দুনিয়াতে ৬টি আজাব হলো
১। বেনামাজীর হায়াত কমে যাবে।
২। বেনামাজীর জীবনে বরকত হবে না।
৩। বেনামাজীর চেহারার সৌন্দর্য্য থাকবে না।
৪। বেনামাজীর কোন দোয়া কবুল হবে না।
৫। বেনামাজীর সব নেকী বরবাদ হবে।
৬। বেনামাজীর নিকট হতে সব রহমতের ফেরেশতা চলে যাবে এবং এক সময় ইসলাম হতে খারিজ হয়ে যাবে।
মৃত্যুর সময় ৩টি আজাব হলো
১। বেনামাজী মরবার সময় অপমানিত,লাঞ্চিত ও শিদ্দাত (অতিকষ্ট) দিয়ে জান বের করা হবে।
২। বেনামাজী ক্ষুধার্ত অবস্থায় মরবে।
৩। বেনামাজীর মৃত্যুর সময় এত পিপাসা হবে যে,মনে চাইবে ৭ দরিয়ার পানিও যদি মুখে ঢেলে দেয় তবুও বুঝি পিপাসা মিটবে না।
কবরের মধ্যে ৩টি আজাব হলো
১। বেনামাজীর কবর চেপে আসবে তাকে পিষতে থাকবে।এতে তার এক পাজরের হাড়েঁর সাথে অপর পাঁজর মিশে যাবে।
২। বেনামাজীর কবরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলবে।
৩। বেনামাজীর কবরে বিরাট বিরাট সাপ এসে ভরে যাবে এবং এক ফেরেশতা আসবে জোরে জোরে গুর্জ মারতে থাকবে।
হাশরের মাঠে তিনটি আজাব হলো
১। বেনামাজীকে আল্লাহ পাক গজবের সাথে ডাকবেন এবং বিরাট এক সাপ এসে তাকে খোঁজ করতে থাকবে।
২। ত্রিশ হাজার বৎসরের পুলছেরাতের রাস্তা হিরার চেয়ে ধারাল,চুলের চেয়ে চিকন,আমাবশ্যার রাত্রের চেয়ে অন্ধকার,বেনামাজী যখন সেই পুলের উপরে পা রাখবে সঙ্গে সঙ্গে পা কেটে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
৩। বেনামাজীর জন্য ওয়াইল নামক দোজখ ঠিক করে রেখেছেন,ফেরেশতা কেয়ামতের দিন দোজখে ফেলে দিন ৭০ গজ জিঞ্জিরে বাঁধিয়া অনেক আজাব দিবেন।
দুনিয়ার বেনামাজী বাদশাহকে বলা হবে কেন নামাজ পড় নাই।সে বলবে ব্যস্ততার জন্য সময় পাইনি।বলা হবে,সোলায়মান (আঃ) সারা বিশ্বের রাজত্ব পেয়েও কোন দিন নামাজ ত্যাগ করেনি,তুমি মিথ্যা ওজর করছো!
হে ফেরেশতারা..............ওকে জাহান্নামে নিয়ে যাও।
রোগী বলবে,রোগের জ্বালায় নামাজ পড়তে পারিনি।বলা হবে,আইয়ুব (আঃ) কে ১৮ বৎসর পোকায় খেয়েছে তবুও সে নামায ছাড়েনি। মিথ্যাবাদীকে জাহান্নামে ফেলে দাও।
আর একজনে বলবে সন্তান অনেক ছিল তাদের সেবায় ব্যস্ত ছিলাম,বলা হবে ইয়াকুব (আঃ) এর ছেলে মেয়ে তোমার চেয়েও বেশি ছিল।ইউসুফের জন্য কাঁদতে কাদঁতে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল,তবু নামাজ ছাড়েনি।মিথ্যাবাদীকে জাহান্নামে নাও।
বেনামাজী স্ত্রী লোককে হাজির করা হবে।সে বলবে স্বামীর কাজের চাপে তার ভয়ে নামাজ পড়তে পারিনি।বলা হবে ফেরাউনের বিবি আছিয়ার স্বামী বড়জালিম না তোমার স্বামী বড় জালিম? জালিমের বিবি হয়েও আছিয়া নামায ছাড়েনি।তুমি মিথ্যা ওজর করছ,হে ফেরেশতারা ওকে জাহান্নাম নিক্ষেপ করো।
আমার নবী (সাঃ) বলেন,বেনামাজীর দুই হাত জিঞ্জির দ্বারা বাধাঁ হবে।অতঃপর ফেরেশতাগণ তার মুখমন্ডলে ও পৃষ্ঠে আঘাত মারতে থাকবে।তখন বেহেশত তাহাকে ডেকে বলবে,ওহে আল্লাহর শত্রু! আমার সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নাই।আমিও তোমার নই এবং তুমি আমার নও,তখন দোজখ তাহাকে ডেকে বলবে।আসো!আসো!আমার কাছে আসো!আমি তোমার তুমি আমার।
হাদীসে আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন,জাহান্নামে লমলম নামে একটি জায়গা আছে দেখতে উটের গর্দ্দানের মত দেখায় এবং এক মাসের পথের ন্যায় দীর্ঘ্য,ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সাপ দ্বারা ঐ জায়গাটা পরিপূর্ণ,সেখানে বেনামাজীদেরকে ফেলে দেয়া হবে।
লক্ষ লক্ষ ভয়ঙ্কর সাপ গুলি বেনামাজীদেরকে প্যাঁচ দিয়ে ধরে মনের আনন্দে দংশন করতে থাকবে।ভাই ও বোনেরা আমার!আল্লাহ পাকের কাছে পানাহ চান।
অন্য এক হাদীসে হুজুরে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,দোজখের মধ্যে জুব্বুল হুযুন নামে বিরাট আকারের একটি ময়দান আছে,উহা শুধু বিচ্ছু দ্বারা পরিপূর্ণ।এক একটি বিচ্ছু খচ্চরের মত উঁচু ও মোটা।বেনামাজীদেরকে দংশন করার জন্যই ওদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ فَإِذَا اطْمَأْنَنْتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا
অতঃপর যখন তোমরা সালাত পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো,বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করবে।অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে, নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।
সূরা আন নিসা (১০৩)
বিঃদ্রঃ আল্লাহ মাদের ক্ষমা করুন এবং সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। নামায পড়তে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে!আসুন আমরা সকলেই পাঁচ ওয়াক্ত নামায ওয়াক্ত মতো পড়ার জন্য চেষ্টা করি!!মনে রাখবেন..... হাদীসে পাকে এসেছে
اول ما يحاسب به العبد يوم القيامه الصلاه
কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
সব সময় ঈমানের সাথে থাকুন,ভাল লাগলে শেয়ার করুণ,আপনাদের সকলের কল্যান কামনা করছি॥
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!