ইসলামের নামে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি করে যারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে শীয়া ও কাদিয়ানী অন্যতম । কিন্তু বিশ্ব মুসলিমদের ফতোয়া মতে তারা অমুসলিম (কাফের) হওয়ায়,তারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু মনে করে । তবে নিজেদেরকে মুসলিমদের উপদল পরিচয় দিতে , তাদের উপসনালয় গুলোকে মসজিদ নাম দিয়ে লিখে থাকে- কাদিয়ানী মসজিদ, শীয়া মসজিদ । মজার ব্যাপার হলো সহিহ হাদিসের দোহাই দিয়ে বৃটিশের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়টিও, নিজেদের উপসনা করার জায়গাকে কাদিয়ানী ও শিয়াদের সাথে মিল রেখে আহলে হাদীস মসজিদ নাম দিয়েছে । তাছাড়া কাদিয়ানীরা মসজিদের মধ্যে টিভি রাখার কারণে, আহলে হাদীসের গোমটা হুজুর মতিউর রহমান জাল মাদানি সাহেব, আহলে হাদিস মসজিদ গুলোতে টিভি রাখার ফতোয়া দেন । যা ইতিমধ্যে তাদের অনেক মসজিদে কার্যকর হয়েছে । অথচ মুসলিমদের মসজিদ গুলোর নাম, কাদিয়ানী, শীয়া ও আহলে হাদীসদের মতো সাম্প্রদায়িক নয় । বরং মুসলিমদের মসজিদের নাম হয়ে থাকে, মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী, মসজিদে আকসা, বায়তুল মুকাররম, বায়তুল ফালাহ ইত্যাদি ।
তাছাড়া আহলে হাদীসরা মুসলিমদের মসজিদের মডেল ও আমলের মধ্যেও পরির্বতন করেছে । মহা নবী সা. এর নিজ হাতে গড়া মসজিদে নববীসহ পৃথিবীর সমস্ত মসজিদে মিহরাব থাকলেও, আহলে হাদিস মসজিদ গুলোতে কোন মিহরাব নেই ।
মুসলিমদের মসজিদে নামাজের পর দাওয়াত, তালিম বা জিকিরের ব্যবস্থা থাকলেও , আহলে হাদীস মসজিদ গুলোতে তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ । তাদের মসজিদে নিজেদের দলীয় বিশেষ কায়দায় সালাত পড়ে, মসজিদে বসেই টিভি দেখার ব্যবস্থা করা হয় ।
আহলে হাদীসরা এই সব কর্মকান্ডের দ্বারা, নিজেদেরকে মুসলিমদের থেকে আলাদা একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মনে করে থাকে ।
( বন্ধুরা সংবাদটি সর্বোচ্চ শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন)
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!