আমরা তো ১৩ দফা আন্দোলন বাস্তবায়ন করতে শাপলাচত্বরে গিয়েছিলাম আল্লাহ্ দ্বীন জমিনে প্রতিষ্ঠা হওয়ার জন্য। জমিনে যেন আল্লাহ্র দ্বীন ইসলামা বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু তারপর ও কেন আমাদের বিজয় হল না সেটা হল আসল কথা। সেদিন অনেক ভাইয়ের রক্ত ঝেড়েছে, সেদিন অনেক মায়ের কোল থেকে তার ছেলে হারিয়েছে। তারপর ও আল্লাহ্র পক্ষ থেকে কোন রহমত বরকত ছিল না কেন?
!
হেফাজতের আহব্বানে যারা সারা দিয়েছে তাদের মধ্যে ছিল দুই দলঃ-
১।•••একদল যারা খাটি ইমানদার যারা চেয়েছিল ১৩ দফা দাবী বাস্তবায়ন হোক।
.
২।••• একদল ছিল সেখানে যারা মুনাফিক →তারা হেফাজতকে ব্যবহার করে আওমিলীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে, পুনরায় তারা আবার ক্ষমতায় বসবে।
এই মুনাফিক দের নাম হলঃ
জামায়াত ইসলামী
!
এখন আসেন জেনে নেই মুনাফিক কোন দলে থাকলে কি হয়?
!
বনী ইসরাঈলের মধ্যে বাছুর পূজায় অর্থাৎ মূসা আঃ এর উম্মতের মধ্যে কিছু উম্মত বাছুর পূজায় লিপ্ত হয়েছে।
এই বাছূর পূজা মুসা আঃ এর অনুপস্থিতিতে এক মুনাফিক চালু করে দিয়েছিল।
এই মুনাফিকের নাম→ হারূন আস সামিরী।
এই একটা মুনাফিকের কারণে মূসা আঃ এর হাজার হাজার খাটি উম্মত ধ্বংস হয়েছে।
যখন এই হারূন আস সামিরী গরু বা বাছূর পূজায় লিপ্ত করার কারণে মুসা আঃ এর উম্মত ৩ ভাগে বিভক্ত হয়।যথাঃ-
১।••একদল পুজায় লিপ্ত।
২।•• একদল পুজা করেও না বাধা ও দেয় না।
৩।•• একদল পুজা করেনি বরং যারা পুজা করেছে তাদেরকে তারা বাধা দিয়েছে।
!
১ এবং ২ দল কে আল্লাহ্ ধ্বংস করে দিয়েছেন।
!
১ টা মুনাফিক যদি মুসা আঃ এর উম্মতের মধ্যে থাকার কারণে মুসা আঃ হাজার হাজার উম্মত ধ্বংস করে দিতে পারে। তাহলে বুঝেন মুনাফিকরা কত ভয়ংকর...!!!!
!
এখন আসেন শাপলাচত্বরে..!
সেখানে তো মুনাফিক ছিল। যদি সবার একেই নিয়ত থাকতো ১৩ দফা বাস্তবায়ন। তাহলে আমার মনে হয় এভাবে শতশত মানুষ মারা যেত না।
কারণ মুনাফিকদের নিয়ত ছিল হেফাজত কে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসা।
!
যাইহোক এই সব মুনাফিকদের কারণেই শাপলাচত্বরে হাজার হাজার মানুষের রক্ত ঝড়েছে।
আজ সেই মুনাফিকরাই আমাদের সামনে দরদি কথা বলে।মনে করিয়ে দেয় বারবার শাপলাচত্বরের কথা।
যদি তাদের নিয়ত ঠিক থাকতো অবশ্যই আমরা বিজয় অর্জন করতাম।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!