ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফরের পরেই ফের ইসলামিক সংগঠনগুলিকে বার্তা বাংলাদেশ সরকারের। মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ আপ্যায়ন থাকছে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন শুরু। অনুষ্ঠানে থাকছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সহ বিশিষ্টরা।
এদিকে দিল্লির ভয়াবহ গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হেফাজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের হুঁশিয়ারি, ভারতে সংখ্যাসঘু মুসলিমদের উপর হামলার প্রতিবাদে মোদীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তবে কংগ্রেস বা অন্যান্য কোনও দলের প্রতিনিধিদের চিন্তা নেই। এই হুঁশিয়ারির পরেই বারবার বাংলাদেশ সরকার মোদীর আমন্ত্রণ নিয়ে বার্তা দিচ্ছে। সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব তথা ঢাকায় দীর্ঘ সময় কাটানো প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আর মঙ্গলবার সিলেটে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও সম্মান জানাবেন। তবে তিনি এও বলেছেন, যারা নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করছেন, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে মোদীকে সর্বোচ্চ সম্মান জানবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ সহযোগিতার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এ কে মোমেন বলেন, আমাদের স্বাধীনতার বন্ধু রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মাননাই জানাবে সরকার। বাঙালি বরাবরই অতিথিপরায়ণ। তাই অতিথিকে সম্মান জানাবে এই দেশের সাধারণ মানুষ।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!