আগামী ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর এই সফরের আগেই হেফাজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর হামলার প্রতিবাদে মোদীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তবে কংগ্রেস বা অন্যান্য কোনও দলের প্রতিনিধিদের চিন্তা নেই। এই হুঁশিয়ারির পরেই বারবার বাংলাদেশ সরকার মোদীর আমন্ত্রণ নিয়ে বার্তা দিচ্ছে। এবার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিল হাসিনা সরকার।
বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তাকে কড়াভাবে প্রতিহত করা হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, বন্ধু রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য বিশেষ আপ্যায়ন থাকছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন শুরু। অনুষ্ঠানে থাকছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সহ বিশিষ্টরা। এই উৎসব ঘির সেজে উঠেছে গোটা বাংলাদেশ। কিন্তু দিল্লির ভয়াবহ গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর উত্তপ্ত বাংলাদেশ।
হেফাজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের হুঁশিয়ারি, ভারতে সংখ্যাসঘু মুসলিমদের উপর হামলার প্রতিবাদে মোদীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এমনকি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বের হতেই দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মোদীকে আমন্ত্রণ করে সরকার আদৌতে বঙ্গবন্ধুরই অপমান করছে। আর তাই যে অপমান যাতে না হয় সেই কারনেই এই আন্দোলন-বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি। তবে পালটা সরকারও কড়া হাতে প্রতিহত করবে বলে জানালেন মন্ত্রী।
সংগৃহীত কলকাতা২৪
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!