উত্তরঃ নিজের সাড়ে তিন হাত দেহে খিলাফতের নিদর্শনা (আল্লাহর হুকুম নবীর তরিকা) নেই। গদী দখল করে দেশে খিলাফত চালু করার এত শখ কেন তোমার?
খিলাফত সম্পর্কে বোঝার আগে আরো তিনটি প্রশ্নের জবাব বোঝা জরুরী।
👉 (১) খিলাফত কাকে বলে?
👉 (২) খিলাফত কত প্রকার? ও
👉 (৩) কি কি?
খিলাফত কাকে বলেঃ
আল্লাহর হুকুম নিজে পালন করার নাম ইবাদাত ও অপরকে পালন করতে দাওয়াত দেয়ার নাম খিলাফত।
আমরা যে নামায পড়ি এটা কি? ইবাদাত।
আমরা যে রোযা রাখি এটা কি? ইবাদাত।
আর যখন অপর একজনকে নামায রোজার দিকে দাওয়াত দিয়ে ডাকব এটা কি? খিলাফত।
খিলাফতের তরীকাঃ খিলাফতের দুইটি তরীকা।
👉 (১)রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে ও
👉 (২)দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে।
আল্লাহতায়ালা পৃথিবীতে ১২৪,০০০ নবী রসুল পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র দুইজন নবী রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে খিলাফতের ভূমিকা পালন করেছেন,
👉 (১) হজরত সোলাইমান (আঃ) রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে খিলাফতের ভূমিকা পালন করেন। ও
👉 (২) রসুল (সঃ) ও মক্কার ১৩ বছর দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে ও মদীনার ১০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে খিলাফতের ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া সকল নবীগণই দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমেই খিলাফতের ভূমিকা পালন করেছেন।
তবে, নবীগণ ছিলেন সরাসরি আল্লাহর খলিফা ও আমরা হচ্ছি নবীর খলিফা।
জমিনে আল্লাহর খলিফা প্রেরণের কারণ কি? একটি উদাহরণ দেই -
"হজরত মুসা (আঃ) যখন তুর পাঁহাড়ে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। তখন আল্লাহর নুরের তাজাল্লিতে দেখেই হজরত মুসা (আঃ) সহ্য করতে না পেরে বেহুঁশ হয়ে যান ও পাঁহাড় ধ্বসে পড়ে।"
ঠিক একইভাবে আল্লাহ যদি আমাদের কাছে এসে তাঁর আদেশ ও নিষেধ মানতে বলতেন, তবে কি আমরা সহ্য করতে পারতাম আল্লাহর নুর? তাই আল্লাহ আমাদের মধ্য থেকেই আল্লাহর খলিফা নিযুক্ত করেছেন। যেন আমরা জানতে ও মানতে পারি।
পরিশেষে একটি প্রশ্ন আসতে পারে সবার মনে। রসূল (সঃ) শেষ নবী হলে, হযরত ঈসা (আঃ) আবার দুনিয়াতে আসবেন কেন?
জবাবটা হলোঃ "হযরত ঈসা (আঃ) নবী হিসেবে দুনিয়াতে আসবেন না। তিনি আসবেন রসূল (সঃ) এর উম্মত হিসেবে। তিনি রসূল (সঃ)-এর কোন অপূর্ণতাকে পূর্ণ করতে আসবেন না। তিনি আসবেন নিজের প্রয়োজন পূরণ করতে। উদাহরনস্বরূপ একটি ঘটনাঃ
"একজন ডাক্তার রোগী দেখতে গেল। রোগী দেখে যাওয়ার পথে তাঁর ডাক্তারী ব্যাগটি ফেলে গেল। একটু পরে সে ব্যাগটি আবার নিতে এলো। তখন ব্যাগ নিতে আসলো সে, রোগীর প্রয়োজনে? না নিজের প্রয়োজনে?"
তেমনিভাবে হযরত ঈসা (আঃ) আবার দুনিয়াতে আসবেন নিজের প্রয়োজনে। কারণ "প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যু স্বাদ গ্রহন করতে হবে।" হযরত ঈসা (আঃ)-এর মৃত্যু বাকি রয়ে গেছে। তাই তিনি পৃথিবীতে আসবেন নিজের প্রয়োজন পূর্ণ করতে। মৃত্যুবরণ করতে।"
তাই যারা কুরআন বুঝে তারা তাবলীগ বুঝে।
কুরআন না বুঝলে তাবলীগও বুঝবে না।
তথ্য সূত্র:
শায়েখুত তাফসীর আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী (হাফিঃ)
বারকাল্লাহু ফি হায়াতিহি। আল্লাহ্ হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!