------মার্চ ২৬, ২০১৭
ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম |
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জাতিকে অবগত করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের যে ভুমিকা ছিল তা জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে ওলামায়ে কেরামকে ঢালাও ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী বানানোর অপচেষ্টা চলছে। স্বাধীনতা যুদ্ধ একক কোন ব্যক্তি, দল বা গোষ্টির অর্জন নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের যেমনি অবদান ছিলো তেমনি অবদান ছিলো মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীস সহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরামের । ঢালাও ভাবে ওলামায়ে কেরামদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দেয়া পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের স্বাধীনতার জন্য হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ:, মুফতী আমীমুল ইহসান, হযরত পীরজি হুজুর রহ: এবং মুফতি দ্বীন মোহাম্মাদ রহ: সহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরামের দোয়াও ছিলো দেশ বিজয়ের অন্যতম হাতিয়ার।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর জামিযা নুরিয়া ইসলামিয়া কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সুলতান মুহিউদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মুফতী ইলয়াছ মাদারিপুরী, মাওলানা আকরাম হুসাইন, মুফতী মুফিজুর রহমান, মাওলানা রহমাতুল্লাহ ও মাষ্টার আনসার উদ্দিন হাওলাদার প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি জালেম বাহিনি পরাজিত হলেও দেশে জুলুম, শোষন, দুর্নীর্তি, হত্যা, নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সকল জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা রক্ষায় দেশ প্রেমিক জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাতিলের মোকাবেলা করতে হবে এবং দেশে ইনসাফ ভিত্তিক খেলাফত শাসন কায়েম করে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!