আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেন- ‘ইসলামের সকল বিধি-বিধান সর্বকালের জন্য। ইসলামের কোনো বিধানকে ন্যূনতম অবজ্ঞা করার দ্বারা ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়। প্রগতির নামে যারা ইসলামের পর্দা বিধানকে অবজ্ঞা করে তাদের ব্যাপারে মুমিনদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন- ‘ইসলাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। এ ধর্মের দ্বারা অন্যান্য ধর্মগুলো রহিত হয়ে গেছে। ইসলামে অন্য ধর্মের সাদৃশ্য গ্রহনের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাসূলের সা. যমানায় কোনো কোনো নওমুসলিম এটা রক্ষা করে ইসলামী বিধি-বিধান পালন করতে চাইলে আল্লাহ কুরআনের আয়াত নাযিল করে জানিয়ে দিলেন- “হে মুমিনগন, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো।”
তিনি আরোও বলেন- ‘ইসলাম মূর্তির মূলোৎপাটন করেছে। মূর্তি নির্মাণ- মূর্তির প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বৈ কিছু নয়।
রাসূল সা. বলেছেন- “ভালোবাসা যার সাথে, হাশর তার সাথে।” সুতরাং যারা রাসূলকে সা. ভালোবাসে, তারা মূর্তি নির্মাণ কিংবা মূর্তির প্রতি দূর্বল হতে পারে না। রাসূলের সা. সাথে হাশর হতে চাইলে মূর্তি অপসারণ করতে হবে।’
রাসূল সা. বলেছেন- “ভালোবাসা যার সাথে, হাশর তার সাথে।” সুতরাং যারা রাসূলকে সা. ভালোবাসে, তারা মূর্তি নির্মাণ কিংবা মূর্তির প্রতি দূর্বল হতে পারে না। রাসূলের সা. সাথে হাশর হতে চাইলে মূর্তি অপসারণ করতে হবে।’
আত্মশুদ্ধি অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন- ‘শারিরিক, মানসিক রোগের জন্য চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয়। আধ্যাত্মিক চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে। এটি হক্কানি উলামায়ে কেরামের সান্নিধ্য গ্রহন ছাড়া সম্ভব নয়।’
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামেয়া দারুসসুন্নাহ গলমুকাপন এর ৬৬ তম বার্ষিক মাহফিলে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জামেয়ার শায়খুল হাদীস হাফিজ মাওলানা মাসউদ আহমদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষাসচিব মাওলানা রুহুল আমীন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জি, আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জি, শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান খান বানিয়াচঙ্গি, হাফিজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী, মাওলানা মমতাজ উদ্দীন বড়দেশি প্রমুখ।
জামেয়ার মুহতামিম শায়খ মাওলানা আব্দুশ শহীদ এর মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!