[ কৈফিয়ত: ফেসবুকের মতো একটি ওপেন সোশাল মিডিয়াতে বিষয়টি আলোচনা করা সমীচীন মনে করছি না। এরপরও বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে। হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইসলামী ফিকহ ভান্ডার হানাফী মাজহাবকে কিছু উগ্র আহলে হাদীস বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নোংরা অপবাদে জর্জরিত করার চেষ্টা করে। হানাফী মাজহাবের লাখ লাখ মাসআলা থেকে দু'একটি মাসআলার খন্ডিত বক্তব্য নিয়ে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে কিছু বিকৃত ব্যাখ্যা জুড়ে দিয়ে সেগুলোকে নোংরাভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে আসছে। একাজে আহলে হাদীসদের প্রসিদ্ধ আলেমদের থেকে শুরু করে কর্মী পর্যায়ের সকলেই সিদ্ধহস্ত বলা যায়। এদের ছোট ছোট বইগুলোও এধরনের বিকৃতি ও নোংরামির প্রমাণ বহন করে। হানাফী মাজহাবের একটি মাসআলার খন্ডিত অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষকে এই বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যে, দেখুন, হানাফী মাজহাব কত নোংরা কথা বলে। হানাফী মাজহাবের মাসআলার কতো লজ্জাকর। এভাবে মিথ্যাচার আর বিকৃতির আশ্রয় সাধারণ মানুষকে সরল-সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করার অপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাস্তবতা এর সম্পূর্ণ বিপরীত। আহলে হাদীসদের ফতোয়া ও মাসআলাসমূহ এতটা নোংরা ও রুচিহীন যে, খোদ আহলে হাদীস আলেমরাই একে কুক শাস্তর বা কামসূত্র আখ্যা দিয়েছে। বিষয়গুলো যেহেতু রুচিহীন ও নোংরা, একারণে এগুলো আলোচনা করাটাও সমীচীন নয়। নোংরা বিষয়ের আলোচনা করাও এক ধরনের নোংরামি। তবে শরীরের কোন অঙ্গ পচে গেলে বাধ্য হয়েই সেটার সার্জারি করতে হয়। বিকৃত মস্তিষ্কের যেসব উগ্র আহলে হাদীস হানাফী মাজহাবের ফতোয়া নিয়ে মিথ্যাচার করে, তাদের সামনে তাদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক। একারণে একান্ত বাধ্য হয়ে এধরনের একটা নোংরা বিষয়ে কলম ধরতে হল। আলোচনায় আহলে হাদীসদের যেসব আলেমদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এদের অধিকাংশই আহলে হাদীসদের পুরোধা আলেম ছিলেন। এদের বিস্তারিত পরিচয় উপমহাদেশে আহলে হাদীসদের ইতিহাস বিষয়ক যে কোন বইয়ে পাবেন। আমি এখানে বাংলাদেশে আহলে হাদীসদের মুখপাত্র মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকা থেকে কিছু কিছু পরিচয় উল্লেখের চেষ্টা করেছি। ]
১. আহলে হাদীসদের একজন পুরোধা আলেম হলেন, জনাব ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী। তিনি আহলে হাদীস মহলে সর্বাধিক প্রচলিত সিহাহ সিত্তার উর্দু অনুবাদক। এছাড়াও বহু গ্রন্থপ্রণেতা। আহলে হাদীসদের প্রথম সারির আলেম ছিলেন জনাব ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী। মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকায় মনীষী চরিত শিরোনামে ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদীর জীবন ও কর্ম আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় ওহিদুজ্জামান সাহেবের পরিচয় দেয়া হয়েছে এভাবে, [‘‘শায়খুল কুল ফিল কুল’ মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দেহলভীর (১৮০৫-১৯০২ খৃঃ) প্রায় সোয়া লক্ষ ছাত্রের মাঝে যারা নিজেদের ইলমী আভা বিকিরণে সদা তৎপর ছিলেন এবং গ্রন্থ রচনা ও হাদীছ শাস্ত্রের প্রচার-প্রসারে নিশিদিন অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করেছেন মাওলানা অহীদুয্যামান ছিলেন তাঁদের অন্যতম। ইমাম মুহাম্মাদ বিন সঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (রিয়াদ, সঊদী আরব) শিক্ষক ড. আব্দুর রহমান ফিরিওয়াঈ বলেন, من مشاهير الهند وكبار تلامذة السيد نذير حسين. قضى حياةه فى نشر السنة النبوية، وله منة عظيمة على أهل الهند حيث قام بةرجمة وشرح كةب السنة إلى الأردية. ‘তিনি ভারতের প্রখ্যাত আলেম এবং সাইয়িদ নাযীর হুসাইনের বড় মাপের ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। হাদীছের প্রসারে তিনি তাঁর জীবন ব্যয় করেছেন। ভারতবাসীর ওপর তাঁর বড় অবদান রয়েছে। তিনি উর্দূতে হাদীছের গ্রন্থাবলী অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন’। মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকায় ওহিদুজ্জামান সাহেবের রচিত গ্রন্থাবলীর তালিকা দেয়া রয়েছে। আমরা যেসব কিতাব থেকে উদ্ধৃতি দিব, সেগুলোর নাম উক্ত তালিকা থেকে দেখে নিতে পারেন। যেমন, ওহিদুজ্জামান সাহেবের নুজুল আবরার। বিস্তারিত: http://www.at-tahreek.com/april2011/4.html ]
২. ভারত উপমহাদেশে আহলে হাদীস মতবাদ যাদের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রসার লাভ করেছে, তাদের অন্যতম পুরোধা আলেম হলেন, নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান ভূপালী। নওয়াব সাহেব অতীত ও বর্তমানের সকল আহলে হাদীসের নিকট গ্রহণযোগ্য আলেম। তার রচিত গ্রন্থ ও লেখনী নিয়ে আহলে হাদীসরা গর্ব করে থাকেন। মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান ভূপালীর জীবন ও কর্ম, তার বক্তব্যের উদ্ধৃতি আলোচনা করা হয়েছে। আত-তাহরীক পত্রিকার সার্চ অপশনে গিয়ে 'হাসান খান' লিখে সার্চ দিলেই বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।http://www.at-tahreek.com/search.htmlমাসিক আত-তাহরিকে নওয়াব সিদ্দিক হাসান খানের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হয়েছে এভাবে,"নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভারতীয় উপমহাদেশের বহু গ্রন্থ প্রণেতা আলেম ছিলেন। তিনি আরবী, ফার্সী ও উর্দূ তিন ভাষাতেই লিখেছেন। তাফসীর, হাদীছ, ফিকহ, ইতিহাস, আক্বাইদ, কবিতা ও কাব্যচর্চা, সাহিত্য, নৈতিকতা, তাছাওউফ প্রভৃতি বিষয়ে তিনি বিভিন্ন শিরোনামে ৩২৩টি গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করেছেন।"[বিস্তারিত, http://www.at-tahreek.com/june2014/article0201.html ]
এমনকি আহলে হাদীসদের অনুসরণী সালাফী আলেম শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানী সিদ্দিক হাসান খানের কিতাব পড়ার জন্য মানুষকে নসীহত করেছেন। [বিস্তারিত, http://www.at-tahreek.com/tawheederdak/sep-oct2010/8.html ]
নওয়াব সিদ্দিক হাসানের খানের বিশিষ্ট সাহেবজাদা জনাব নুরুল হাসান খানও আহলে হাদীসদের অন্যতম বরেণ্য আলেম ছিলেন। আমরা এখানে নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান ও তার ছেলে নুরুল হাসান খানের বেশ কয়েকটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করব। ৩. আহলে হাদীসদের আরেকজন শীর্ষস্থানীয় আলেম হলেন মিয়া নজীর হুসাইন দেহলভী। তিনি আহলে হাদীসদের সকলের উস্তাদ বা শাইখুল কুল ফিল কুল হিসেবে পরিচিত। আহলে হাদীসদের দাবী অনুযায়ী তিনি সোয়ালক্ষ ছাত্রের উস্তাদ ছিলেন। আহলে হাদীসদের মাঝে মিয়া ছাহেব বললে মিয়া নজীর হুসাইন দেহলভীকে বোঝান হয়। মাসিক আত-তাহরিক পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় মিয়া নজীর হুসাইনের উদ্ধৃতি, কর্ম বা খেদমত আলোচনা করা হয়েছে।আমরা যাদের কিতাব থেকে উদ্ধৃতি দিব, তাদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আহলে হাদীসদের লিখিত চালিস উলামায়ে আহলে হাদীস দেখতে পারেন।
এবার আসুন আহলে হাদীসদের এই বরেণ্য আলেমের কিছু উল্লেখযোগ্য ফতোয়া দেখা যাক।
১. নওয়াব সিদ্দিক হাসান খানের পুত্র জনাব নুরুল হাসান খান লিখেছেন," নামাযে কারও গোপনাঙ্গ যদি সকলের সামনে খোলা থাকে, তাহলে তার নামায নষ্ট হবে না। "[আরফুল জাদী, পৃ.২২]
নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন,"মহিলারা একাকী নামাযের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় নামায আদায় করতে পারবে। মহিলা যদি অন্যান্য মহিলাদের সাথে সকলেই উলঙ্গ অবস্থায় নামায আদায় করে, তবে তাদের নামায বিশুদ্ধ হবে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনে যদি উলঙ্গ হয়ে নামায আদায় করে তবে নামায বিশুদ্ধ হবে। মহিলা যদি তার পিতা, ছেলে, ভাই, চাচা, মামু সকলের সামনে উলঙ্গ অবস্থায় নামায আদায় করে, তবুও নামায বিশুদ্ধ হবে। "[বুদুরুল আহিল্যা, পৃ.৩৯]
এই মাসআলা থেকে কেউ হয়ত ভাবতে পারেন যে, এটি হয়ত বিশেষ ওজরের কারণে বলেছে। বিষয়টি এমন নয়। আহলে হাদীসদের নিকট কাপড় থাকা অবস্থায়ও যদি কেউ উলঙ্গ হয়ে নামায পড়ে, তার নামায বিশুদ্ধ হবে। ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী বিষয়টি স্পষ্ট করে লিখেছেন,"সাথে কাপড় থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ উলঙ্গ হয়ে নামায পড়ে, তাহলে তার নামায বিশুদ্ধ হবে"[নুজুলুল আবরার, খ.১. পৃ.৫২]
নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন,"রানে সঙ্গম করা এবং স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করা জায়েয। বরং এটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। "[বুদুরুল আহিল্যা, পৃ.১৭৫]কয়েকবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে নিন। ওহিদুজ্জামান সাহেব লিখেছেন, " স্ত্রীদের মলদ্বারে সঙ্গম করতে চাইলে স্ত্রীদের জন্য নিষেধ করা জায়েজ নয়"[হাদইয়াতুল মাহদী, খ.১, পৃ.১১৮]তিনি আরও স্পষ্ট করে লিখেছেন, "গুহ্যদ্বারে সঙ্গমের কারণে গোসলও ফরজ হয় না"[ নুজুলুল আবরার, খ.১, পৃ. ২২ ]
ওহিদুজ্জামান সাহেব অতি আশ্চর্যজনক একটি মাসআলা লিখেছেন। " কেউ যদি নিজের পুরুষাঙ্গ নিজের মলদ্বারে প্রবেশ করায়, তাহলে গোসল ওয়াজিব হবে না"[নুজুলুল আবরার, খ.১, পৃ.২২]মন্তব্য: এধরনের নোংরা বিষয়ের উপর মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন। তবে তিনি কীভাবে এর এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন সেটাই বিস্ময়।
ওহিদুজ্জামান সাহেব আরও লিখেছেন, "মুতয়া বিবাহের বৈধতা কুরআনের অকাট্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত " [ নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ.৩৩]আহলে হাদীস আলেম জনাব নুরুল হাসান খান লিখেছেন," মা, বোন, মেয়ে ও মাহরাম মহিলাদের গুপ্তাঙ্গ ছাড়া সমস্ত শরীর দেখা বৈধ"[ আরফুল জাদী, পৃ.৫২]
ওহিদু্জ্জামান সাহেব লিখেছেন, মহিলার জন্য বয়স্ক পর-পুরুষকে নিজের স্তনের দুধ পান করানো জায়েজ। যদিও উক্ত পর-পুরুষ দাড়ি বিশিষ্ট হোক। এর দ্বারা তাদের একজনের জন্য আরেকজনকে দেখা বৈধ হয়ে যাবে। [ নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ.৭৭]
নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন, চারজন স্ত্রী রাখার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। বরং যত ইচ্চা তত স্ত্রী রাখতে পারবে। [ জফরুল আমানী, পৃ. ১২১]ওহিদুজ্জামান সাহেব লিখেছেন,"কেউ যদি তার মায়ের সাথে যিনা করে, যিনাকারী বালেগ বা নাবালেগ হোক, ছেলের পিতার জন্য তার মা হারাম হবে না "[নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ.২৮]
ওহিদুজ্জামান সাহেব আরও লিখেছেন, " কোন মহিলা যদি তিনজন লোকের সাথে সঙ্গম করে এবং এদের সঙ্গম থেকে বাচ্চা জন্ম নেয়, তাহলে উক্ত তিনজনের মাঝে লটারি করা হবে। যার নাম উঠবে বাচ্চা সে পাবে। যে বাচ্চা নিবে সে অপর দুইজনকে দুই তৃতীয়াংশ দিয়ত বা পণ দিয়ে দিবে "[নুজুলুল আবরার, খ.২, পৃ. ৭৫]
আহলে হাদীসদের বিখ্যাত আলেম আবুল হাসান মুহিউদ্দীন লেখেন,
"বীর্য পবিত্র। একটি ফতোয়া অনুযায়ী বীর্য খাওয়া বৈধ"
[ফিকহে মুহাম্মাদী, খ.১, পৃ.২৬]
আহলে হাদীসদের শাইখুল কুল ফিল কুল মিয়া নজীর হুসাইন দেহলবী তার ফতোওয়ার কিতাব ফতোয়াওয়ায়ে নজীরিয়াতে লিখেছেন,"প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের মেয়ে, বোন বা পুত্রবধুকে দিয়ে নিজের রান মালিশ করাতে পারবে। এবং প্রয়োজনে নিজের পুরুষাঙ্গে হাত দেয়াতে পারবে "[ফতোওয়ায়ে নজীরিয়া, খ.৩, পৃ.১৭৬]
আরও অনেক বিষয় লেখার ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত নোংরা হওয়ার কারণে সেগুলো উল্লেখ করা হল না। পরিশেষে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই।
সৌদি আরব থেকে পবিত্র কুরআনের যে উর্দু অনুবাদ বিতরণ করা হয়, এটি অনুবাদ করেছেন আহলে হাদীস আলেম মুহাম্মাদ জোনাগড়ী। আব্দুল্লাহ রুপড়ী নামে আহলে হাদীসদের একজন খ্যাতনামা আলেম ছিলেন। তিনি মায়ারেফে কুরআনী বা কুরআনের তত্ত্বকথা নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি এত নোংরা কথার অবতারণা করেন, যেগুলো এখানে উল্লেখ করা সমীচীন নয়। আহলে হাদীসদের বিখ্যাত এই মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ রুপড়ীর এই লেখনী সম্পর্কে মুহাম্মাদ জোনাগড়ী সাহেব লিখেছেন, "روپڑی نے معارف قرآنی بیان کرتے ہوئے رنڈیوں اور بھڑووں کا ارمان پورا کیا "আব্দুল্লহ রুপড়ী কুরআনের তত্ত্বকথা লিখতে গিয়ে পতিতা ও ব্যভিচারীদের মনোবাসনা পূরণ করেছে। "[আখবারে মুহাম্মাদী, ১৫ই এপ্রিল, ১৯৩৯, পৃ.১৩]
আব্দুল্লাহ রুপড়ীর সমালোচনায় মুহাম্মাদ জোনাগড়ী যে প্রবন্ধ লিখেছিলেন, তার শিরোনাম দিয়েছেন, ”عبداللہ روپڑی ، ایڈیٹر تنظیم کے معارف قرآنی ، اسے کوک شاستر کہیں یا لذت النساءیا ترغیب بدکاری؟
“"তানজীম পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ রুপড়ীর কুরআনের তত্ত্বকথাকে কামসূত্র বলব না কি লজ্জাতুন নেসা না কি যৌন উদ্দীপক চটি বলব?
এই হল, আহলে হাদীসদের মুফাসসিরের ভাষা। যার অনুবাদ করা কুরআন শরীফ সৌদি থেকে ছাপা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, স্বয়ং আহলে হাদীস আলেমরাই তাদের লেখনীকে কুক শাস্তর বা কামসূত্র বলে অভিহিত করছে, তাহলে অন্যরা কী করবে? এরা যেসব নোংরা কথা লিখেছে, তাতে একে কামসূত্র বললেও কম বলা হবে। আস্তাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ হেফাজত করুন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!