শিরকি কাজ, মুসলিম হয়ে কবরপূজা কইরা যারা আল্লাহর সাথে শরিক করে তারাসহ যতভাবে তারা শিরক করছে তারাই শিরকি বলে আমরা সহজে বুঝি। তাদের বিরুদ্ধে নাদানের প্রতিবাদ কম কেন, প্রশ্ন উঠা নরমাল ব্যাপার।
আবার বেদাতীদের নিয়েও কমই লেখা পোস্ট হয়। বেদাতী তো সবাই চিনে বয়ানের দরকার নেই। যারা শিরকি, বেদাতী তারা কিন্তু নামাজও পড়েনা অনেকেই। বাবাই তো সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, মাসোহারা দিলেই চলে।
আর মওদুদীয়াত নিয়েও কম লিখি। মওদুদীরাও অনেক মাসায়ালা বানাইছে এহেবারে আহলে হাদীসদের জমজ ভাই। এই কারনে মওদুদীয়াত ঘরানার বক্তাগণ জাকির তথা আহলে হাদীসদের পক্ষেই আছে। তার মানে এহেবারে সেইম টু সেইম। প্রমাণ দরকার তো? অনলাইনে অফলাইনে নজর রাখেন নিজেই পাবেন।
কাদিয়ানী, শিয়া, খ্রিস্টানদের করালগ্রাস সব নিয়েই কাজ করা দরকার।
শিরকি, বেদাতীরা কিন্তু এমন যে তারা আজ পর্যন্ত আমাকে অসওয়াসা দিতে পারে নাই যে আমার নামাজ হয়না, বেতের হয়না, রোজা হয়না। একজন মুসলিমের আমল-র ব্যাপারে হয়না বলার মতো সাহস দেখাতে পারেনি, আশা করি আপনাকেওনা। তারা নিজেদের মত শিরকি, বেদাতী করে যাচ্ছে। উল্টো আমি নিজে, আপনারাও তাদের ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে অন্তত একজনকেও এইপথ থেকে সরাতে পেরেছি বলি বিশ্বাস করি।
আমি নাদান এই কাজে জড়িত কাউকে দেখলে বলার সুযোগ পরিবেশ পেলে কাউকে না বলে ছাড়িনা। এমনকি যখন তিনি আমার উর্ধতন কর্মকর্তা, সম্মানের সহিত বলে দেই। মানা না মানা উনার ব্যাপার, কাউকে মানাতে বাধ্য নই। রেজভীপন্থীদেরও সঠিক পথে ফিরে আসার দাওয়াত দিয়েছি সুযোগ বুঝে, তারা আবার অত্যাধিক উগ্র, পারলে খুনও করতে পারে এমন অন্ধ।
তবে তার দ্বারা যদি অন্যরা সেই শিরকি, বেদাতীর প্রভাবিত হয় তখন তো বাধা দেই যেভাবে পারি।
এখন কথা হলো আহলে হাদীসরা কি এমন করেছে যে তাদেরকে বর্তমান সময়ের বড় ফেতনা ভাবছি।
শিয়াদের ব্যাপারে যদি আপনার সম্যক ধারনা থাকে তবে বুঝতে সহজ হবে কেন আহলে হাদীসদের নিয়ে এত মাথাব্যথা।
আহলে হাদীসরা কি করেছে:
১. প্রথমত যেখানে দুইটি সুন্নত-র আমল জায়েজ, প্রমাণিত সেখানে তারা একটাকেই করতে হবে বলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। ৪ মাজহাব মানতে নারাজ। তারা নতুন মাজহাব করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিটি মুসলমানের আমলে ইবলিশীয় ওসওয়াসা ঢুকিয়ে এমন করেছে যে, অনেকে বলে এত মতভেদ ভাল লাগেনা নামাজই পড়বনা (নাউযুবিল্লাহ)।
২. ইদের নামাজ, তারাবীহ, রোজার মাসয়ালা যা কিছু সবকিছুতেই প্যাচগি লাগাইয়া দিছে। তাদেরটাই ঠিক বাকি সব ভুল
৩. ঈদ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে করতে হবে, চাদপুরের মাজারীদের সাথে তারাও মিলে গেল
৪. সৌদি আরব যেভাবে নামাজ পড়ে সেভাবে পড়তে হবে। কই যাই আমরা কি সৌদি আরবের নামাজ থেকে ভিন্ন পড়ি, ফজর ৪ রাকাত ফরয পড়ি? পদ্ধতিগত পার্থক্য তো অনুমোদিত, এইজন্যই তো মাজহাবের দরকার। না তারা তা মানতে নাারাজ। তাদের মত হতে হবে।
৫. সৌদি আরবে শায়খগণকে মানতে হবে। যখন বলা উনারা তো মাজহাব মানেন তখন বলে আমরা নবীজির মাজহাব মানি। কন দেহি আম জনতা কই যাবে।
৬. কোরবানী,যাকাত, ফেতরা নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি করেছে
৭. সালাম যেকোন সময় দেয়া যাবে টয়লেট করলেও, পাগল কারে কয়
৮.তাবলীগের বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার
৯. খাইরুন কুুরুন যুগের ইমামদের নিয়ে অসহনীয় পর্যায়ের মিথ্যাচার
১০. এমনকি কিছু কিছু আছে সাহাবী (রাঃ)-দের মানতে নারাজ, ডাইরেক্ট নবীজি (সাঃ)
আচ্ছা ভাই এইটুকু বুঝ কি চলে গেছে নবীজির (সাঃ) আমল কি ছিল তা জানার মাধ্যমগুলো তো ধারাবাহিকভাবে আজ পর্যন্ত। আমরা মাঝখানের আকাবিরদের বাদ দিয়ে কিভাবে নবীজি (সাঃ) যাবো।
১. প্রথমত যেখানে দুইটি সুন্নত-র আমল জায়েজ, প্রমাণিত সেখানে তারা একটাকেই করতে হবে বলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। ৪ মাজহাব মানতে নারাজ। তারা নতুন মাজহাব করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিটি মুসলমানের আমলে ইবলিশীয় ওসওয়াসা ঢুকিয়ে এমন করেছে যে, অনেকে বলে এত মতভেদ ভাল লাগেনা নামাজই পড়বনা (নাউযুবিল্লাহ)।
২. ইদের নামাজ, তারাবীহ, রোজার মাসয়ালা যা কিছু সবকিছুতেই প্যাচগি লাগাইয়া দিছে। তাদেরটাই ঠিক বাকি সব ভুল
৩. ঈদ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে করতে হবে, চাদপুরের মাজারীদের সাথে তারাও মিলে গেল
৪. সৌদি আরব যেভাবে নামাজ পড়ে সেভাবে পড়তে হবে। কই যাই আমরা কি সৌদি আরবের নামাজ থেকে ভিন্ন পড়ি, ফজর ৪ রাকাত ফরয পড়ি? পদ্ধতিগত পার্থক্য তো অনুমোদিত, এইজন্যই তো মাজহাবের দরকার। না তারা তা মানতে নাারাজ। তাদের মত হতে হবে।
৫. সৌদি আরবে শায়খগণকে মানতে হবে। যখন বলা উনারা তো মাজহাব মানেন তখন বলে আমরা নবীজির মাজহাব মানি। কন দেহি আম জনতা কই যাবে।
৬. কোরবানী,যাকাত, ফেতরা নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি করেছে
৭. সালাম যেকোন সময় দেয়া যাবে টয়লেট করলেও, পাগল কারে কয়
৮.তাবলীগের বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার
৯. খাইরুন কুুরুন যুগের ইমামদের নিয়ে অসহনীয় পর্যায়ের মিথ্যাচার
১০. এমনকি কিছু কিছু আছে সাহাবী (রাঃ)-দের মানতে নারাজ, ডাইরেক্ট নবীজি (সাঃ)
আচ্ছা ভাই এইটুকু বুঝ কি চলে গেছে নবীজির (সাঃ) আমল কি ছিল তা জানার মাধ্যমগুলো তো ধারাবাহিকভাবে আজ পর্যন্ত। আমরা মাঝখানের আকাবিরদের বাদ দিয়ে কিভাবে নবীজি (সাঃ) যাবো।
ও বোখারী, মুসলিম আর আলবানী??? মানলাম তাহলে বোখারী (রহঃ) মুসলিম (রহঃ) আলবানী সাহেব উনারা কোন যুগের ছিলেন?? উনারা কার কাছে থেকে পেয়েছেন হাদীস, কোরআন।
উনারা কি তবে সরাসরি নবীজি (সাঃ)-এর থেকে পেয়েছেন ?????????????????????
উনারা কি তবে সরাসরি নবীজি (সাঃ)-এর থেকে পেয়েছেন ?????????????????????
১১. ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ হলেও আলবানী সাহেবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাদের কোন আপত্তি নাই। বলেন জাতিকে কিভাবে ভ্রান্ত পথে ডাকছে।
১২.মক্কা-মদিনার দোহায় দিয়ে তারা সবকিছুই সঠিক বলে প্রচার করে
১৩. আর একটা বিষয় প্রচার করে বেড়ায় যে তারা সহিহ মানে বলে তাদের মাঝে শিরকি বেদাতি নেই। কত বড় ধোকাবাজী গভীরভাবে অনুসন্ধান চালান খুজে পাবেন যে তারা মূলত হাদীস অস্বীকারকারী, নিজের শায়েখ বললে মানে, বাকিগুলো মানেনা।
১৪. তবে ঠেলা পড়লে তখন বলে যে আমরা তো মাজহাব মানি
১৫.তারা তাসাউফ, আত্মশুদ্ধিকে অবজ্ঞা করে। কোরআন খোলে পড়ে দেখুন আত্মশুদ্ধি কতটা দরকারী।
১৬. পীরদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, পীরকে যদি তাচ্ছিল্য করেন তো শায়খকেও তাচ্চিল্য করা হয় জনাব আহলে হাদীস ভাইয়েরা। আপনার ভন্ডদের দোহায় দিয়ে সঠিকদেরও সেই কাতারে নিয়ে আসেন।
১৭. তারা মক্কা-মদীনার আলেমগণকে মানে বলে বেড়ায়, অথচ তারা ঐ আলেমগনের ফতোয়া মানতে নারাজ। বিন বাজের (রহঃ)-এর তাবলীগের পক্ষে দেয়া বক্তব্য তারা মানে বলে দেখা যায়না।
১৮. মাজহাবের পক্ষে ইবনে তাহমিয়া (রহঃ)-র নীতি তারা মানেনা তবে তারা সালাফী হলেন কাদের অনুসরণ করে??
১২.মক্কা-মদিনার দোহায় দিয়ে তারা সবকিছুই সঠিক বলে প্রচার করে
১৩. আর একটা বিষয় প্রচার করে বেড়ায় যে তারা সহিহ মানে বলে তাদের মাঝে শিরকি বেদাতি নেই। কত বড় ধোকাবাজী গভীরভাবে অনুসন্ধান চালান খুজে পাবেন যে তারা মূলত হাদীস অস্বীকারকারী, নিজের শায়েখ বললে মানে, বাকিগুলো মানেনা।
১৪. তবে ঠেলা পড়লে তখন বলে যে আমরা তো মাজহাব মানি
১৫.তারা তাসাউফ, আত্মশুদ্ধিকে অবজ্ঞা করে। কোরআন খোলে পড়ে দেখুন আত্মশুদ্ধি কতটা দরকারী।
১৬. পীরদের নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, পীরকে যদি তাচ্ছিল্য করেন তো শায়খকেও তাচ্চিল্য করা হয় জনাব আহলে হাদীস ভাইয়েরা। আপনার ভন্ডদের দোহায় দিয়ে সঠিকদেরও সেই কাতারে নিয়ে আসেন।
১৭. তারা মক্কা-মদীনার আলেমগণকে মানে বলে বেড়ায়, অথচ তারা ঐ আলেমগনের ফতোয়া মানতে নারাজ। বিন বাজের (রহঃ)-এর তাবলীগের পক্ষে দেয়া বক্তব্য তারা মানে বলে দেখা যায়না।
১৮. মাজহাবের পক্ষে ইবনে তাহমিয়া (রহঃ)-র নীতি তারা মানেনা তবে তারা সালাফী হলেন কাদের অনুসরণ করে??
মূর্খতা, ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা উচিত !!!!!!!!!!!!!!!
তালিকা করতে গেলে আমি পাগল হয়ে যামু। এতগুলো প্যাচগি লাগাইয়া তারা মুক্তিপ্রাপ্ত দল সনদ দেয় !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মোটকথা শিরকি, বেদাতীরা আমার আমল আখলাকে নাক গলাতে পারেনা, করেনা।
আহলে হাদীস সহিহ মোড়কে মূলত আমরা সহিহ আমল-ই করি শুধু উনাদের মন মত হয়না।
আহলে হাদীস সহিহ মোড়কে মূলত আমরা সহিহ আমল-ই করি শুধু উনাদের মন মত হয়না।
এই আহলে হাদীসরা সমাজে ফ্যামাস হয়েছে কিছু জাল হাদীসের বয়ান করে, যা প্রচলিত নয় তা বলে বলে বুঝাতে চেয়েছে তাদের জ্ঞানের বাহাদুরী। আম জনতাও গিলেছে। যা প্রচলিত জাল নয় সেইগুলো আমভাবে বলে বলে এমন ভাব করেছে যে আরে আমাদের হুজুররাতো এগুলো বলে না। মূলত প্রচলিত-র বাইরে জাল হাদীসগুলো না বলাই উত্তম।
আমার জানা মোতাবেক বলছি যা সমাজে প্রচলিত নয় সেইগুলো বলে কওমের মাঝে আমভাবে না বলাই আলেমগণের পরামর্শ ।এই ভন্ড সহিহ-র দাবীদাররা এইগুলো নিয়ম ভেঙ্গে বলে সমাজে ক্যাচাল লাগিয়ে শায়খ বনে গেছে। যার খেসারত আলাদা মসজিদ তারা বানাইছে, কালেমার অর্ধেক মুছে দিছে।
নোট: শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহঃ) ১৮৭৯ সালে আপনাদের বাহাদুরী করা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে ফাটল ধরানোর অপকৌশলের ১০টা প্রশ্নের উত্তর তো দিয়েছেন-ই। পাশাপাশি ১১টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন আজ পর্যন্ত আপনাদের শায়খগণ উত্তর দিতে পারেন নাই “তোহফায়ে আহলে হাদীস” পড়েন সব বুঝবেন পরিষ্কারভাবে।
খালি দলিল দলিল করেন, মানুষকে আর হয়রানি না করে আসুন এক হই আলোচনারর মাধ্যমে।
আমরা এমন বলিনা যে তোমরা যা করছ সব ভুল। বরং বলি ঠিক আছে করেন তবে মাজহাব মেনে করেন অগোছালো, এলোপাথাড়ি হাটার দরকার কি। সোজাপথ মাজহাব চলেই দেখুন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!