Friday, November 29, 2019

যেভাবে গ্রেফতার হলেন মাও.আজিজুল হক হাফি

মাদ্রাসায় কক্সবাজারের হুজুর বলে পরিচিত৷
সকলের প্রিয় মূখ কক্সবাজারের হুজুর৷
ছাত্রদের দুঃখ-কষ্টে ছিলেন অভিভাবকতূল্য৷
পরামর্শের ক্ষেত্রে ছিলেন একজন মুখলিছ পিতা৷
তার হাতেগড়া ছাত্ররা দেশবিদেশে আশাতীত সু-নাম সু-খ্যাতি অর্জন করেছে৷
মারকাযুদ দাওয়াহসহ দেশের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার ছাত্ররা মেধা তালিকা অর্জন করে আসছে৷
দেশের বাহিরে দেওবন্দ,নিউটনসহ উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশের সুনাম কেড়ে নিয়েছে৷
তাই ঐসকল প্রতিষ্ঠানগুলাও তাঁকে স্মরণ করে৷
তাঁর জীবনের শেষ আশা ছিল যদি কখনও অবসরে যায় লেখালেখির জগতে অবদান রাখবো৷
কিন্তু....,,,.
তার কলম ছিল খুব ধারালো
যা তার লিখিত প্রথম গ্রন্থ "নবমুসলিমদের ঈমান জাগারনী সাক্ষাৎকার"পড়লে নিমিষেই আপনি অশ্রুসিক্ত হবেন৷
তিনি জামেয়া মাদানীয়া সিলোনিয়া মাদ্রাসায় 
ইখলাসের এতো অবদান রেখেছেন যে,অল্প সময়ে অত্র প্রতিষ্ঠান চট্রগ্রাম বিভাগের ইত্তেহাদ বোর্ডে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অর্জন করেছে৷
আজ তাঁর অনুপস্থিতিতে ছাত্ররা হাহাকার কাঁদছে৷
কে থামাবে তাদের!!
সান্ত্বনা কে দিবে তাদের!!
অত্র গ্রামের সন্তান আতিকুল্লাহ সাহেবরা তো এর আগেই গুম৷
আতিকুল্লাহ সাহেবের বিষয়ে মুরুব্বীদের ভূমিকা ছাত্রদের কাছে ক্লিয়ার৷
তাই ভাবছে
না জানি এবারও
আজিজুল হক হাফি.এর সাথে এমন আচারন করা হবে!!
..
এবার শুনি
কীভাবে নেওয়া হলো তাকে?
..,,
মাদ্রাসা থেকে বাসা ২মিনিটের পথ
মাদ্রাসায় এশার পূর্বে ছদ্মবেশে দুই ভদ্রলোক এসে
ছাত্রদেরকে বলল
আমাদের একটা ছেলে ভর্তি করাবো
শিক্ষা সচিব কোথায়?
ছাত্ররা বলল
তিনি তো বাসায় চলে গেছেন৷
পরে তারাও চলে গেলো৷
এদিকে নিয়মিত গেইট পাহারায় থাকা ছাত্ররা দেখল 
মাদ্রাসার সামনে হয়ে র্যাবের একটা কালো গাড়ি হুজুরের যাচ্ছে৷
ছাত্ররা ফলো করলো৷
দেখলো গাড়িটি হুজুরের বাসার সামনে থামলো৷
র্যাবরা বসায় ডুকে গেলো
এদিকেএশার নামাজের সময় প্রায় কাছাকাছি
ছাত্ররা দৌড়ে মুহতামীম(মুহাদ্দীস)সাহেব হুজুরকে বলল
হুজুর মসজিদে ছাত্রদেরকে নিয়ে দোয়া শুরু করলেন
ছাত্রদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে গেলো৷
কেউ কখনও কল্পনাও করতে পারেনি
হুজুর এভাবে আমাদের থেকে হারিয়ে যাবেন!!
কিছুক্ষন পর গাড়িটি মাদ্রাসার সামনে দিয়ে হুজুরকে নিয়ে চলে গেলো৷
ছাত্ররা অসহায়েত্বের চোখে তাকিয়ে রইল৷
..
পরে জানা যায়
র্যাব বাসায় গিয়ে হুজুরের ফ্যামিলিকে বের করে দেয়৷
তারপর সমস্ত রুম তল্লাশী চালায়৷
কিছু না পেয়ে কিছু বই ও ল্যাফটফসহ হুজুরকে তুলে নিয়ে যায়৷
পরে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে স্থানীয় এমপির মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও
আজও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি৷
দু'আ চাই
আল্লাহ যেন হুজুরকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রেখে
আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিক৷
আমীন৷

শেয়ার করুন

0 Comments:

একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!