একটি ঘটনা নিয়ে আমি অধ্যায় শুরু করতে চাই ঘটনাটি বেশ কিছু দিন আগের, একদিন আমি দেওয়ানহাটের মোড় থেকে আন্দরকিল্লা যাওয়ার
জন্য বাসের অপেক্ষা করেছিলাম এমন সময় রাস্তার পূর্বদিকের মোড় থেকে এক নারীর কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলাম, চিৎকার শোনে আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম মডার্ণ এক মেয়েকে কিছু যুবক গাড়িতে উঠাতে চাচ্ছে | লোকজন এসে যাওয়ার কারণে মেয়েটি নিয়ে ওরা পালাতে পারেনি৷
একজন মধ্যবয়সী লোক মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল, তোমার এ অবস্থা কেনঃ মেয়েটি অনেকক্ষণ পরে বলল, যে ছেলেটি আমাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল ৷ যা এক সময় খারাপের দিকে
অগ্রসর হল, ঘটনাক্রমে আমার মা-বাবা ব্যাপারটি জানার পর ছেলেটিকে
নিষেধ করে দিয়েছে আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে।
তারপর থেকে ছেলেটা আমাকে বিরক্ত করে ৷ এ কথা বলে মেয়েটি কেঁদে ফেলে ৷ আমার খুব
খারাপ লেগেছে ঘটনাটি দেখে! সাথে আর একটি ঘটনা পাঠক/পাঠিকার
সামনে তুলে ধরছি ৩০/০৪/০৫ রাত্রে আমি এস, আলম চেয়ারকোচে করে
সকাল ৭টার সময় ঢাকার শাহবাগ মোড়ে গিয়ে নামলাম সেখান থেকে
কাকরাইল মসজিদে যাওয়ার জন্য রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে পায়ে হেটে
রওয়ানা দিলাম ! পার্কের এক পার্থে হঠাৎ এক গাছের তলায় নজর পড়ল,
তাতে দেখলাম এক যুবতী মেয়েকে এক ছেলে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমা
খাচ্ছে ৷ আমার মত শত শত পথচারী এ দৃশ্য দেখছে ৷ এই হল আমাদের
সমাজের বেপর্দাঁ কিছু কিছু নারীদের অবস্থা ৷
তাই আমি রলতে চাই, নারীসমাজ আজ কেন দিকে
এগুচ্ছে? কেন তারা আজ বাজারে পণ্য হয়েছে কেন তারা আজ খেলনার
বস্তুতে পরিণত হয়েছেঃ কেন তাদের আজ সম্মান নেই? ভাবতে পারি না,
কেন তারা আজ ধর্ষিতা হচ্ছেঃ কেন তারা খুন হচ্ছে? এ সকল প্রশ্ন আমাদের
সকলের ৷ এসবের মূল কারণ হল, স্কুল-কলেজে বেপর্দায় যে ছবক তারা
পাচ্ছে, সেই ছবক তাদেরকে ধীরে ধীরে অন্ধকারের দিকে অগ্রসর হওয়ার
পথ দেখাচ্ছে ৷ স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা একই সাথে লেখাপড়া করে
একই ক্লাসে ৷ তাদের মধ্যে নেই কোন শরীয়তের বিধান রাস্তায় চলে
পর্দাহীনভাবে তাদের এ চালচলন দেখে একশ্রেণীর নারীলোভী তাদেরকে
শিকার করার ধান্ধা করে ৷ এই সূত্র থেকে শুরু হয় এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ,
খুন, অপহরণ ইত্যাদি ৷
এসবের কারণ কি? কারণ হলো, এ সমস্ত মেয়েরা ইসলামী অনুশাসন
তথা পর্দার হুকুম মেনে চলছে না ৷ বরং ইসলামী জীবন ব্যবস্থা ত্যাগ করে
পাশ্চাত্যের নাংরা মেয়েদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চেষ্টা করছে
এবং তারা দিন দিন টিভি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পশ্চাত্য কৃষ্টি-কালচারের
দিকে প্রভাবিত হচ্ছে এবং ইসলামী কৃষ্টি কালচারের কথা ভুলে যাচ্ছে৷ যার
কারণে এ রকম ঘ্টনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে ৷ অথচ যদি তারা পর্দা
করতো, তাহলে এ ধরনের ঘটনা আদৌ ঘটতো না ৷
ইতিহাস খুলে দেখুন, আজ থেকে পনের শত বৎসর পূর্বে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায়, এসিড মারা তো দূরে কথা, সে
সময় পুরুষেরা মহিলাদের দিকে তাকিয়েও দেখেনি ৷ তার কারণ, সে সময়
মা-বোনেরা আল্লাহর আইন তথা পর্দার হুকুম মেনে চলতো ৷ আর বর্তমান
অবস্থা এ রকম হয়েছে যে, পোশাক যত শর্ট এবং পাতলা পরিধান করা যায়,
তাতেই যেন আপামণিদের ফ্যাশন সুন্দর হয় ! বর্তমানে মেয়েদের
সেলােয়ার-পায়জামায় এমন স্টাইল চালু হয়েছে, যাতে সেলােয়ারের নীচ
থেকে হাঁটু পর্যন্ত কাটা থাকে, যাতে মেয়েদের পায়ের কমনীয়তা পুরুষদের
দৃষ্টিতে আরো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠে এবং গায়ের জামাগুলোর অবস্থাও এমন
যে, যা পরিধান করলে প্রায় পুরো শরীরটাই দেখা যায়৷ এখন যদি তারা এ
রকম পোশাকে রাস্তা-ঘাটে বের হয়, তাহলে তো ধর্ষিতা হবেই, এসিড দিয়ে
পুড়ে ছারখার হবেই ৷ আর এটাতো স্বাভাবিকও বটে ৷ কারণ, মেয়েরা হলো
চুম্বকের ন্যায়, আর পুরুষেরা হলো লোহার ন্যায় | আর চুম্বক যখন রাস্তা
ঘাটে চলাফেরা করবে, তখন তো লোহা লাফ দিয়ে ধরবেই ৷ এটাই স্বাভাবিক ৷
আরেকটা কথা যেমন ধরুন, গুড়ের ডিব্বা খুললে মাছি আসবেই,
এতে মাছির কোন দোষ নেই ৷ তাই গুড়ের ডিব্বার মত যদি মেয়েরা পর্দা
ছাড়া চলাফেরা করে, তাহলে অবশ্যই পুরুষেরা ধরবে ৷ এ পর্যায়ে পুরুষের
দোষ কম হবে ৷ তাই আমি আপামণিদেরকে বলছি, গুড়ের ডিব্বার মত
খোলামেলা থাকবেন না ৷ তা না হলে কিন্তু বখাটে ছেলেদের খপ্পরে পড়ে
যাবেন, তখন মান সম্মান সব হারিয়ে যাবে ৷
বর্তমান অস্থিতিশীল সমাজে উঠতি বয়সের যুবকেরা মেয়েদেরকে
কারণে অকারণে পথে ঘাটে ডিসটার্ত করে থাকে ৷ কিন্তু পর্দা পরিহিত
থাকলে নারীকে চিনার উপায় থাকে না, আর সমস্যারও আশংকা থাকে না৷
এটাতো খুব সহজ ও সাধারণ কথা যে কোন আবৃত তথা ঢেকে রাখা জিনিস
ক্ষতির আশংকামুক্ত থাকে |
যে কোন ভাল খাবার টেবিলের উপর রেখে উপরে ঢাকনা না দিলে তার
উপর মশা মাছিসহ বিভিন্ন রকম পোকা মাকড় বসে তা নষ্ট করার আশংকা
থাকে ৷ ঠিক তেমনি মহিলারা বেপর্দা খোলা মেলা চলা ফেরা করলে দুষ্ট
লোকের কনজরের ক্ষতির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ৷
মানুষ সুন্দরের পাগল ৷ কিন্তু প্রকৃত সৌন্দর্য কোথায়, কিসের মাঝে,
তা তারা খুঁজে পেতে চায় না ৷ আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করেছেন অন্যান্য
জীব-জন্তু থেকে আলাদা করে ৷ অন্যান্য জীব জন্তুর গায়ে পশম দিয়েছেন,
যা তাদের পোশাক হিসেবে বিবেচিত ৷ কিন্তু মানুষ সৃষ্টি করেছেন তা থেকে
ভিন্ন রকম ৷ জীব জন্ভুর মত বড় বড় পশম দেননি ৷ বরং ভিন্ন রকম এক
পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের দেহের গুপ্তাংগ আবৃত করার জন্য বলেছেন! সাথে
সাথে আরো অতিরিক্ত পোশাক দিয়ে সাজ-সজ্জা বৃদ্ধি করার জন্য বলেছেন ৷
ইরশাদ হচ্ছে-
আমি তোমাদের জন্য পোশাক দিয়েছি, যা
তোমাদের গুপ্তাংগ সমূহ আবৃত করবে, আরো দিয়েছি সাজ সজ্জার বস্ত্র |
(আল-কুরআন)
আলোচ্য আয়াত থেকে বুঝা গেল আল্লাহ রাবুল আলামীন পোশাককে
মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে দিয়েছেন৷ যা অপর কোন জীব-জন্তুকে
দেননি ৷ সুতরাং পোশাকে আবৃত না হয়ে উলঙ্গ/অর্ধ উলঙ্গ থাকা জীব-জন্তুর
পোশাকবিহীন থাকার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা পাঠক মহল ভেবে দেখবেন!
সুতরাং শালীন পোশাক দেহ আবৃত করে পদা করতে হবে ৷ এতে
সৌন্দর্যও রক্ষা হবে পর্দাও পালন হবে!
সতীত্ব নারীর এক অমূল্য সম্পদ ! যে কোন সম্পদ একবার হারিয়ে
গেলে তা আবার ফিরে পাবার সম্ভাবনা থাকে ! কিন্তু সতীত্ব এমন এক
সম্পদ, যা একবার হারিয়ে গেলে দ্বিতীয়বার আর ফিরে পাবার কোন সম্ভাবনা
থাকে না ৷
বর্তমানে যুবকদের চরিত্রে মারাত্মক এক সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত
হয়েছে ৷ এর পেছনে মহিলাদের দায়ি কম নয় | মহিলা তথা বর্তমান নারী
সমাজ পশ্চিমা সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হয়ে প্রগতির নামে উলঙ্গ আর অর্ধ উলঙ্গ
পোশাক পরে নিজেদের দেহের রূপ, লাবণ্য, সৌন্দর্য ও যৌবন ঢেউ প্রদর্শন করে
চলেছে ৷ তাদের কারণে আজ যুব চরিত্র এতটা নেমে গিয়েছে ৷
একজন নারী যখন তার কমনীয় ভাব নিয়ে সৌন্দর্য পোশাকে রাস্তায়
নামবে, অতি স্বাভাবিক কারণেই যুবসমাজ তা দেখে বিমোহিত হবে এবং
কোন একভাবে তার বাসনা মিটাতে উদ্ধত হবে ৷ কিন্তু নারী যদি তার
সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখে তাহলে যুবকদের প্রভাবিত হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকে
না৷ সুতরাং বর্তমানে যুব চরিত্রকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য
নারীকে পর্দা করতে হবে ৷
রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন" লজ্জা ঈমানেরই অংশ "৷
তিনি অপর এক জায়গায় বলেছেন" যার লজ্জা নেই তার ঈমান নেই"
হাদীসে এসেছে-
"প্রতিটি দ্বীনের একটি চরিত্র আছে ৷ আর ইসলামের চরিত্র হলো
লজ্জা" ৷
অপর হাদীসে এসেছে- .
"তোমার যদি লজ্জা না থাকে, তাহলে তূমি যা খুশি তাই করো"
লজ্জার ব্যাপারে ইসলাম এত বেশী গুরুত্ব দিয়েছে যে, জীবনের কোন
বিভাগই এর থেকে বাদ দেয়নি ৷ কেননা, লজ্জা মানুষকে অনেক রকম নীতি
বহির্তুত কাজ ও অপরাধ থেকে মুক্ত রাখে ৷ এ লজ্জাই যখন একজন মানুষ
হারিয়ে বসে তখন তার জন্য কোন অসৎ কাজ করাই অসম্ভব থাকে না!
রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
লজ্জাশীলতা ও ঈমানকে সকল ক্ষেত্রেই একত্রিত করে দেয়া
হয়েছে ৷ যখন একটি উঠিয়ে নেয়া হয়, তখন অপরটি এমনিতেই চলে যায় ৷
আলোচ্য হাদীস থেকে বুঝা গেল ঈমান এবং লজ্জার একটি অপরটির
সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ৷ লজ্জা ছাড়া ঈমানের অস্তিত্ব থাকে না৷ আর
যার ঈমান থাকে না, সে পরকালে জান্নাতে যাবার বিন্দুমাত্র আশাও পোষণ
করতে পারে না ৷
পর্দা হচ্ছে লজ্জাশীলতার প্রতীক ও মহিলার লজ্জাশীলতা প্রকাশ পায়
তার পর্দা করা না করা দ্বারা ৷ কারণ একজন লজ্জাশীল নারী কখনো বিনা
পর্দায় রাস্তায় চলতে পারেনা এবং পর পুরুষের সাথে অবাধে কথা বার্তা
বলতে পারে না ৷
ব্যাপারটি কুসংস্কার হলেও আসলে কুনজরে বাস্তবতা যে একেবারে
নেই তা কিন্তু নয় ৷ কুনজর যে কোন একটি সুন্দর জিনিসকে বিনষ্ট করে
দিতে পারে 1
গ্রাম দেশে যে কোন সুন্দর ফলের গাছের সাথে হাড়ি বেধে কালো
কালি লাগিয়ে দেয়া হয় ৷ ভাল ফসলের ক্ষেতে কালো কালি মাখা হাড়ি
লাগানো হয় ৷ আবার ছোট শিশুদের কপালে বড় করে একটি কাজলের
ফোটা লাগানো হয় এসবই কুনজরের প্রভাব মুক্ত রাখার জন্য ৷ নিন্দুকের
ঈর্ঘা থেকে হেফাজতে থাকার জন্য ৷
নারী জাতি হচ্ছে দুনিয়ার হুর ৷ নারী জাতিকে আল্লাহ্ তাআলা বিচিত্র
রকমের সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন ৷ সুতরাং সেই সৌন্দর্যের দিকে যে
কোন সময়েই নিন্দুক, ঈর্ঘাপরায়ণ ও দুষ্ট লোকের কু-নজর পড়ে তা
ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে ৷ যদি পর্দা রক্ষা করে নিজ সৌন্দর্যকে কমনীয়
ভঙ্গিতে প্রকাশ করা না হয়, তাহলে কু-নজরের কু প্রভাবে পতিত হবার
বিন্দুমাত্র সম্ভাবনাও থাকে না ৷ তাই কুনজরের কুপ্রভাব থেকে নিজেকে
বাচিয়ে রাখার জন্য পর্দা করা জরুরী ৷ '
নারী জাতি মাতা-পিতার কোলে বড় হয়ে চলে যায় পূর্বে অপরিচিত
সর্বাধিক আপন জনের ঘরে ৷ নতুন করে আত্মীয় বানানো একজনের ঘরে
গিয়ে বাধে শান্তির নীড়, সুখের সংসার ৷ কিন্তু দেখা যায় মধ্য বয়সে পা
দেয়ার পূর্বেই সে নারী আপন সন্তান ঘরে রেখে চলে যায় আরেক পুরুষের
হাত ধরে ৷ কিন্তু সেখানেও তার ঘর স্থায়ী হয় না ৷ প্রতিনিয়ত তার নতুন
স্বামীর ও সন্তানদের কটু ও কষ্টকর বাক্যের শিকার হয় ৷ আর তার আপন
সন্তানদের ফেলে আসার যন্ত্রণা তাকে চরমভাবে দংশন করে ৷ দুনিয়াটা
তখন তার কাছে দুঃসহ মনে হয় ৷ মনে হয় যেন মৃত্যুর পথ বেছে নেয়
দুঃসহ সে মানসিক যাতনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য | আহ! দুনিয়ায় সে
কোন শান্তি পেল না, সারা জীবন কেটে গেলো কেবল দুঃখ আর কষ্টে ৷
আখেরাতে শান্তিরতো প্রশ্নই আসেনা
আমরা কি কখনো এর কারণ খুঁজে দেখেছি? এর একমাত্র কারণ হলো
বেপর্দা ! ইসলাম পর্দার বিধানের মাধ্যমে নারী পুরুষের মাঝে যে সীমারেখা
টেনে দিয়েছিল, তা উন্মুক্ত করে দিয়ে পর পুরুষের সাথে অবাধে দেখা
সাক্ষাৎ আর মিলা-মিশার কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ৷ নারীর জন্য
এটা একটা বিরাট শান্তি | কেউ কি খুঁজে পাবেন একটি উদাহরণ, যে কোন
পর্দাশীল পরিবার পরকীয়া প্রেমের কবলে পরে ভেঙ্গে গেছেঃ না; এমনটি পাওয়া যাবে না!
দিয়েছেন, তিনি বলেন
মানবে শুধু পর্দা অস্বীকার করবে, আল্লাহ তার জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা
যে কুরআনকে মানেনা, সে কুফরী করলো ৷ তার শাস্তি আছে ৷ কিন্তু যে কুরআনের এক অংশ মানবে অপর অংশ মানবে না, সকল বিধি বিধান
কোরআনের উদ্ধৃতিসহ তার প্রমাণ পেশ করছি-
নারীকে বিভিন্ন রকম সমস্যা ও মুসিবত থেকে রক্ষা করার জন্যই
আল্পাহ রাব্বুল আলামীন পর্দার বিধান দিয়েছেন ৷ এ বিধান যে লঙ্বন করবে
দুনিয়াতে তার শাস্তি রয়েছেই আখেরাতেও তাকে শান্তি ভোগ করতে হবে !
আগে থেকেই নিজকে হেফাজত করেছে | সুতরাং আল্লাহ তাকে হেফাজত
করবেন ৷ তাছাড়া বাহিরে চলতে পর্দাশীল মহিলার মুখমণ্ডল আবৃত (ঢাকা)
থাকে বলে ধূলাবালি তার নাকে ঢুকে কোন ক্ষতি করতে পারে না ৷ কিন্তু
বেপর্দা মহিলার অজ্ঞাতেই তার নাকে ময়লা ঢুকে ক্ষতি করে থাকে৷
আজ রোগ হচ্ছে, দুনিয়ার কোন ডাক্তারের পক্ষে এ রোগ ভাল করা সম্ভব নয় ৷ চিন্তা করুনতো! কোন পর্দা রক্ষাকারী মহিলা কি এ
ধরনের মারাত্মক ব্যধির শিকার হবে? অবশ্যই না ৷ কেননা সেতো পর্দা ছারা বাপ দাদা কখনো দেখেনি ৷ (আল-হাদীস)
পাচটি অভ্যাসের ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাই, সেগুলো
যেন তোমাদের মাঝে সৃষ্টি না হয়, তার মাঝে একটি হলো অশ্নীলতা ৷ কোন
জাতি বা সম্প্রদায়ের মাঝে যখন অল্নীলতা বিস্তার লাভ করে, তখন তাদের
মধ্যে (প্লেগ ও এইড্স) রোগ মহামারীর মত চাপিয়ে দেয়া হবে, যা তাদের
পর্দার বিধান লজ্বন করার কারণে মারাত্মক রোগ ব্যাধিরও সৃষ্টি হতে
পারে ৷ ১৫ শত বছর পূর্বেই নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করে
গিয়েছিলেন সে রোগ ব্যাধি সম্পর্কে ৷ তিনি বলেছেন-
অর্থ "কেয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন আধাবে নিক্ষেপ করা হবে!
(অর্থাৎ কেয়ামতের দিন আলো পাবে না) !
পর্দা লজ্বনকারী নারী কিয়ামতের দিন চরম অন্ধকার ও কোন আলো
পাৰে না ৷ সে থাকবে অন্ধকারের নিমজ্জিত ৷
রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
সাজ সজ্জা সহকারে হেলে দুলে, মন্থর
গতিতে চলাচলকারী মহিলার উদাহরণ হলো কিয়ামত অন্ধকারের মত, যেখানে কোন আলো থাকবে না ৷
হাদীসে আরো এসেছে-
আল্লাহর রাসূল (সা.) পুরুষের বেশভূষা গ্রহণকারী মহিলা ও
মহিলার বেশ ভূষা গ্রহণকারী পুরুষের প্রতি লা'নত করেছেন৷ (বৃখারী)
হাদীসে এসেছে- রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
অর্থ তোমাদের কারো মাথায় লোহার বর্শার আঘাত
মহিলার স্পর্শ থেকে উত্তম, যাকে স্পর্শ করা তার জন্য হারাম ৷
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
অর্থ (হে রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম !) মুমিনদেরকে বলে
তারা যেন তাদের চোখ নামিয়ে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ
এক হাদীসে এসেছে-
= অর্থ যখনই কোন নারী পুরুষ নির্জনে একত্রিত
শয়তান তাদের ভৃতীয়জন হয় ৷ (তিরমিযী)
সুতরাং ইচ্ছা অনিচ্ছায় কখনো নারী পুরুষ একত্রিত হওয়া যাবে না ৷
রাসুলে সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসায্নাম আরো এরশাদ করেন-
তিনি আরো বলেন
হযরত আমর বিন আস্ বলেন- রাসূল (সা.) স্বামীর
অনুপস্থিতিতে কোন নারীর নিকটে যেতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন৷
(তিরমিযী)
যেন কেহ স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর নিকট না
যায়, যতক্ষণ তার নিকট একজন অথবা দুইজন লোক না থাকে ৷ (মুসসলিম)
নির্জন স্থানে দু'জন মহিলা পুরুষ একত্রে থাকলে যে কোন ধরনের
বিপদ হবার সম্ভাবনা থাকে ৷ সুতরাং নির্জন অবস্থান অবশ্যই পরিতায্য ৷
Nice
ReplyDelete