★তাবলীগে যাওয়ার আগে কাউকে সালাম দিতনা,তাবলীগ থেকে এসে কারো সাথে দেখা হলে দুর থেকে সালাম দেয়
★তাবলীগে যাওয়ার আগে ভাবত ব্যাবসা, চাকরি আমাকে খাওয়াই,তাবলিগ থেকে এসে ভাবে, না সবকিছু আল্লাহ করে।মাখলুখ কিছুই করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ছাড়া, মহান আল্লাহ সব করতে পারেন মাখলুখ ছাড়া।এভাবেই ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পায়
★তাবলীগে যাওয়ার আগে কারো সাথে দেখা হলে বড়কে সম্মান ও ছোটকে স্নেহ করতনা গালিগালাজ করত,,তাবলীগ থেকে এসে কারো সাথে দেখা হলে বড়কে সম্মান ও ছোট স্নেহ করে গালির পরিবর্তে হাসি মুখে কথা বলে।
★তাবলীগে যাওয়ার আগে মানুষকে অসৎ পথে ডাকত,তাবলীগ থেকে এসে মানুষকে সত্যের দিকে ডাকে। আল্লাহ বলেন-- আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মেরপ্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।(আল ইমরান-১০৪)
★তাবলীগে যাওয়ার আগে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তনা,তাবলীগ থেকে এসে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতে পড়ে এবং যারানা পড়ে তাদেরকে পড়ার জন্য ডাকে।
★তাবলীগে যাওয়ার আগে সুদ, ঘুষ ও হারাম খাইত,তাবলীগ থেকে এসে সুদ,ঘুষ এবং হারাম থেকে বাঁচিয়ে থাকে হালাল ছাড়া খায়না, হালাল জুটলে খায় হালাল না পেলে উপাস থাকে।হালাল রুজির অন্বেষণ করার চেষ্টা করে।
★তাবলীগে যাওয়ার আগে যারা মাদকের নেশা করত,তাবলীগ থেকে এসে মসজিদে যায় দ্বীনি জিকিরে ফিকিরে সময় কাটায়
★তাবলীগে যাওয়ার আগে যাত্রায় গানে যাইত গান গাইত গান শুনত,তাবলীগ থেকে এসে আর যাত্রা গানে যায় না গান শুনলে কানে আঙ্গুল ডুকিয়ে দেয় যাতে গানের আওয়াজ শুনা না যায়, কোরআন তেলাওত করে সময় কাটায়।
★তাবলীগে যাওয়ার আগে লোভ হিংসা গিবত করত,তাবলীগ থেকে এসে লোভ হিংসা গিবত এর ক্ষতি থেকে নিজে বাঁচতে চেষ্টা করে।
★তাবলীগে যাওয়ার আগে স্বামী স্ত্রীর মিল মহব্বত ছিলনা এবং জগড়া করত,তাবলীগ থেকে এসে দেখা যায় আর জগড়া নেই আপোসে মিল মহব্বত পয়দা হয়েছে শান্তি আর শান্তি
★তাবলীগে যাওয়ার আগে হাসি তামাসায় লিপ্ত থাকত,তাবলীগ থেকে এসে হাসি তামাসা না করে নিরব থাকে আর আর নিরবই ইবাদত মনে করে
★তাবলীগে যাওয়ার আগে ঘরে বসে পরিবার নিয়ে দলবেধে টেলিভিশন দেখত,তাবলীগ থেকে চিল্লা দেওয়ার পর টেলিভিশন বিক্রি করে ঘরের ভিতরঈমান ও আমলের তালিম হয়
★যেসব যুবক ইভটিজিং,চুরি, ছিনতাই এর নেতৃত্ব দিত তারাই তাবলিগ থেকে এসে অন্য যুবকদের হেদায়াতের পথে আহ্বান করে।
★যারা ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো যেমন--ঈমান,নামাজ ,রোজা, হজ্জ,যাকাত সম্পর্কে কিছুই জানত না বা জানলেও অল,তারা তাবলিগে গিয়ে এসব বিষয়ে নিজে শিক্ষা করে এবং অন্যদের দাওয়াত দেয়।
★যারা নিজের ইচ্ছামত জীবন চালাত তারা তাবলিগ থেকে এসে পরিপূর্ণ ইসলামের আইন অনুযায়ী কুরআন ও রাসূল (সা:) মত জীবন পরিচালনা করেন
★যারা কুরআন শিখেনি তারা তাবলিগ থেকে এসে কুরআন শরীফ পড়া শিখে।
★৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যা কিছু লাগে যেমন-- সূরা,দোয়া,ওযু,গোসল, পাক-পবিত্রতা সব তাবলিগ শেখানো হয় এবং মানুষ তাবলিগ থেকে এসে অন্যকে শেখায়।
★ তাবলীগে যাওয়ার আগে সুন্নতকে উপহাস করত,তাবলীগ থেকে এসে সুন্নত এমন ভাবে আকড়ে ধরেছে মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি, গায়ে পাঞ্জাবী, হাতে তাছবীহ ও মিছওয়াক দেখলে মনে হয় খাটিএকজন আল্লাহর বান্দা /মুমিন।(সামান্য কয়েকটি বললাম,লেখতে গেলে আজ রাত পোহাবে।বাকিগুলো নিজে ৩ দিনের জন্য আল্লাহর রাস্তায় গেলেই বুঝতে পারবেন। আমি বললাম, রসগোল্লা খুব মিষ্টি।আসলেই কি মিষ্টি কিনা আপনি আপনার সারা শরীরে মাখলে তার স্বাদ পাবেন না যতক্ষণ না জিহ্বায় রসগোল্লা রাখবেন।তেমনি তাবলিগে সময় না দিলে আপনি ও বুঝবেন না।),
হে আল্লাহ সারা বিশ্বের সকল মুসলমান এবং অন্য ধর্মের সকলকে আপনি হেদায়াত দান করুন।আমিন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!