বিলম্ব না করে রমজানের পূর্বেই গ্রিক মূর্তি অপসারণ করার আহবান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব, এশিয়া মহাদেশের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমে দ্বীন ও চট্টগ্রাম দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন নবী-রাসূলগণের আগমন হয়েছে মূর্তি বিনষ্ট করে মহান আল্লাহর একত্ববাদের প্রচার প্রতিষ্ঠার জন্য। মূর্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন না কোনো নবী-রাসূলগণ। মহানবী সা. শিরকী-কুফরী পৌত্তলিক মতবাদের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে মানুষকে যে তাওহীদ রেসালত ও ঈমানের শিক্ষা দিয়েছেন, সেই শিক্ষা থেকে জাতিকে বিচ্যুত করার জন্য নাস্তিক্যবাদী ও পৌত্তলিকবাদী অপশক্তি বহুমুখী চক্রান্তে মেতে উঠেছে।
আজ বুধবার (৩ মে) সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ, বাংলাদেশের সাংস্কৃতি হলো ইসলাম। তাই সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি ̄স্থাপন শুদ্ধ সাংস্কৃতির চর্চা হতে পারেনা।
এই গ্রিক দেবী দেশীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির সাথেও কোনো মিল নেই। তাই কোনো দেবী-মূর্তি ভাস্কর্যের নামে মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে ̄স্থান পেতে পারে না।
এই গ্রিক দেবী দেশীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির সাথেও কোনো মিল নেই। তাই কোনো দেবী-মূর্তি ভাস্কর্যের নামে মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে ̄স্থান পেতে পারে না।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আমাদের অবস্থান সাংস্কৃতি চর্চা ও ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে নয়, তবে সাংস্কৃতি চর্চা ও ভাস্কর্যের ভাস্কর্যের নামে মূর্তি পূজার সয়লাবের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতি চর্চার স্থাপতি হতে হবে শুধু নান্দানিক উদ্দেশ্য সাধন ও সৌন্দর্য বর্ধনে। সেখানে পূজার কোনো মনোভাব থাকতে পারেনা। কিছু জ্ঞানপাপী রাম-বাম তাদের পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ̈মূর্তি ও ভাস্কর্যের ভুল সংজ্ঞা দিয়ে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে।
মূর্তি না সরিয়ে দুই ঈদের নামাযের সময় দেবী মূর্তি ঢেকে রাখা বা বিকল্প ব্যাবস্থার গুঞ্জন উল্লেখ করে বাবুনগরী বলেন, এটা একটা হাস্যকর বিষয়। মূর্তি ঢেকে রাখা, খোলা রাখা সমান। সামনে রমজান মাস আসছে, যে মাসে মুসলমানরা দিবারাত্রী ইবাদতে মশগুল থাকবে। যে মাস মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিকটেও পূতঃপবিত্র। তাই আমাদের দাবী মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে গড়িমসি না করে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী মূর্তি সরিয়ে ফেলুন। ন্যায়বিচারের প্রতীক আল-কুরআনের প্রতিকৃতি স্থাপন করুন। যেহেতু মূর্তি বসানো হয়েছে কিছু বিচারপতিদের ̄স্ব-ইচ্ছায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া। তাই মূর্তি সরানোর আন্দোলন কখনো আদালতের অবমাননার শামিল হতে পারে না। আমাদের আশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদেশের লক্ষ-কোটি তৌহিদী জনতার মনের ভাষা বুঝবেন এবং কৃত ওয়াদা অনুযায়ী গ্রিক দেবী মূর্তি সরিয়ে এদেশের মানুষের অন্তরকে শান্ত করবেন।
0 Comments:
একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপেরনা যাগাই!