Monday, May 29, 2017

কিছু তাবলীগ বিরুদ্ধী শিয়াল কুকুরের মত গৈউ গৈউ কারীদের প্রশ্নের জবাব।

তাবলীগ ওয়ালারা কি দেশ-বিদেশে পিকনিক করে বেড়ায় . .!?

কতবড় জাহলতপূর্ণ কথা এটাকে বলা যেতে পারে !? দীন এর কাজে সফর করাকে পিকনিক এর সাথে তুলনা !?

নবীজিও তো বিভিন্ন সময় এর জন্য সাহাবীদের বিভিন্ন জামাতকে আরবের বিভিন্ন গোত্রের নিকট দীনি দাওয়াত ও ইলম শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রেরণ করতেন !!

যেমন -

কাররা, সিরিয়া ও ইয়ামেনের প্রদেশে বিভিন্ন এলাকায় এবং আবদে কায়স ও বনু হারিছ গোতের মুমিন-মুসলমানদের কাছেই দাওয়াত ও তালিমের জন্যই অনেক জামাত পাঠিয়েছেন।(বুখারী বাবে তাহরীয)

কায়স ইবনে আসিমের (রা:) আমীরত্বে তামীমের বিভিন্ন মুসলিম গ্রত্রেই দাওয়াতের উদ্দেশ্যে ৯ম হিজরী/৬৩১ খ্রি: ১২ জনের এক জামায়াত বের হয়েছিল।(আল-ইসতিয়াব, খন্ড.২ পৃ: ৩০৫)

হযরত আযিম বিন ওমর (র:)থেকে বর্নিত হচ্ছে: নবী কারিম (স:)আমল ও কাররা গোত্রের মুসলমানদের কাছে ৬জনের একটি জামায়াত পাঠিয়েছিলেন।(বুখারী, ফাতহুল ক্বদীর, আযআলাতুল খাফা)

হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু ইয়ামানে ৮ জনের জামাত নিয়ে ১০ম হিজরী মুতাবিক ৬৩১খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বরে ৪মাসের জন্য প্রেরিত হন। আরো বিস্তারিত দেখুন, (তাবারীর ৩য় খণ্ডে, ১৩১-১৩২পৃষ্ঠায় ও বুখারীর ৬২৩ পৃষ্ঠায়)

এছাড়া -

#'ইয়ামেন প্রদেশে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ (রা:) কে পাঠানো হয় !

#'হযরত কা'ব রাযিয়াল্লাহু আনহু ৮ম হিজরীর রবিউল আউয়াল মুতাবিক ৬২৯খৃষ্টাব্দের জুলাই মাসে ১৫ জনের জামাত নিয়ে 'যাতুল আতলাহ নামক স্থানে তাবলীগ করে কুযাযাহ গোত্র থেকে দু'জামাত প্রায় তাশকীল করেন,

#'হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রাযিয়াল্লাহু আনহু ১০ম হিজরীর রবিউল আউয়াল মাস মুতাবিক ৬৩১খৃষ্টাব্দের জুন মাসে ৪০০ জনের বিরাট জামাতসহ নাজরান এলাকায় তাবলীগ করে বনু আ.মাদান-বনু হারিস বংশের বহু মানুষকে নগদ উসূল করে আনেন। এ সফর ছিলো ৬মাসব্যাপী।

#'হযরত আবু কাতাদাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু ৮ম হিজরীর শা'বান মাস মুতাবিক ৬২৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বরে ১৫ জনের এক জামাত নিয়ে খাজিরাহ আলগাবাহ এলাকায় তাবলীগ করে গাতফান বংশের অধিকাংশ জনগণের এক বিরাট জামাত তাশকীল করে মদীনায় নিয়ে আসেন ! . . প্রভৃতি !

যারা তাবলীগ এর সফর কে পিকনিক এর সাথে তুলনা দিয়ে ঠাট্টা করেন তারা হয়তো দাওয়াত এর জন্য সাহাবীদের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেরণের ঘটনা জীবনেও কোনদিন শুনেনওনি ! শুনলে বা জানা থাকলে হয়তো 'পিকনিকও তত্ত্ব' নামক মূর্খতা ও জাহলতপূর্ণ রশিকতা করতেন না !

আর সেই একই নবীওয়ালা মেহনতের আদলে তাবলীগ জামাতকে কাজ করতে দেখেও বিদআত ভাবার স্পর্ধা দেখাতেন না ! এই জন্যই না জেনে কথা বলতে নেই ! আর কাউকে হক-বাতিল সাব্যস্ত করতে যাওয়াতো আরও বড় অপরাধ !

আর সাহাবীরা কি সেই সময় সফরে গিয়ে রান্না বন্ধ রাখতেন !?
না মদীনায় ফিরে আসা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতেন !!??

জীবন ধারণের জন্য রান্না করা যদি পিকনিক মনে করেন . ! তাহলেকি সাহাবীরাও সে সময় পিকনিক করেছে বলে মনে করেন ..??!!

খাওয়া-দাওয়া মানেই যদি পিকনিক হয় তাহলে বাসায় কি আপনারাও ৩ বেলা পিকনিক করেন ??


শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!