তারাবিহ বিশ রাকাত নাকি আট রাকাত, প্রশ্ন সেটি নয়। প্রশ্ন হচ্ছে তারাবিহ আছে কি নেই!

আমরা বলি তারাবিহ আছে।
দাবিদার আহলে হাদিস'র দাবি হল, তারাবিহ নাই।
অবশ্য 'নাই' শব্দটা তারা সরাসরি বলেন না।
তাহলে তো পাবলিক দৌড়ান দেবে।
কথাটি তারা একটু কায়দা করেই বলেন।
চলুন দেখি ঘটনাটি তারা কীভাবে
ঘটান!
আহাফি ভাইজানরা তারাবিকে
কুপিয়ে বিশ থেকে আট-এ নামিয়ে
আনার জন্য সবচে’ বড় গলায় যে
হাদিসটি সামনে নিয়ে আসেন,
সেটি হল উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা
সিদ্দিকা থেকে বর্ণিত হাদিস।
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﺳﻠﻤﺔ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺃﻧﻪ ﺳﺄﻝ
ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻨﻬﺎ ﻛﻴﻒ ﻛﺎﻧﺖ ﺻﻼﺓ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻰ
ﺭﻣﻀﺎﻥ؟ ﻓﻘﺎﻟﺖ : ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻳﺰﻳﺪ ﻓﻰ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺍﻝ ﻓﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﻋﻠﻰ ﺇﺣﺪﻯ
ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ،
ﻳﺼﻠﻰ ﺃﺭﺑﻌﺎ، ﻓﻼ ﺗﺴﻞ ﻋﻦ ﺣﺴﻨﻬﻦ
ﻭﻃﻮﻟﻬﻦ، ﺛﻢ ﻳﺼﻠﻰ
ﺃﺭﺑﻌﺎ، ﻓﻼ ﺗﺴﻞ ﻋﻦ ﺣﺴﻨﻬﻦ ﻭ ﻃﻮﻟﻬﻦ، ﺛﻢ
ﻳﺼﻠﻰ ﺛﻼﺛﺎ،
ﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ : ﻓﻘﻠﺖ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﺃﺗﻨﺎﻡ
ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﺗﻮﺗﺮ؟ ﻓﻘﺎﻝ
ﻳﺎ ﻋﺎﺋﺸﺔ ! ﺇﻥ ﻋﻴﻨﻰ ﺗﻨﺎﻣﺎﻥ ﻭﻻ ﻳﻨﺎﻡ ﻗﻠﺒﻰ
.
(বুখারি, হাদিস নাম্বার- ১১৪৭, ২০১৩,
৩৫৬৯)
আম্মিজান আয়েশাকে হুজুর
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের রমযানের রাতের
নামাজ সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হল। তিনি
বললেন, হুজুর এগারো রাকাতের বেশি
পড়তেন না...
হাদিসটি সামনে এনে তারা বলেন,
আট রাকাত তারাবিহ এবং তিন
রাকাত বিতর, ব্যস। তারা কীভাবে
মানুষকে বিভ্রান্ত করে লক্ষ্য করুন।
আম্মি আয়েশাকে রমযানের রাতের
নামাজ সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
আয়েশা বুঝতে পেরেছিলেন
প্রশ্নকারী তাহাজ্জুদের নামাজ
সম্পর্কেই জানতে চাইছেন। তাই তিনি
তাহাজ্জুদ আট এবং বিতর তিন, মোট
এগারো রাকাতের কথা
জানিয়েছিলেন। জবাব পেয়ে
প্রশ্নকারীও সন্তোষ্ট হয়ে বিদায়
নিলেন।
আয়েশার হাদিসে তাহাজ্জুদের কথাই
বলা হয়েছে, এটা কীভাবে প্রমাণীত
হয়? পাশাপাশি হাদিস নিয়ে
জালিয়াতিটা তারা কীভাবে
করেন, লক্ষ্য করি-
তাদের উল্লিখিত হাদিসেই তাদের
জালিয়াতির জবাব আছে। আম্মিজান
আয়েশার বক্তব্যে সিদ্ধান্তমূলক যে
বাক্যটি রয়েছে, আহাফিরা সেটা
সুকৌশলে এড়িয়ে যান। বাক্যটি হচ্ছে-
ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻳﺰﻳﺪ ﻓﻰ ﺭﻣﻀﺎﻥ
ﻭﺍﻝ ﻓﻰ ﻏﻴﺮﻩ
এটি ছিল নবীজির বারো মাসের আমল।
এখন প্রশ্ন হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বারো
মাসই তারাবিহ পড়তেন?
-তারা বলবেন, 'না'।
-তাহলে কেন বলছো, এটা তারাবিহ
সংক্রান্ত হাদিস?
- তারা তখন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলবার
চেষ্টা করেন, নামাজ আট রাকাতই।
এগার মাস এটার নাম তাহাজ্জুদ আর
রমযানে তারাবিহ।
তারমানে, তারাবিহ নামে আলাদা
কোনো নামাজের অস্বিত্বই তারা
স্বীকার করতে রাজি না। এগার
মাসের তাহাজ্জুদ নামাজকে রমযানে
তারা তারাবিহ নাম দিয়ে চালিয়ে
দিতে চান। এতে করে অত্যন্ত কৌশলের
সাথে তারা দুটো কাজ করতে চান,
তা হল-
১, মুসলমানের হাতে তারাবিহ বলে
তাহাজ্জুদ ধরিয়ে দিয়ে তারাবিহ
পড়া থেকে মুসলমানকে বিরত রাখা।
২, রামাযানের মত বরকতময় মাসে
মুসলমানকে তাহাজ্জুদ থেকে বঞ্চিত
করা।
এর পরেও যদি তারা কারা এবং
তাদের উদ্দেশ্য কী, বুঝতে কারো
বাকি থাকে, তাহলে কী আর করা!
দুই
_____________
তারাবিহ কত রাকাত?
এখানে যে ব্যাপারটি মনে রাখতে
হবে সেটি হল, যে হাদিসগুলোতে
রমযানের রাতের নামাজের কথা বলা
হয়েছে, সেগুলোয় রাকাতের উল্লেখ
নাই। যেগুলোয় রাকাতের কথা আছে
সেগুলো টাইমের কথা নাই। যে
কারণে আট এবং বিশ নিয়ে
টানাটানি। আর তারাবিহ সংক্রান্ত
যতগুলো হাদিস আছে, কোনোটায়
কিয়ামুল লাইল, কোনোটায় কিয়ামু
রামাযান বলে তারাবির কথা
বুঝানো হলেও একটি মাত্র হাদিসে
তারাবিহ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আর
সেই হাদিসে বিশ রাকাতের কথা
উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। মুসনাদে
ইমাম জায়েদ, সাইয়্যিদুনা আলী
রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে
বর্ণিত হাদিস-
ﻋَﻦْ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﻋﻠﻲ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﻋَﻦْ
ﻋَﻠِﻲٍّ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻨْﻬُﻢْ ، " ﺃَﻧَّﻪُ ﺃَﻣَﺮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺑِﺎﻟﻨَّﺎﺱِ ﺻَﻠَﺎﺓَ
ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻡِ ﻓِﻲ ﺷَﻬْﺮِ
ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺃَﻥْ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺑِﻬِﻢْ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ،
ﻳُﺴَﻠِّﻢُ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ
ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ ، ﻭَﻳُﺮَﺍﻭِﺡُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﻛُﻞِّ ﺃَﺭْﺑَﻊِ ﺭَﻛْﻌَﺎﺕٍ
ﻓَﻴَﺮْﺟِﻊُ ﺫُﻭ ﺍﻟْﺤَﺎﺟَﺔِ
، ﻭَﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ، ﻭَﺃَﻥْ ﻳُﻮﺗِﺮَ ﺑِﻬِﻢْ ﻣِﻦْ ﺁﺧِﺮِ
ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺣِﻴﻦَ
ﺍﻟِﺎﻧْﺼِﺮَﺍﻑِ " .
ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ : ﻣﺴﻨﺪ ﺯﻳﺪ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ، ﺑﺎﺏ
ﺍﻟﻘﻴﺎﻡ ﻓﻰ ﺷﻬﺮ
ﺭﻣﻀﺎﻥ
হযরত আলী লোকজনকে রমযানে রাতের
নামাজ বা তারাবিহ সম্বন্ধে নির্দেশ
দিতে গিয়ে বললেন, এই নামাজ বিশ
রাকাত পড়বে, প্রতি দু’ রাকাত পরপর
সালাম ফিরাবে এবং প্রতি চার
রাকাত শেষ করে নতুন চার রাকাত শুরু
করার মধ্যেখানে বিশ্রাম নেবে...
সকল হাদিসের কিতাব সামনে নিলে
এই একটি মাত্র হাদিসই পাওয়া যায়
যেখানে তারাবিহ শব্দ ( ﻳُﺮَﺍﻭِﺡُ ) এবং
সাথে রাকাত সংখ্যাও ( ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ) বলা
আছে।
আচ্ছা বিতর্কের বাইরে বেরুনোর জন্য
ধরে নিলাম আট রাকাতের হাদিসও
আছে বিশ রাকাতের হাদিসও আছে।
এখন উপায় কী?
এখানে মৌলিকভাবে একটি কথা
মাথায় রাখতে হবে, এর আগেও বলেছি
কথাটি। কোরআন-হাদিসে থাকলেই শুধু
হয় না। জানা লাগে সেটা আমভাবে
আমলযোগ্য কিনা! সেটিই চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত কিনা! তা নাহলে,
কোরআনে তো বায়তুল মুকাদ্দাস
মুসলমানদের ক্বিবলা' বলা আছে। এখন
কি সেদিকে নামাজ পড়লে ঠিক হবে?
-না।
কেনো নয়?
-কারণ, এটা রহিত হয়ে গেছে।
হাদিস শরীফে, বরং সহিই বুখারিতে
দাঁড়িয়ে পেশাব করার হাদিস আছে।
সাধারণভাবে কি দাঁড়িয়ে পেশাব
করা যাবে?
-না।
কেনো নয়?
কারণ, সেটা বিশেষ অবস্থার সাথে
সংশ্লিষ্ট।
-কোরআনে কারীমে পরিষ্কার বলা
আছে, 'মুশরিকীনকে যেখানে পাও,
হত্যা করো। এটাই কি ইসলামের
বিধান?
-জি না।
-না কেনো?
কারণ, এই আয়াতের কার্যকারিতা
রহিত হয়ে গেছে।
__________ এমন উদাহরণের অভাব নেই।
তারমানে, কোরআন-হাদিসে কিছু
লেখা দেখলেই লাফ দিয়ে উঠলে হবে
না। সংশ্লিষ্ট অনেক কিছু যাচাই করতে
হবে। দেখতে হবে কোনটা নাসিখ
এবং কোনটি মনসুখ। কোন হাদিস
আমলযোগ্য আর কোনটি রহিত। আর এটা
জানার দুই উপায়।
১,
যদি নবীজি নিজে সমাধান দিয়ে
যান, তাহলে তো আর ঝামেলায় নাই।
২.
অথবা দেখতে হবে সাহাবায়ে
কেরাম কোনটাকে আমলে
নিয়েছিলেন।
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু তামাম সাহাবায়ে
কেরামের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত
দিয়েছেন, তারাবিহ বিশ রাকাত।
আলী রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু
জানিয়েছেন, তারাবিহ বিশ রাকাত।
এরপরে যারা আটের গান গাইবে,
তাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ঘোষণা
আসা দরকার আমরা উমর-আলীর কথা বিশ্বাস করি না! বিশ্বনবীর
নির্দেশনা, 'আমার পরে আমার এবং
আবুবকর, উমর, উসমান, আলীর সিদ্ধান্ত মেনে নিও'- নবীর এই কথা আমরা মানি না।

তিন আট রাকাতকে তারাবিই বলা যাবে না বাংলা উচ্চারণে আমরা তারাবিহ
বলি। শব্দটি আসলে তারাউয়ীহ।
তারাউয়ীহ তারউয়িহাতুন শব্দের বহূবচন।
তারউয়িহাতুন অর্থ বিশ্রাম।
তারাউয়ীহ মানে বিশ্রামসমূহ।
বাংলা বচন দুই প্রকার, একবচন, বহূবচন।
ইংরেজিতেও দুই প্রকার, সিঙ্গুলার
প্লুরাল। কিন্তু আরবিতে বচন মোট

তিন.
প্রকার। ওয়াহিদ তাসনিয়া, জমা, একবচন দুইবচন এবং বহুবচন। বাচনিক ব্যাখ্যার কারণ হল এই,
তারাবিহকে তারাবিহ বলা হয় কারণ,
এই নামাজ বিশ্রাম করে করে পড়া
লাগে। প্রতি চার রাকাত পরপর
বিশ্রাম নিয়ে দোয়া পড়া হয়। একটি
বিশ্রাম হলে সেটাকে আরবিতে বলা
যাবে তারউয়িহাতুন, দুই বিশ্রামকে
তারউয়ীহাতান এবং কমপক্ষে তিনটি
বিশ্রাম নেয়া হলে তবেই তাকে
তারাবিহ বলা যাবে।
এখন কেউ যদি বলে তারাবিহ চার
রাকাত, তাহলে সে তারাবিহ অর্থই
বুঝেনি কারণ, সেটার নাম তখন হবে
তারউহাতুন। কেউ যদি বলে তারাবিহ
আট রাকাত, তাহলে সেটাকে
তারাবিহ না বলে বলতে হবে
তারউয়িহাতান। কেউ যদি বলে বারো
রাকাত, তাহলেও সেটাও তারাবিহ
হবে না। ব্যাকরণিক-ভাবে তিন
বিশ্রাম অর্থে বারো রাকাতে
তারাবিহ শব্দের প্রয়োগ শুদ্ধ হলেও
সেটাকেও মূলত তারাবিহ বলা যাবে
না, কারণ-
তারাবিকে তারাবিহ বলতে হলে
কমপক্ষে চারটি বিশ্রাম নেওয়া
লাগবে। আলী রাযিআল্লাহু তা’আলা
বর্ণিত হাদিসে লক্ষ্য করে থাকবেন
বাক্যটি হচ্ছে-
ﻭَﻳُﺮَﺍﻭِﺡُ ﻣَﺎﺑَﻴْﻦَ ﻛُﻞِّ ﺃَﺭْﺑَﻊِ ﺭَﻛْﻌَﺎﺕٍ
মানে, দু’টি চার রাকাতের
মধ্যেখানের বিশ্রামকে তারউয়িহা
বলা হয়। এই অর্থে কম করে হলেও ১৬
রাকাত না হলে সেখানটায়
তারাবিহ শব্দের প্রযোগই সঠিক হয় না।
অতএব, তারাবিহ আট রাকাত বলার
কোনো চান্সই নাই।
চার
পঞ্চম মাজহাবিদের পাঁচ কাজ
আসলে আহাফিরা যতই নবীর হাদিস
নবীর হাদিস বলুক, আমলের ক্ষেত্রে
দেখা যায় রাসূলের হাদিসের যে
অংশ তাদের কাছে পছন্দের মনেহয়,
সেটুকু রাসূল থেকে নেয়, বাকি যেটুকু
যেখান থেকে নিলে সুবিধা সেখান
থেকেই নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে
তারা তাদের পঞ্চম মাজহাব দাঁড়
করিয়ে দেয়।
তারাবিকেন্দ্রিক পাঁচটি কাজ করেন
তারা।
১. আট রাকাত তারাবিহ পড়েন।
২. পুরো রমযান পড়েন।
৩. তারাবিতে কোরআনে কারীম খতম
করেন।
৪. জামাতের সাথে আদায় করেন।
৫. মসজিদে আদায় করেন।
তাদেরকে আমরা বলি, তোমরা
তোমাদের এই পাঁচটি কাজের পক্ষে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম থেকে, একটি হাদিস
উপস্থাপন করো। তোমরা তো সহিহ
হাদিস সহিই হাদিস বলে জিকির
করো। আমরা তোমাদের সহজ সুযোগ দেই।
শত শত হাদিসের কিতাব থেকে
একটা জয়ীফ হাদিসই দেখাও। আচ্ছা একটি জাল হাদিসই দেখিয়ে দাও।
যদি দেখাতে পারো, খোদার কসম,
আমি আহলে হাদিস হয়ে যাব। বাকি
জীবন আট রাকাত তারাবির প্রতিষ্ঠার পক্ষে জান কোরবান করে দেব। হায় কায়ি মরদ?

আহাফি, পৃষ্ঠা-১৬৬ (আংশিক পরিমার্জিত)

শেয়ার করুন