (সিজদা) হলে শরীরের সংযোগস্থলগুলো ঢিলা হয়ে যায়। তবে প্রতিবন্ধীদের ওপর নামাজের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে দেখা হয়নি।
খাসাওনেহ বলেন, নামাজের ফলে শারীরিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমানো যায়। সূত্র- টিডিএন
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!